মালয়েশিয়া যেতে না পারা কর্মীদের কারওয়ান বাজারে সড়ক অবরোধ
Published: 22nd, January 2025 GMT
টাকা দিয়েও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মালয়েশিয়া যেতে না পারা কর্মীরা কারওয়ান বাজারে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় প্রায় ১৫০ কর্মী সার্ক ফোয়ারার সামনে জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এর ফলে কারওয়ান বাজার থেকে পান্থপথ পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আন্দোলনকারীরা জানান, গত ৩১ মে মালয়েশিয়া প্রবেশের শেষ সময় হলেও— এজেন্সি অজানা কারণে তাদের পাঠাতে পারেনি। এর মধ্যে একাধিকবার সরকারের পক্ষ থেকে টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলেও অনেকেই টাকা ফেরত পায়নি। অভিযোগ জানানোর পরও এর কোনো সুরাহা হয়নি।
ঘটনাস্থল থেকে এক আন্দোলনকারী বলেন, “টাকা দিয়ে দুই বছর সময় পার করেও মালয়েশিয়া যেতে পারিনি, আমরা আর মালয়েশিয়া যেতে চাই না, আমাদের টাকা ফেরত চাই। সিন্ডিকেটের ১০০ এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল করে মালিকদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে এবং বিদেশে পলাতক মালিকদের পাচার করা টাকা বাজেয়াপ্ত করে ক্ষতিগ্রস্তদের দিতে হবে।”
টাকা ফেরত চাওয়াসহ তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে– কর্মীদের সমস্যার সমাধান না করে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো বন্ধ রাখা, রিক্রুটিং এজেন্সির রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করা ট্রাভেল এজেন্ট, সাব এজেন্ট ও দালালদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার, মন্ত্রণালয় ও বিএমইটিতে অভিযোগ করার ৩-৪ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও নিষ্পত্তি না হওয়ার ব্যাখ্যা, দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধে নির্ধারিত অভিবাসন ব্যয় সরকারি কোনো ব্যাংকে জমা নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ, ক্ষতিপূরণ আদায় করে না দিতে পারলে সরকারকে ব্যর্থতার দায়গ্রহণ এবং সরকারি খরচে প্রত্যেককে মালয়েশিয়া ছাড়া অন্য যেকোনো দেশে বিনাখরচে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।
আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া মাইন উদ্দীন বাবু বলেন, “আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বো না।”
ঢাকা/হাসান/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অ্যাপে ওয়ালেট ফিচার
প্রবাসীর অর্থ প্রেরণে ট্যাপট্যাপ অ্যাপে যুক্ত হয়েছে ওয়ালেট ফিচার। অর্থ প্রেরণের প্রয়োজনে ওয়ালেটে অগ্রিম অর্থ জমা করা যাবে। আবার সেই অর্থ অন্য দেশে পাঠানোর আগে ভালো এক্সচেঞ্জ রেটে কনভার্ট সুবিধা পাওয়া যাবে।
ফলে তাৎক্ষণিক প্রয়োজন না হলে খুব ভালো এক্সচেঞ্জ রেটে অর্থ জমানো সম্ভব। জরুরি প্রয়োজনে তাৎক্ষণিক অর্থ বিনিময় করা যাবে। কিন্তু নিয়মিত অর্থ পাঠানোর ক্ষেত্রে অর্থ প্রেরণকারীরা ভবিষ্যতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অর্থ প্রেরণ করে। তাই পরে অর্থ পাঠানোর জন্য ওয়ালেট সুবিধা কাজ করবে। বিশেষ সেরা এক্সচেঞ্জ রেট নির্ধারণ করার সুযোগ থাকবে। অন্যদিকে, বড় অঙ্কের অর্থ প্রেরণে তার পরিমাণ আলাদা করে রাখা যায়। অ্যাপ নির্মাতারা বলেন, ওয়ালেটে আর্থিক লেনদেনের ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ আনা যায় আর লেনদেন হয় সাশ্রয়ী। এক্সচেঞ্জ রেটের সঙ্গে অর্থ প্রেরণের সময় নির্ধারণ করার সুবিধা থাকায় এতে আর্থিক পরিকল্পনা ও বাজেট করা সহজ হবে। ট্যাপট্যাপ সেন্ড ওয়ালেটের ব্যবহার পদ্ধতি সহজ। প্রথমে ওয়ালেটে অর্থ বা ফান্ড জমা করতে হবে।
ওয়ালেটে ফান্ড জমা হয়ে গেলে গ্রাহক সুবিধা অনুযায়ী অর্থ পাঠাতে পারবেন। সুনির্দিষ্ট কয়েকটি দেশে ও মুদ্রায় ফিচারটি সক্রিয়।
জানা গেছে, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরাত, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপের কিছু দেশের প্রবাসীরা এ অ্যাপের হোম স্ক্রিনে ওয়ালেট সুবিধা নিতে পারবেন। দ্রুতই ফিচারটি আরও কয়েকটি দেশে চালু করা হবে।