টেকনাফে সাড়ে ৪ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার
Published: 22nd, January 2025 GMT
কক্সবাজারের টেকনাফে অভিযান চালিয়ে ৪ লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে বিজিবি। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে নাফ নদীর পাড়ে অভিযান পরিচালিত করে এসব ইয়াবা জব্দ করা হয়।
টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল আশিকুর রহমান জানান, মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি মিয়ানমার থেকে একটি বড় মাদকের চালান দেশে আসতে পারে। এ তথ্যের ভিত্তিতে লেদা বিওপির আওতাধীন মেম্বার পোস্ট এলাকায় ব্যাটালিয়ন সদর এবং লেদা বিওপি থেকে দুটি দল অভিযান চালায়।
অভিযানের সময় পাচারকারীরা দুইটি বস্তা ফেলে নদী সাঁতরে পালিয়ে যায়। এ সময় অন্য পাচারকারীরা সেই বস্তা নিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে বিজিবি তাদের ধাওয়া করে। এ সময় তারা বস্তাগুলো ফেলে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়। অভিযান শেষে তল্লাশি চালিয়ে বস্তাগুলোর ভেতর থেকে ৪ লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
অভিযানে বাংলাদেশি কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তবে জড়িতদের শনাক্ত করতে অনুসন্ধান চলছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান।
ঢাকা/তারেকুর/ইমন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু
বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।
শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।
তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।
তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।