টাকা দিয়েও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মালয়েশিয়া যেতে না পারা কর্মীরা কারওয়ান বাজারে সড়ক অবরোধের পর বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দিকে যাচ্ছেন।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তারা কারওয়ান বাজার থেকে মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

এর আগে সকাল ৯টার দিকে প্রায় ১৫০ কর্মী সার্ক ফোয়ারার সামনে জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এসময় তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন কাফনের কাপড় পরে সড়কে শুয়ে পড়েন। এর ফলে কারওয়ান বাজার থেকে পান্থপথ পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বেলা ১১টা ২০ সেখান থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়। এসময় আন্দোলনকারীদের বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যায়। তাদের সড়ক থেকে সরানোর পর পুনরায় যান চলাচল শুরু হয়েছে। 

মালয়েশিয়াগামী এই শ্রমিকদের দাবি, টাকা দিয়েও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তারা মালয়েশিয়া যেতে পারেনি। এমনকি তারা এখনও রিক্রুটিং এজেন্টদের কাছ থেকে অর্থও ফেরত পাননি। তাই মালয়েশিয়া যেতে না পারলেও অন্তত তারা তাদের অর্থ ফেরতের দাবি জানিয়েছেন।

আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া মাইন উদ্দীন বাবু বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই আমাদের ন্যায্য অধিকার নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমাদের একেকজনের পরিবারের এমন অবস্থা যে, তারা এখন বাড়িতেও ফিরতে পারবে না। কিন্তু পুলিশ আমাদের সরিয়ে দিয়েছে। আমরা এখন মন্ত্রণালয়ের দিকে যাচ্ছি। সরকারের কাছে আমাদের দাবি জানাব।”

টাকা ফেরত চাওয়াসহ তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে– কর্মীদের সমস্যার সমাধান না করে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো বন্ধ রাখা, রিক্রুটিং এজেন্সির রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করা ট্রাভেল এজেন্ট, সাব এজেন্ট ও দালালদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার, মন্ত্রণালয় ও বিএমইটিতে অভিযোগ করার ৩-৪ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও নিষ্পত্তি না হওয়ার ব্যাখ্যা, দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধে নির্ধারিত অভিবাসন ব্যয় সরকারি কোনো ব্যাংকে জমা নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ, ক্ষতিপূরণ আদায় করে না দিতে পারলে সরকারকে ব্যর্থতার দায়গ্রহণ এবং সরকারি খরচে প্রত্যেককে মালয়েশিয়া ছাড়া অন্য যেকোনো দেশে বিনাখরচে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।

ঢাকা/হাসান/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

১৫ জেলেকে অপহরণের অভিযোগ, আটক ৩ বনদস্যু

বঙ্গোপসাগরের চিসখালি নামক স্থানে ট্রালারসহ ১৫ জেলেকে অপহরণ করেছে বনদস্যু মজনু বাহিনীর সদস্যরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় আশপাশে থাকা অন্য ট্রলারের জেলেরা এগিয়ে এসে একটি বন্দুক ও ৩৬ রাউন্ড গুলিসহ তিন বনদস্যুকে আটক করে। পরে জব্দকৃত অস্ত্র এবং আটককৃতদের কোস্ট গার্ডের কাছে সোপর্দ করেন তারা।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে দুবলার চর ফিসারম্যান গ্রুপের সভাপতি কামাল উদ্দিন আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে, গতকাল সোমবার রাতে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের মান্দরবাড়িয়ার চিসখালি নামক স্থানে মাছ ধরার সময় জেলেদের অপহরণের ঘটনাটি ঘটে।

আরো পড়ুন:

বিএনপি মামলা বাণিজ্য শুরু করেছে: ইব্রাহীম মোল্লা

রূপগঞ্জে আড়ত দখল নিয়ে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৬

আটক জলদস্যুরা হলেন- মাইজে ভাই হিসেবে পরিচিত জাহাঙ্গীর হোসেন, শ্যামনগর উপজেলার আব্দুল আজিজের ছেলে রবিউল ইসলাম ও রহমত আলী। তারা তিনজন আত্মসমর্পণকারী বনদস্যু মজনুর দলের সদস্য।

দুবলার চর ফিসারম্যান গ্রুপের সভাপতি কামাল উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, “দুবলার চরের আলোকোল থেকে জেলেরা কয়েকটি ট্রালার নিয়ে মান্দরবাড়িয়ার বাহির সাগরের চিসখালি নামক স্থানে মাছ ধরতে যান। গতকাল রাতে বনদস্যু মজনু বাহিনীর ১০-১৫ জন সদস্য দুটি ট্রলারে এসে মাছধরা অবস্থায় জেলেদের ওপর হামলা চালায়। অস্ত্রের মুখে তারা ১৫ জেলেকে অপহরণ করে একটি ট্রলারে করে নিয়ে যায়।”

তিনি আরো বলেন, “এসময় আশপাশে থাকা মাছ ধরা অন্য ট্রলার এগিয়ে আসে। ওইসব ট্রলারের জেলেরা একটি বন্দুক ও ৩৬ রাউন্ড গুলিসহ তিন বনদস্যুকে আটক করে। পরে অস্ত্র ও গুলিসহ আটক জলদস্যুদের সুন্দরবনের কোস্ট গার্ডের কাছে সোপর্দ করেন তারা। অপহৃত জেলেদের এখনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।”

শ্যামনগর থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবীর মোল্লা বলেন, “আটক বনদস্যুদের বাগেরহাটের মোংলা থানায় হস্তান্তর করেছে কোস্ট গার্ডে। এখনো অপহৃতদের পরিবার আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি। কোস্ট গার্ড অপহৃতদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে।”

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৮ রুটের বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার
  • ন্যায্য মূল্যের পণ্য থেকে সাধারণ নাগরিকদের বঞ্চিত করায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল
  • ১৫ জেলেকে অপহরণের অভিযোগ, আটক ৩ বনদস্যু