সকালের নাশতা খেয়ে একই পরিবারের পাঁচজনই অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে তারা রাতে ঘুমিয়ে পড়লে ঘটে ডাকাতির ঘটনা। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের দক্ষিণ শিমলাপাড়া গ্রামের জামাল মাসুদের বাড়িতে সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

বাড়ির কেউ টের পায়নি। গোপনে কেউ একজন এসে সকালের নাশতায় চেতনানাশক মিশিয়ে চলে যায়। পরিবারের পাঁচ সদস্য একসঙ্গে বসে নাশতা খেয়ে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। পাঁচজনই বিভিন্ন হাসপাতালে দিনভর চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরেন। সোমবার রাতের খাবার ও ওষুধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন সবাই। তারা যখন গভীর ঘুমে তখন ঘড়ির কাঁটা রাত ২টা পেরিয়ে গেছে। তখনই ওই বাড়িতে ঘটে দুর্ধর্ষ ডাকাতি। দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে শ্রীপুর থানার চকপাড়া ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। 

গৃহকর্তা জামাল মাসুদ জানান, তিনি, তাঁর স্ত্রী, ছেলেমেয়ে ও ৮০ বছর বয়সী বাবা একসঙ্গে বসে সোমবার সকালে নাশতা করেন। এর কিছুক্ষণ পরই সবাই দুর্বল হতে থাকেন। একপর্যায়ে মাটিতে পড়ে যান। পরে প্রতিবেশীরা তাদের মাওনা চৌরাস্তার একটি ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসা শেষে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরেন। সুস্থ হলেও শরীরের দুর্বলতা কাটছিল না। পরে রাতে আগেভাগে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ২টার দিকে মুখোশধারী একদল ডাকাত বাড়িতে হানা দেয়। দরজা ভেঙে অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও টাকাপয়সা লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতরা পালিয়ে গেলে তাদের চিৎকারে সবাই এগিয়ে আসেন।

শ্রীপুর থানার মাওনার চকপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নাজমুল হক বলেন, পরিকল্পিতভাবে ওই বাড়িতে দুর্বৃত্তরা হানা দিয়েছে। তারা সোমবার সকালে নাশতার সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে সবাইকে অসুস্থ করে। এরপর রাতে ওই বাড়িতে এসে লুটপাট করে। তিনি বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ব র র

এছাড়াও পড়ুন:

শাবিপ্রবির সাংগঠনিক সপ্তাহে নবীনদের উচ্ছ্বাস

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) চলছে সাংগঠনিক সপ্তাহ। সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর টেন্টে জমেছে নবীনদের ভিড়। নিজেদের প্রতিভা বিকাশ ও অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত নবীন শিক্ষার্থীরা।

গত ২৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ সাংগঠনিক সপ্তাহের মূল কার্যক্রম শুরু হয় ২৬ জানুয়ারি থেকে। এবারের আয়োজনের বিশেষত্ব হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যান্ডবল গ্রাউন্ডে ৩৭টি সংগঠন একসঙ্গে অংশগ্রহণ করছে, যেখানে আগে অর্জুন তলায় দুই সপ্তাহে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে এ কার্যক্রম পরিচালিত হতো।

এ আয়োজনকে ঘিরে ক্যাম্পাস জুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। বিভিন্ন সংগঠনের টেন্ট ঘুরে শিক্ষার্থীরা নিজেদের আগ্রহ অনুযায়ী সদস্য হতে ফর্ম সংগ্রহ করছেন। কেউ সংগীত, কেউবা বিতর্ক বা ফটোগ্রাফি নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী।

বাংলা বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী তানভীর বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে বুঝলাম, পড়াশোনার বাইরেও অনেক কিছু শেখার আছে। আমি ফটোগ্রাফি ও বিতর্ক নিয়ে কাজ করতে চাই। তাই এ দুই সংগঠনে সদস্যপদ নিতে ফর্ম নিয়েছি।”

সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া জাহান বলেন, “আমি ছোটবেলা থেকেই সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলাম। এখানে এসে দেখলাম, অনেক সংগঠন সাংস্কৃতিক চর্চা করে। গানের প্রতি ভালোবাসা থেকেই একটি সংগঠনে সদস্য হয়েছি। পাশাপাশি, একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনেও যোগ দিয়েছি, যাতে মানুষের জন্য কিছু করতে পারি।”

সরেজমিনে দেখা যায়, সংগঠনগুলোর সদস্যরাও ব্যস্ত সময় পার করছে। কেউ নতুনদের ক্যাম্পাস ও সংগঠনের নিয়ম জানাচ্ছে, কেউ সাংগঠনিক কার্যক্রমের বিবরণ দিচ্ছে। বিভিন্ন সংগঠন ব্লাড গ্রুপিং, ফটোগ্রাফি ওয়ার্কশপসহ নানা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যারা জানিয়েছেন, সাংগঠনিক সপ্তাহ শুধু সদস্য সংগ্রহের অনুষ্ঠান নয়, এটি শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকাশেরও বড় সুযোগ। নতুনদের উচ্ছ্বাস ও অংশগ্রহণই প্রমাণ করে, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠনগুলোর অংশ হতে কতটা আগ্রহী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, “আগের বছরগুলোর মতো আলাদা ধাপে সাংগঠনিক সপ্তাহ না করে এবার একসঙ্গে আয়োজন করা হয়েছে। যাতে সব সংগঠন সমানভাবে সদস্য সংগ্রহের সুযোগ পায় এবং নবীন শিক্ষার্থীরাও একসঙ্গে সব ক্লাবের সঙ্গে পরিচিত হতে পারে।”

ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অপমান অপদস্থের কথা বলতে গিয়ে কাঁদলেন সাবিনা-ঋতুপর্ণারা
  • নিশোর দাগীতে কি তৌসিফ আছেন, জানা গেল একসঙ্গে ছবির রহস্য!
  • শাবিপ্রবির সাংগঠনিক সপ্তাহে নবীনদের উচ্ছ্বাস