ইতালির রোম থেকে ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে পুরো প্লেনে তল্লাশি চালানো হয়েছে। তবে, বোমা বা বোমার মতো কিছু পাওয়া যায়নি।

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বলেছেন, “পুরো প্লেন তল্লাশি করে কোনো বোমা বা বোমা সদৃশ কিছু পাওয়া যায়নি। যাত্রীদের সব ব্যাগেজ চেক করা হয়েছে। কোথাও বিস্ফোরক বা কিছু পাওয়া যায়নি।”

তিনি আরো বলেন, “যাত্রীদের ব্যাগেজ বুঝিয়ে দেওয়া হবে কিছুক্ষণ পর থেকে। থ্রেট ও তল্লাশির বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমকে জানানো হবে।”

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র জানিয়েছে, বোমা ডিসপোজাল ইউনিট প্লেনের ভেতরে সিট, করিডোর, টয়লেট, ক্যাফেতে তল্লাশি চালায়। যাত্রীদের জরুরি ভিত্তিতে নামানো হলেও তাদের হ্যান্ড ব্যাগেজ বিমানেই থাকে। সেগুলো একে একে তল্লাশি করা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে যাত্রীদের ব্যাগেজ ফেরত দেওয়া হবে।

ইতালির রোম থেকে ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকি পাওয়া যায়। একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফোন করে এ হুমকি দেওয়া হয়।

এ ঘটনার পর বিজি-৩৫৬ নম্বর ফ্লাইটটি বুধবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটে হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। এরপর সকাল সাড়ে ১০টায় বোমা ডিসপোজাল ইউনিট প্লেনটির ভেতর প্রবেশ করে।

ফ্লাইটটি মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় রাত ৮টায় রোমের লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়েছিল।

ঢাকা/হাসান/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ওরস সামনে রেখে ঐতিহ্যবাহী ‘লাকড়ি তোড়া’ উৎসব ভক্তদের

সিলেটের হজরত শাহজালাল (রহ.)–এর মাজারের ঐতিহ্যবাহী ‘লাকড়ি তোড়া’ উৎসব সম্পন্ন হয়েছে। এবার মাজারে ৭০৬তম উৎসব হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আগামী ১৮ ও ১৯ মে মাজারে ৭০৬তম বাৎসরিক ওরস অনুষ্ঠিত হবে। বহু বছর ধরে চলে আসা নিয়ম অনুযায়ী লাকড়ি তোড়া উৎসবে সংগৃহীত কাঠ দিয়ে ওই ওরসে রান্না করা হবে।

লাকড়ি তোড়া উৎসবকে কেন্দ্র করে আজ শুক্রবার দুপুরে মাজার ছিল অনেকটা উৎসবমুখর। সরেজমিনে দেখা যায়, নানা সাজে সজ্জিত হয়ে ভক্তরা উপস্থিত হয়েছেন শাহজালাল (রহ.)–এর মাজারে। বিভিন্ন বয়সের নারী, পুরুষ, শিশুরাও সামিল হচ্ছেন দলে দলে। এর মধ্যে অনেকে নতুন পোশাক পরেছেন। আবার অনেক ভক্তকে মাথায় লাল কাপড় বেঁধে এ আয়োজনে অংশ নিতে দেখা যায়। জুমার নামাজের পর মাজারে আসা মুসল্লি এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা ভক্তরা পদযাত্রাসহকারে মাজার থেকে কয়েক কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে লাক্কাতুরা চা-বাগানের টিলায় যান। এ সময় তাঁরা ‘লালে লাল শাহজালাল’ স্লোগান দিয়ে জ্বালানি সংগ্রহ করে আবার দরগাহে ফেরেন।

মাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বার্ষিক ওরসের তিন সপ্তাহ আগে হিজরি সন অনুযায়ী এ উৎসব হয়। ৭০০ বছরের অধিক সময় ধরে এটি হয়ে আসছে। লাক্কাতুরা টিলা এলাকা থেকে সংগ্রহ করা জ্বালানি কাঠগুলো হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর পুকুরে ধুয়ে রাখা হয়েছে নির্দিষ্ট স্থানে। তবে প্রতিবছর বাদ্যযন্ত্র নিয়ে একদল ভক্তকে লাকড়ি তোড়া উৎসবে অংশ নিতে দেখা গেলেও এবার বাদ্যযন্ত্র নিয়ে কাউকে আসতে দেখা যায়নি।

লাক্কাতুরা টিলা এলাকা থেকে সংগ্রহ করা জ্বালানি কাঠগুলো হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর পুকুরে ধুয়ে রাখা হয়েছে নির্দিষ্ট স্থানে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ওরস সামনে রেখে ঐতিহ্যবাহী ‘লাকড়ি তোড়া’ উৎসব ভক্তদের
  • আমানতের তাৎপর্য