‘তথ্যই শক্তি, জানবো, জানাবো, দুর্নীতি রুখবো’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে লক্ষ্মীপুরে দুই দিনব্যাপী তথ্য মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন ও সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই মেলার আয়োজন করেছে। মেলায় সরকারি ৩৬টি ও বেসরকারি চারটি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে মেলা প্রাঙ্গণ থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে সেটি মেলাস্থলে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে ফিতা কেটে মেলা উদ্বোধন করেন অতিথিরা। পরে তারা বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।
আরো পড়ুন:
গাছিদের গুড়-পাটালির পসরায় জমজমাট মেলা
দুই বাঘাইড়ের দাম ৩ লাখ টাকা
সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) লক্ষ্মীপুরের সভাপতি জেড এম ফারুকির সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো.
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আকতার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) এবি ছিদ্দিক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জেপি দেওয়ান, কো-অর্ডিনেটর কাজী শফিকুর রহমান, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কো-অর্ডিনেটর জসিম উদ্দিন, লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি হোসাইন আহমেদ হেলাল, মেলা বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির, সনাকের সহ-সভাপতি আবুল মোবারক ভূঁইয়া, খোদেজা খাতুন, সনাক সদস্য প্রফেসর রফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা।
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ল র খবর সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু
বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।
শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।
তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।
তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।