নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ বলেছেন, ‍“স্থানীয় সরকার নয়, আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ভাবছে কমিশন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে কোনো ভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই নির্বাচন কমিশন কাজ করে যাচ্ছে। সুষ্ঠু ভোট উপহার দিতে কমিশন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।” 

বুধবার (২২ জানুয়ারি) বরিশালে নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি। 

ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি ২০২৫ উপলক্ষে বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বরিশাল জেলার ঊর্ধ্বতন নির্বাচন কর্মকর্তারা অংশ নেন। 

আরো পড়ুন:

চট্টগ্রামে খেলা হচ্ছে না তানজিমের

প্রস্তাবিত বিধানে ‘গুম-খুনে জড়িতরা’ নির্বাচনে অযোগ্য

নির্ভুল ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দিক নির্দেশনা দেন নির্বাচন কমিশনার। ভুয়া ভোটার থাকলে প্রমাণ সাপেক্ষে বাতিল এবং সবাইকে যথাযথ তথ্য প্রদানে সহায়তার আহ্বান জানান তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ জানান, তাদের মূল লক্ষ্য আগামী সংসদ জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করা। সেই দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে তাদের কমিশন। 

মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ শফিকুল হক, অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দিলীপ কুমার হাওলাদার, জেলা নির্বাচন অফিসার মো.

ওয়াহিদুজ্জামান মুন্সী উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/পলাশ/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আনন্দবাজারের প্রতিবেদনকে ‘বলিউডি রোমান্টিক কমেডি’ বলল প্রেস উইং

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে নিয়ে আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। প্রতিবেদনের বাস্তবতার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই; এটি শুধুই একটি বলিউডি রোমান্টিক কমেডি।

শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাক্টস ফেসবুকে তাদের ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টে লিখেছে- ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলিউডের রোমান্টিক কমেডির চেয়েও বাস্তবতার সাথে কম মিল রয়েছে।’

প্রেস উইং ফ্যাক্টস আরও বলেছে, ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তথাকথিত ‘হাইব্রিড যুদ্ধ’ কৌশল ব্যবহার করছে, যা দীর্ঘদিন ধরে তাদের প্রক্সি হিসেবে কাজ করা শেখ হাসিনাকে সমর্থন দেওয়া এবং বাংলাদেশের জনগণ ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে অসম্মান করার উদ্দেশে পরিচালিত হচ্ছে। দেশের যে জনগণ ও প্রতিষ্ঠানগুলো গত জুলাই-আগস্টে স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটিয়েছে, তাকে টার্গেট করা হচ্ছে।

হাইব্রিড যুদ্ধের অংশ হিসেবে তথ্য পরিচালনা বা ‘অপতথ্য’ ব্যবহার করা হচ্ছে, যাতে লক্ষ্যবস্তুকে অভ্যন্তরীণ এবং তার স্বাভাবিক বন্ধু ও মিত্রদের থেকে বিচ্ছিন্ন করা যায়।

বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা সাধারণত একেবারে মনগড়া একটি গল্প দিয়ে শুরু হয়, যার কোনো বাস্তব ভিত্তি বা প্রমাণ থাকে না, বরং নামহীন ব্যক্তিদের উদ্ধৃতি দিয়ে বানানো হয় এবং তা বন্ধুত্বপূর্ণ বা নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

প্রেস উইং ফ্যাক্টস উল্লেখ করে-‘যদি গল্পটি যথেষ্ট চটকদার হয়, তাহলে অন্যান্য সংবাদমাধ্যম এটি তুলে নেবে এবং প্রচারের ফলে এটি বিশ্বাসযোগ্যতা পাবে।’

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘একপর্যায়ে, যারা বিশ্ব পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চান কিন্তু বিশদ বিশ্লেষণের সময় পান না, তারাও এই গল্পটি সত্য বলে বিশ্বাস করতে পারেন, যা মূলত একজন প্রোপাগান্ডাবিদের কল্পনাপ্রসূত ধারণা ছাড়া আর কিছুই না।’

ফ্যাক্টস আরও উল্লেখ করেছে, মিথ্যা প্রচারণা ও অপতথ্যে বিশ্বাস করে মানুষ যখন যার বিরুদ্ধে প্রচার হচ্ছে, তাকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে পদক্ষেপ নিতে শুরু করে, তখন তা পুরোপুরি সফল হয়।

এই ক্ষেত্রে, প্রতিপক্ষ হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ ও তাদের নিজস্ব সার্বভৌম রাষ্ট্র পরিচালনার আকাঙ্ক্ষা। আর স্বেচ্ছায় এই মিথ্যা প্রচারের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছে ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে আনন্দবাজারের প্রতিবেদন বাস্তবতার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই; এটি শুধুই একটি বলিউডি রোমান্টিক কমেডি।

ফ্যাক্টস আনন্দবাজারের উদ্দেশে বলেছে, ‘আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কি প্রকৃত সাংবাদিকতা করবেন, যেখানে সত্য ঘটনা অনুসন্ধান করে তথ্য সংগ্রহ করা হয়, নাকি মিথ্যা প্রচারণার অংশ হিসেবে মিথ্যা গল্প ছড়িয়ে একটি বন্ধুপ্রতীম দেশের সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন করবেন?’

সম্পর্কিত নিবন্ধ