ইতালির রোম থেকে ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফোন করে এই হুমকি দেওয়া হয়।

বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বলেন, খবর পাওয়ার সাথে সাথে বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়। পরে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিমানটি ঢাকায় অবতরণ করে। এসময় বিমানবাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার সাথে যাত্রীদের নামিয়ে আনেন। 

তিনি জানান, বোয়িং ৭৮৭ মডেলের বিমানটি থেকে ২৫০ জন যাত্রী ও ১২ ক্রুকে নিরাপদে বের করে টার্মিনালে আনা হয়েছে। বর্তমানে বিমানবাহিনীর সদস্যরা উড়োজাহাজটি ঘিরে রেখেছেন 

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো.

মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, খবর পাওয়ার সাথে সাথে বিমানবন্দরে ছুটে যাই। বিমানের সব যাত্রী ও ক্রু নিরাপদে আছেন। বর্তমানে যাত্রীদের লাগেজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। 

এর আগে ফ্লাইটটি মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৮টায় রোমের লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়েছিল।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

চাঁদে অবতরণের পথে দ্বিতীয় বেসরকারি মহাকাশযান ‘ব্লু ঘোস্ট’

চাঁদে অবতরণ করার পথে রয়েছে বেসরকারি মার্কিন মহাকাশযান ‘ব্লু ঘোস্ট’। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চন্দ্রপৃষ্ঠে নামতে পারে এটি। এই অভিযান সফল হলে তা হবে চাঁদে বেসরকারি কোনো মহাকাশযান যাওয়ার দ্বিতীয় ঘটনা।

এ মিশনের ডাকনাম দেওয়া হয়েছে, ‘ঘোস্ট রাইডার্স ইন দ্য স্কাই’। এক বছরের বেশি সময় আগে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে প্রথমবারের মতো চাঁদে নভোযান পাঠানো হয়। বর্তমান মিশনটি হচ্ছে এ ধরনের দ্বিতীয় অভিযান। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার অংশীদারত্বের একটি অংশ হিসেবে এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

চন্দ্রাভিযানটি পরিচালনা করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ফায়ারফ্লাই অ্যারোস্পেস’। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ব্লু ঘোস্ট মিশন ১’। যুক্তরাষ্ট্রের ইস্টার্ন সময় রোববার রাত ৩টা ৩৪ মিনিটে মহাকাশযানটির চাঁদে অবতরণ করার কথা রয়েছে।

ব্লু ঘোস্টকে চাঁদের উত্তর–পূর্বের কাছাকাছি মেয়ার ক্রিসিয়াম এলাকার মনস ল্যাটরেইল নামক স্থানের কাছে অবতরণ করানোর প্রচেষ্টা চালানো হবে।
মহাকাশ প্রতিষ্ঠানটি গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছে, ‘ব্লু ঘোস্ট চাঁদে নামার পথে!’

সোনালি রঙের মহাকাশযান ব্লু ঘোস্ট আকারে একটা জলহস্তীর সমান। স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেটের সহায়তায় গত ১৫ জানুয়ারি এটি উৎক্ষেপণ করা হয়। চলার পথে পৃথিবী ও চাঁদের চমকে দেওয়ার মতো সব দৃশ্য ধারণ করেছে মহাকাশযানটি।

এ মিশনের ডাকনাম দেওয়া হয়েছে, ‘ঘোস্ট রাইডার্স ইন দ্য স্কাই’। এক বছরের কিছু বেশি সময় আগে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে প্রথমবারের মতো চাঁদে নভোযান পাঠানো হয়। বর্তমান মিশনটি হচ্ছে এ ধরনের দ্বিতীয় অভিযান। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার অংশীদারত্বের একটি অংশ হিসেবে এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

সোনালি রঙের মহাকাশযান ব্লু ঘোস্ট আকারে একটা জলহস্তীর সমান। স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেটের সহায়তায় গত ১৫ জানুয়ারি এটি উৎক্ষেপণ করা হয়। চলার পথে পৃথিবী ও চাঁদের চমকে দেওয়ার মতো সব দৃশ্য ধারণ করেছে মহাকাশযানটি।

ব্লু ঘোস্ট ১০টি যন্ত্র বহন করছে। এর মধ্যে দুটি হলো, চাঁদের মাটি পরীক্ষা–নিরীক্ষা করার যন্ত্র ও তেজস্ক্রিয়তা সহনীয় একটি কম্পিউটার।

চাঁদের পূর্ণ এক দিন (পৃথিবীর ১৪ দিন) কাজ চালানোর উপযোগী করে ব্লু ঘোস্ট মিশনকে সাজানো হয়েছে। আগামী ১৬ মার্চ ব্লু ঘোস্ট চাঁদ থেকে সূর্যাস্তের দৃশ্য ধারণ করবে।

এর আগে গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে চাঁদে মহাকাশযান পাঠায় যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি ‘ইনটুইটিভ মেশিনস’। ১৯৭২ সালে অ্যাপোলো ১৭ মিশনের পর চাঁদে মহাকাশযান পাঠানোর প্রথম ঘটনাও ছিল এটি।

আরও পড়ুনচাঁদের উদ্দেশ্যে যাত্রা করল প্রথম বেসরকারি মহাকাশযান১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪আরও পড়ুন৫০ বছর পর চাঁদে অবতরণ করল মার্কিন মহাকাশযান২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চাঁদে অবতরণ করেছে ‘ব্লু গোস্ট’
  • চাঁদে অবতরণের পথে দ্বিতীয় বেসরকারি মহাকাশযান ‘ব্লু ঘোস্ট’