‘প্রতিশোধের’ লড়াইয়ে চিটাগংয়ের বিপক্ষে বোলিংয়ে ঢাকা
Published: 22nd, January 2025 GMT
চিটাগং কিংসের বিপক্ষে প্রথম দেখায় ঢাকা ক্যাপিটালস পাত্তাই পায়নি। সিলেটে ম্যাচ হেরেছিল ৭ উইকেটে। দুই দল এবার মুখোমুখি হয়েছে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। টস জিতে চিটাগং কিংস ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দুই দলের ম্যাচটি শুরু হয়েছে দুপুর দেড়টায়।
চিটাগংয়ের জন্য এই ম্যাচটি জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার লড়াই। ঢাকার জন্য ম্যাচটি প্রতিশোধের। টুর্নামেন্টের শুরু থেকে টানা হেরে আসা ঢাকা নয় ম্যাচে মাত্র দুটিতে জিতেছে। শেষ তিন ম্যাচে যদি তারা জয় পায় 'প্লে' অফের আশা কিছুটা হলেও বেঁচে থাকবে। অন্যদিকে চিটাগংয়ের 'প্লে' অফ প্রায় নিশ্চিত। আট ম্যাচের পাঁচটিতেই তারা জিতেছে। আজ জিতলে তারা সেরা চারের লড়াইয়ে এগিয়ে যাবে।
ঢাকা একাদশে মাঠে নামিয়েছে পেসার মেহেদী হাসান রানাকে। দলে ফিরেছেন মুনিম শাহরিয়ার। বাদ পড়েছেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। এছাড়া বিদেশী ক্রিকেটারদের মধ্যে ফারমানউল্লাহর পরিবর্তে সুযোগ পেয়েছেন যান্সফোর্ড বেটন।
আরো পড়ুন:
চট্টগ্রামে খেলা হচ্ছে না তানজিমের
নিয়তি মেনে বিশ্বমানের হওয়ার স্বপ্ন বোনা
চিটাগং একাদশে দুই নতুন বিদেশী যুক্ত হয়েছেন। উসমান খান ও মোহাম্মদ ওয়াসিমের জায়গায় এসেছেন জুবায়েরউল্লাহ আকবারি ও হুসেন তালাত।
চিটাগং কিংস একাদশ: মোহাম্মদ মিঠুন, নাঈম ইসলাম, জুবাইরউল্লাহ আকবারি, হায়দার আলী, শামীম হোসেন, গ্রাহাম ক্লার্ক, হুসেন তালাত, আরাফাত সানী, শরিফুল ইসলাম, সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও আলিস আল ইসলাম।
ঢাকা ক্যাপিটালস: লিটন কুমার দাস, তানজিদ হাসান তামিম, মেহেদী হাসান রানা, মোস্তাফিজুর রহমান, থিসারা পেরেরা, রিয়াজ হাসান, র্যান্সফোর্ড বেটন, সাব্বির রহমান, নাজমুল ইসলাম অপু, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও মুনিম শাহরিয়ার।
চট্টগ্রাম/ইয়াসিন/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় নারী হাজতখানায় পরিবারের সঙ্গে পুরুষ আসামির সাক্ষাৎ
বগুড়ায় আলোচিত ১৭ মামলার আসামি তুফান সরকারকে আদালতের নারী হাজতখানায় পরিবারের পাঁচ সদস্যের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ করে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে আদালত পুলিশের ২ সদস্যকে প্রত্যাহার ও ৫ সাক্ষাত প্রার্থীকে ৫৪ ধারায় চালান দেওয়া হয়েছে।
সোমবার বিকেলে বগুড়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যাহার করা পুলিশের ২ সদস্য হলেন- সহকারী টাউন উপ-পরিদর্শক (এটিএসআই) জয়নাল আবেদিন ও নারী কনস্টেবল ইকসানা খাতুন।
জানা যায়, তুফান সরকার বগুড়া শহর যুব শ্রমিকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি বগুড়া শহরের চকসুত্রাপুর এলাকার মজিবর সরকারের ছেলে। তিনি হত্যা, মাদক, ধর্ষণ, ছিনতাইসহ ১৭ মামলার আসামি।
জানা যায়, সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দ্বিতীয় তলায় নারী হাজতখানার দরজা কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। ভেতরে তুফান সরকার, তার স্ত্রী, ছোট বোন, শাশুড়ি, স্ত্রীর বড় বোন এবং একজন আইনজীবীর সহকারী মিলে গল্প করছিলেন। পরে নারী হাজতখানায় পুরুষ আসামি ঢুকার বিষয়টি জানাজানি হলে আদালত চত্বরে হৈ চৈ পড়ে যায়। পরে দ্রুত তুফান সরকারকে প্রিজন ভ্যানে কারাগারে পাঠানো হয়।
এসময় তুফান সরকারের সঙ্গে দেখা করতে আসা নারী হাজত খানা থেকে ওই ৫ জন সরে যান। পরে তাদের আদালত চত্বর থেকে আটক করে ৫৪ ধারায় চালান দেওয়া হয়।
আটক ৫ জন হলেন, তুফানের শাশুড়ি তাসলিমা বেগম, তুফান সরকারের স্ত্রী আশা বেগম, শ্যালিকা ফেরদৌসি বেগম, শ্যালক নয়ন, তুফানের আইনজীবীর সহকারী হারুনুর রশিদ।
বগুড়া আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, সকালে তুফান সরকারকে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত একটি মামলায় আদালতে হাজিরার জন্য কারাগার থেকে আনা হয়। কারাগার থেকে আনা অন্য সব হাজতিকে দুপুরের মধ্যেই প্রিজন ভ্যানে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু বাদ পড়ে তুফান সরকার। হাজতখানার চাবি এটিএসআই জয়নাল আবেদিনের কাছে থাকে। তুফান সরকারকে কারাগারে না পাঠিয়ে তাকে নারী হাজতখানায় পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত করার সুযোগ করে দেয় জয়নাল আবেদিন। আদালতের সবার অগোচরে ঘটনাটি ঘটে।
বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা বলেন, পুরুষ আসামিকে নারী হাজত খানায় পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগে এটিএসআই জয়নাল আবেদিন ও এক নারী কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের আরও যাদের গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে এক কলেজ ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে তুফান সরকারের বিরুদ্ধে। পরে শালিস ডেকে ভুক্তভোগী নারী ও তার মা'কে দোষী উল্লেখ করে মারধর করে এবং মা-মেয়ের মাথা ন্যাড়া করে দেয় তুফান সরকার। সেই ঘটনায় দেশ জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হলে তুফান সরকার গ্রেপ্তার হয়।