২০ কোম্পানির পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা
Published: 22nd, January 2025 GMT
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ২০টি কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিকের ব্যবসায় সংক্রান্ত সভার তারিখ ঘোষণা করেছে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিগুলো হলো—শাশা ডেনিমস, ইনডেক্স অ্যাগ্রো, ন্যাশনাল টিউবস, রংপুর ফাউন্ড্রি, এএমসিএল (প্রাণ), এপেক্স ফুটওয়্যার, ইফাদ অটোস, ম্যারিকো, উসমানিয়া গ্লাস, ওয়ালটন হাইটেক, আরডি ফুড, সিনোবাংলা, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস, পদ্মা অয়েল, মুন্নু ফেব্রিক্স, শিপইয়ার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, ইবনে সিনা, ইস্টার্ন হাউজিং ও নাহি অ্যালুমিনিয়াম।
আরো পড়ুন:
পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান, বেড়েছে লেনদেন
শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ দিল ৩ কোম্পানি
কোম্পানিগুলোর মধ্যে আগামী ২৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস ও ইবনে সিনা, ২৬ জানুয়ারি এপেক্স ফুটওয়্যার, মুন্নু ফেব্রিক্স ও ইস্টার্ন হাউজিং, ২৭ জানুয়ারি ইনডেক্স অ্যাগ্রো, রংপুর ফাউন্ড্রি, এএমসিএল (প্রাণ), ম্যারিকো, ওয়ালটন হাইটেক, সিনোবাংলা, পদ্মা অয়েল ও নাহি অ্যালুমিনিয়াম, ২৮ জানুয়ারি ন্যাশনাল টিউবস, ২৯ জানুয়ারি উসমানিয়া গ্লাস এবং ৩০ জানুয়ারি শাশা ডেনিমস, ইফাদ অটোস, আরডি ফুড, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল এবং শিপইয়ার্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পর্ষদ সভা হবে।
এসব সভায় চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিকের ব্যবসায়িক অবস্থান অনুমোদন করা হবে। একইসঙ্গে স্টেকহোল্ডারদের জন্য তা প্রকাশ করা হবে।
ঢাকা/এনটি/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতের জিডিপির এক-তৃতীয়াংশ শতকোটিপতিদের হাতে
ভারতে অতি ধনীদের বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে। এই শ্রেণির মানুষের সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে এই শ্রেণির মানুষের হাতে থাকা সম্পদের পরিমাণ।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরুতে ভারতে এই শতকোটিপতি বা বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮৪। দেখা যাচ্ছে, গত বছর এই সময় ভারতে শতকোটিপতির সংখ্যা ছিল ২৭১; অর্থাৎ এক বছরে ভারতে শতকোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে ১৩। সম্প্রতি প্রকাশিত দ্য হুরুন গ্লোবাল রিচ লিস্ট, ২০২৫-এ এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের শতকোটিপতিদের সম্পদের পরিমাণ এখন ৯৮ লাখ কোটি রুপি। এই অঙ্ক ভারতের মোট দেশজ উৎপাদন বা মোট জিডিপির এক-তৃতীয়াংশ।
শতকোটিপতির সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে ভারতের এই শ্রেণির মানুষের সম্পদ বেড়েছে। দেশটিতে শতকোটিপতিদের হাতে থাকা সম্পদের পরিমাণ এখন সৌদি আরবের মোট জিডিপি বা দেশজ উৎপাদনের চেয়ে বেশি। দ্য হুরুন গ্লোবাল রিচ লিস্ট, ২০২৫-এ বলা হয়েছে, গত বছর ভারতের শতকোটিপতিদের সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। একই সঙ্গে সামগ্রিকভাবে ভারতের ধনীদের সম্পদের পরিমাণ গত এক বছরে ৬২ শতাংশ বেড়েছে। তাঁদের সম্পদের পরিমাণ লাখ কোটি ডলারের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেছে। হুরুন গ্লোবালের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান গবেষক আনাস রহমান জুনাইদ এটিকে ভারতের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক আখ্যা দিয়েছেন।
প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, ২০২২ সালে ভারতে শতকোটিপতির সংখ্যা ছিল ২৪৯। কিন্তু ২০২৩ সালে তা কমে ১৮৭-তে নেমে আসে; গত বছর তা আবার বেড়ে ২৭১-এ ওঠে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে তা ৩০০ পেরিয়ে যাবে।
অতি ধনীদের সংখ্যার নিরিখে ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে তৃতীয়। ভারতের আগে আছে কেবল যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। ভারতের পরে আছে যথাক্রমে যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও সুইজারল্যান্ড। সেই সঙ্গে এশিয়ার শতকোটিপতিদের রাজধানী হিসেবে মুম্বাইকে হটিয়ে দিয়েছে চীনের সাংহাই শহর। সাংহাই শহরে এখন ৯২ জন শতকোটিপতির বসবাস, মুম্বাইয়ে ৯০ জন। এ ছাড়া বিশ্বের অন্য যেসব জায়গায় শতকোটিপতিদের সংখ্যা বাড়ছে সেগুলো হলো সিঙ্গাপুর, I রাশিয়া, কানাডা, তুরস্ক ও মেক্সিকো।
গত বছর ভারত ও এশিয়ার শীর্ষ ধনী মুকেশ আম্বানির সম্পদের পরিমাণ এক লাখ কোটি রুপি কমেছে। মূলত খঋণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় তাঁর সম্পদ কমেছে। প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৮ দশমিক ৬ লাখ কোটি রুপি।
ভারতের ধনীদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে থাকা গৌতম আদানির সম্পদের পরিমাণ গত বছর প্রায় এক লাখ কোটি রুপি বেড়েছে। তাঁর সম্পদের পরিমাণ এখন ৮ দশমিক ৪ লাখ কোটি রুপি। তিনি এখন বিশ্বের ১৮তম শীর্ষ ধনী। গত বছর তিনি কিছু সময়ের জন্য এশিয়ার শীর্ষ ধনীর আসনে বসেছিলেন।
ভারতীয় অতি ধনীদের গড় বয়স ৬৮ বছর; বৈশ্বিক পর্যায়ে যা ৬৬ বছর; অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে ভারতীয় অতি ধনীরা কিছুটা পিছিয়ে আছেন।
এ বছর ভারতের সর্বকনিষ্ঠ অতি ধনী হিসেবে তালিকায় উঠে এসেছেন রাজোরপের সহপ্রতিষ্ঠাতা শশাঙ্ক কুমার ও হর্ষিল মাথুর। তাঁদের দুজনেরই বয়স মাত্র ৩৪ বছর।