রাজধানীর গুলশান-২ এ মানি এক্সচেঞ্জের দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা ও নগদ ৮০ লাখ টাকাসহ প্রায় দেড় কোটি টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১০টার দিকে গুলশান-২ ডিসিসি মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

আহতরা হলেন- আব্দুল কাদের শিকদার (৩০) ও মোহাম্মদ আমির হামজা (২৫)। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসা কাদের শিকদারের ছোট ভাই মিন্টু শিকদার জানান, আমার ভাইসহ তারা দুজন মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ী। রাতে মোটরসাইকেলে তারা বাসায় ফেরার পথে গুলশান ডিসিসি মার্কেটের সামনে অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জন ছিনতাইকারী তাদেরকে ঘিরে ফেলে। একপর্যায়ে তারা মোটরসাইকেলে থাকা দুজনকে রড ও ধারালো ছুরি দিয়ে মাথায় আঘাত করে গুরুতর আহত করে। 

তিনি আরো জানান, ছিনতাইকারীরা তাদের কাছ থেকে ২৫ হাজার ডলার, ২০ হাজার ইউরো এবং ৮০ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। বিদেশি মুদ্রাসহ প্রায় দেড় কোটি টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায় তারা।

এ বিষয়ে গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক মারুফ আহমেদ বলেন, “আমরা বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়েছি। সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই-বাছাই চলছে। এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় হবে।”

অপরদিকে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় ছিনতাইকারীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মোহাম্মদ টিপু মিয়া (২২) নামে এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। 

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। 

তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা তার বন্ধু আব্দুল আজিজ জানান, টিপু মিয়া একজন প্রাইভেটকার চালক। রাত ১২টার দিকে মেরুল বাড্ডা আনন্দ নগর দিয়ে রিকশায় করে বাসায় যাওয়ার পথে ৪-৫ জন ছিনতাইকারী এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে তার কাছ থেকে ২৮ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে আমরা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে রাত ২টার দিকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসা হয়। 

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া জানান, গুলশান থেকে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে দুইজন মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ী আহত অবস্থায় ঢামেকে চিকিৎসাধীন আছে। এছাড়াও বাড্ডায় ছিনতাইকারীর হাতে এক প্রাইভেটকার চালক যুবক গুরুতর আহত হয়ে মেডিকেলের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ঢাকা/ইমন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

লাল-সবুজের জার্সিতে খেলবেন সামিত, জানিয়ে দিলেন আনুষ্ঠানিক সম্মতি

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে আরেক প্রবাসী ফুটবলারের আগমন প্রায় নিশ্চিত। কানাডা-প্রবাসী মিডফিল্ডার সামিত সোম জানিয়ে দিয়েছেন তিনি দেশের হয়ে খেলতে প্রস্তুত!

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সূত্রে জানা গেছে, ২৭ বছর বয়সী সামিত সোম আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মতি দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ফেডারেশনকে ই-মেইলের মাধ্যমে নিজের সিদ্ধান্ত জানান এই ফুটবলার। তার সম্মতিতে এবার শুরু হচ্ছে পাসপোর্ট তৈরির প্রক্রিয়া। জানা গেছে আগামীকাল রোববার থেকেই শুরু হবে পাসপোর্ট তৈরির কাজ।

বাংলাদেশের পরবর্তী আন্তর্জাতিক ম্যাচ আগামী ১০ জুন ঢাকায় সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে। বাফুফে চায় এর আগেই সামিতের সব কাগজপত্র ও ফিফার ছাড়পত্র সম্পন্ন করে তাকে জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করতে। জানা গেছে, সামিতও এই ম্যাচেই বাংলাদেশের জার্সি গায়ে জড়িয়ে অভিষিক্ত হতে আগ্রহী।

আরো পড়ুন:

বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ইমরুল হাসান

ঈদের শুভেচ্ছা বার্তায় যা বললেন হামজা-জামালরা

কে এই সামিত সোম?
জন্ম তার কানাডায়। পিতা-মাতা উভয়েই বাংলাদেশি। বর্তমানে তিনি কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে কালাভরি এফসির হয়ে খেলছেন। এছাড়া কানাডার হয়ে অনূর্ধ্ব-২০ (৭ ম্যাচ), অনূর্ধ্ব-২১ (৪ ম্যাচ) ও জাতীয় দলেও (২ ম্যাচ, ২০২০) খেলেছেন।

বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হলেও কানাডার হয়ে খেলায় সামিতের জাতীয় দলে খেলার আগে প্রয়োজন হবে ফিফার ছাড়পত্র। তবে যেহেতু ফিফার নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট শর্ত পূরণে খেলোয়াড়রা জাতীয়তা পরিবর্তন করতে পারেন, তাই খুব বেশি জটিলতা হবে না বলেই মনে করছে বাফুফে।

বাংলাদেশ দলে প্রবাসী ফুটবলারদের ধারাবাহিকতা:
সামিত সোম হচ্ছেন সর্বশেষ সংযোজন, যাঁরা দেশের বাইরে জন্ম নিয়েও বাংলাদেশের হয়ে খেলতে এসেছেন। শুরুটা করেছিলেন ডেনমার্ক প্রবাসী জামাল ভূঁইয়া ২০১৩ সালে। এরপর ফিনল্যান্ড থেকে এসেছেন তারিক কাজী। আর সবশেষ চমক ছিলেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলার হামজা চৌধুরী। যিনি গেল ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচেই মুগ্ধ করেন সবাইকে।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ