ঘরে,ব্যালকনি বা ছাদে অনেকেই শখের গাছ লাগান। কিন্তু গোটা সপ্তাহ অফিসের কাজ, সংসারের চাপের কারণে অনেকেই শখের গাছের পরিচর্যা করতে পারেন না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা পানি ঢালার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। তবে এভাবে দিনের পর দিন চলতে থাকলে গাছপালার স্বাস্থ্যে তার প্রভাব পড়তে পারে। বাগান করতে হলে শুধু পানি দিলেই হবে না, এর জন্য দরকার বাড়তি পরিচর্যা। কাজের দিনে সেই সময় না পেলেও, ছুটির দিনে গাছের দেখভাল জরুরি। 

কীভাবে নেবেন গাছের যত্ন

সূর্যালোক : ঘরের ভিতরে রাখা গাছ সাধারণত অল্প যত্ন, সূর্যালোকে বেড়ে ওঠে। তারপরও অন্তত ২-৩ ঘণ্টা এসব গাছ জানালার পাশে আলো-হাওয়ায় রাখা দরকার। যেদিন সময় পাবেন সেদিন গাছগুলি পরীক্ষা করে দেখে নিন, তাদের স্বাস্থ্য ঠিক আছে কি না। প্রয়োজনে গাছগুলোর অবস্থান বদল করে উপযুক্ত আলো-হাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

কাটছাঁট: গাছের বেড়ে ওঠার পাশাপাশি কাটছাঁটও খুব জরুরি। ফুলগাছের ক্ষেত্রে কোন কাণ্ড, কোন কুঁড়ি কাটতে হবে, শুকিয়ে যাওয়া ফুল কাটতে হবে, তা মাথায় রাখা দরকার। গাছে বেশি ফুল চাইলে এই পদ্ধতি খুব জরুরি।

টব: লক্ষ্য করলে দেখবেন গাছ যদি এমন কোনও জায়গায় রাখা হয়, যার এক দিকে সূর্যালোক আসে, তা হলে কাণ্ড সে দিকেই ডালপালা মেলে। এ ক্ষেত্রে এক সপ্তাহ পর পর টবের অবস্থান এ দিক-ও দিক করলে বা টবটি ঘুরিয়ে দিলে গাছ সব দিকে সমান ভাবে বাড়বে।

সার: গাছের বেড়ে ওঠার জন্য খাবার লাগে। টবের বা গাছের গোড়ার মাটি মাঝেমধ্যে আলগা করে দিলে আলো, হাওয়া চলাচল ভালো হয়। প্রয়োজন মতো সার দেওয়ার দরকার পড়ে।  গাছের খেয়াল রাখার সময় সার দিতে হবে কি না দেখে নিন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দরক র

এছাড়াও পড়ুন:

মানবাধিকার সুরক্ষায় কাজ করবে ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি হিউম্যান রাইটস অ্যাসোসিয়েশন’

ক্যাম্পাসে মানবাধিকার সুরক্ষা ও সচেতনতা তৈরির লক্ষ্য নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি হিউম্যান রাইটস অ্যাসোসিয়েশন’। রোববার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতিতে সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটির আনুষ্ঠানিক যাত্রার কথা জানানো হয়।

‘রাইজ ফর রাইটস (অধিকারের জন্য জাগো)’ স্লোগানকে সামনে রেখে গত বৃহস্পতিবার সংগঠনটির ২৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। রোববার সংবাদ সম্মেলনে ওই কমিটি ঘোষণা করা হয়।

নতুন এই সংগঠনের আহ্বায়ক হয়েছেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী তাহমিদ সাকিব। সদস্যসচিব করা হয়েছে ফ্রেঞ্চ ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড কালচার বিভাগের শিক্ষার্থী পত্র নন্দিতাকে। এ ছাড়া ইসমাঈল নাহিদ যুগ্ম আহ্বায়ক আর রুকাইয়া রচনা যুগ্ম সদস্যসচিব হয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন ধরে গণরুম, গেস্টরুম সংস্কৃতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে আর কখনো এই সংস্কৃতি যেন ফেরত না আসে, সেই লক্ষ্যে কাজ করবে সংগঠনটি।

সংগঠনের আহ্বায়ক তাহমিদ সাকিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ, সংখ্যালঘু অধিকারও জাতিগত সম্প্রীতি রক্ষা, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সহায়তা ও প্রয়োজনে আইনি পরামর্শ প্রদানসহ ক্যাম্পাসে মানবাধিকার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করবে ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি হিউম্যান রাইটস অ্যাসোসিয়েশন’। ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের কোনো ঘটনা ঘটলে সংগঠনটি শিক্ষার্থীদের পক্ষে কাজ করবে বলেও জানান তিনি।

তাহমিদ সাকিব বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার্থী নিপীড়নের ঘটনাগুলো আমরা দেখেছি। বিভিন্ন সময় যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে কিছু শিক্ষকের বিরুদ্ধে। কিন্তু সেগুলোর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের জোরালো ভূমিকা আমরা দেখিনি। নারী শিক্ষার্থীরা এখনো ক্যাম্পাসে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। অসংখ্য নারী নিপীড়নের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের ঘটনা আমরা দেখি না। এই সংগঠনটি এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করবে।’

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সদস্যসচিব পত্র নন্দিতা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা কম নয়, বরং অহরহ ঘটে। বিশেষ করে রাজনৈতিক পরিসরে। এর বাইরে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোতেও এটা বিদ্যমান। এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি, ডকুমেন্টেশন এবং অধিকার আদায়ে কাজ করবে তাঁদের এই সংগঠন।

আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে আরও আছেন তাপসী রাবেয়া, হুরে জান্নাত, তাজফিহা উখরোজ, সামিয়া মাসুদ, সুরমি চাকমা, নাফিসা নুজহাত, ইসরাত জাহান, আবদুল্লাহ আজিমসহ আরও অনেকে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ