রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নুরুল ইসলাম শহীদ দুর্বৃত্তদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে নগরের হেতেম খাঁ এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।

আহত সমন্বয়ক শহীদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ সদস্যবিশিষ্ট সমন্বয়ক কমিটির অন্যতম সদস্য। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাবির সমন্বয়ক মেহেদী সজীব বলেন, হেতেম খাঁ এলাকার একটা ছাত্রাবাসে শহীদ থাকেন। ওই ছাত্রাবাসের পাশে তার ওপর হামলা করা হয়েছে। এ সময় ছাত্রাবাসের কয়েকজন তাকে বাঁচাতে আসলে তারাও আহত হন। স্থানীয় এক প্রভাবশালী তার দলবল নিয়ে হামলা করেছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। তার দলীয় পরিচয় এখনও নিশ্চিত নয়। হামলার পর শহীদকে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করানো হয়। এখন সে নিরাপদে আছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

মেহেদী মাসুদ বলেন, এ ঘটনা জানার পর আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। আমাদের কাছে এখনো কোনো অভিযোগ করা হয়নি। দোষীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারের আওতায় আনা হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সমন বয়ক আহত

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ