বান্দরবানের তিনটি ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে স্থানীয় সরকার।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব আবু রাফা মোহাম্মদ আরিফ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া ইউনিয়ন পরিষদগুলো হল- নাইক্ষ্যংছড়ি সদর, সোনাইছড়ি ও ঘুমধুম ইউনিয়ন। 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়- স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ (সংশোধিত ২০২৪) এর ১৮ ধারা অনুযায়ী বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলাধীন সদর, সোনাইছড়ি ও ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের সরকারি কর্মকর্তা-শিক্ষকদের প্রশাসক ও সদস্য নিয়োগের প্রশাসনিক অনুমোদন নির্দেশক্রমে জ্ঞাপন করা হয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন নাইক্ষ্যংছড়ি যুব উন্নয়নের কর্মকর্তা মাহবুব ইলাহী, সোনাইছড়ি ইউনিয়নে উপজেলা শিক্ষা অফিসার ত্রিরতন চাকমা ও ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদে উপজেলার সমবায় কর্মকর্তা ক্যবুহ্রী মারমা দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া, ওয়ার্ড সদস্য হিসেবে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক পাশাপাশি কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি বলেন, “নাইক্ষ্যংছড়ির তিনটি ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ায় চেয়ারম্যান বাতিল করে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর কারণ হল- এসব ইউনিয়নের বাসিন্দারা যাতে সেবা থেকে বঞ্চিত না হন। তাছাড়া এখন নতুন ভোটারদের হালনাগাদ চলমান রয়েছে। তাই সবকিছু বিবেচনা করে এই প্রজ্ঞাপন দিয়েছে স্থানীয় সরকার।”

ঢাকা/চাইমং/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স থ ন য় সরক র ব ন দরব ন উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ