ত্বকে কোলাজেনের পরিমাণ বাড়ায় যেসব ফল
Published: 22nd, January 2025 GMT
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কোলাজেন খুবই উপকারী। ভালো ত্বকের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোলাজেন এমন এক ধরনের প্রোটিন, যা ত্বকের একটি প্রধান বিল্ডিং ব্লক এবং ত্বকের গঠন, শক্তি এবং স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। যারা ত্বকের কোলাজেন বাড়াতে চান প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় তাদের কিছু ফল যোগ করা উচিত। যেমন-
কমলা: কমলালেবুতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় এই ফল শরীরকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। দূষিত পদার্থ এবং সূর্যের সংস্পর্শে ত্বক নিস্তেজ হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে কমলা মুখের উজ্জ্বলতা বেজায় রাখতে ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন একটি বা দুটি কমলা খেলে কালো দাগ ও ব্রণের দাগ হালকা হয়ে যায়।
বেরি: সব ধরনের বেরি, যেমন স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, রাস্পবেরি, ব্ল্যাকবেরি এবং ক্র্যানবেরি কোলাজেন সমৃদ্ধ সুস্বাদু ফল। সব বেরিতেই প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি থাকায় এই জাতীয় ফল ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও বেরিতে রয়েছে এলাজিক অ্যাসিড, যা ত্বককে ইউভি ড্যামেজ থেকে রক্ষা করে।
গ্রীষ্মমন্ডলীয় ফল: আনারস, কিউই, প্যাশন ফল, আম এবং পেয়ারার মতো ফল কোলাজেন বাড়ায়। এসব ফল শুধু খেতেই সুস্বাদুই নয়, শরীরকে ভিতর থেকে পুষ্টি জোগায়। তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকায় এটি ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে। এর পাশাপাশি পেঁপেতে প্যাপেইন নামক একটি এনজাইম রয়েছে, যা ত্বকের এক্সফোলিয়েটিং বৈশিষ্ট্য বলে পরিচিত।
আঙ্গুর ফল : আঙ্গুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এই ফল ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করতে সাহায্য করে। আঙ্গুর খেলে হায়ালুরোনিক অ্যাসিড পুনরায় পূরণ করতে সাহায্য করে, যা আপনাকে আরও কোলাজেন বুস্ট দিতে পারে।
অ্যাভোকাডো: এই ফলটি অনেক স্বাস্থ্য উপকারী এবং সুস্বাদুও। অ্যাভোকাডো খেলে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ে। সেই সঙ্গে ত্বক নরম ও কোমল হয়। এতে ভিটামিন ই এবং ভিটামিন সি এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এই ফল কোলাজেন বাড়াতে সাহায্য করে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স হ য য কর থ ক য় এই পর ম ণ
এছাড়াও পড়ুন:
শিক্ষক ও সাংবাদিক জগদীশ চন্দ্র ঘোষের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
ফরিদপুরের প্রবীণ শিক্ষক ও সাংবাদিক জগদীশ চন্দ্র ঘোষ ওরফে তারাপদ- এর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী বুধবার পালিত হয়েছে। দিনটি স্মরণে তাঁর ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলীর বাসভবনে গীতাপাঠসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ ছাড়া দুপুরে স্থানীয় রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম ও ফরিদপুরে শ্রীঅঙ্গনে বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ২০২১ সালের ২ এপ্রিল ৯৩ বছর বয়সে তিনি মারা যান।
১৯২৮ সালের ৬ আগস্ট মানিকগঞ্জের কাঞ্চনপুর গ্রামে জন্ম হয় জগদীশ চন্দ্র ঘোষের। ১৯৭১ সালের ২ মে পাকিস্তানি বাহিনীর হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় তাঁর পরিবার। ওই দিন তাঁর বাবা যোগেশ চন্দ্র ঘোষ, ভাই গৌরগোপাল ঘোষ ও কাকাতো ভাই বাবলু ঘোষ গণহত্যার শিকার হন।
জগদীশ চন্দ্র ঘোষ শিক্ষকতার পাশাপাশি সাংবাদিকতা করতেন। দীর্ঘ ৪০ বছর তিনি বাংলাদেশ অবজারভার পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া নাটকসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন তিনি।