তারুণ্য ধরে রাখার জন্য জীবন যাপনে শৃঙ্খলা প্রয়োজন। এ ছাড়া ভিটামিন ই, ওমেগা থ্রি, আমিষ, বায়োটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা জরুরি। ত্বকে রক্তের প্রবাহ ঠিক থাকলে তারুণ্য ধরে রাখা যায়। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখার গুরুত্বপূর্ণ টিপস দিয়েছেন লাবীবা তাসনীম, প্রধান ফিটনেস পুষ্টিবিদ, ইন্সপিরন ফিটনেস এন্ড ডায়েট কনসালটেন্সি সেন্টার, ধানমন্ডি। 

এই পুষ্টিবিদন বলেন, ‘‘ যেসব খাবার কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায় সেগুলো ত্বককে দৃঢ় এবং বলিষ্ঠ রাখে। এর ফলে রিঙ্কল এবং ফাইন লাইন কমে যায়। যেমন—পেয়ারা, স্ট্রবেরি,আম, মটরশুঁটি, ফুলকপি,  সবুজ মরিচ পেঁপে, বাঁধাকপি, লেবু করোলা, আম,কিউই,ব্রকলি, কমলা ইত্যাদি। ত্বকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে ভিটামিন ই। এজন্য খাবার তালিকায় ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে। এই ধরনের খাবার ত্বকের কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং বার্ধক্যের লক্ষণ কমায়। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবারের তালিকায় আছে সূর্যমুখী বীজ, কাজুবাদাম, চিনা বাদাম, গমের ছালের তেল, সূর্যমুখী তেল, জলপাই তেল, পালং শাক, গাজর, অ্যাভোকাডো, লাল মিষ্টি মরিচ, কুমড়ার বীজ, ব্রোকলি ইত্যাদি। ত্বককে আর্দ্র ও কোমল রাখার জন্য ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার যেমন—চিয়াসিড, ফ্লেক্সসিড, আখরোট, কড মাছের তেল ও সার্ডিন মাছ খেতে পারেন। ত্বকের কাঠামো এবং দৃঢ়তা বজায় রাখতে উন্নত মানের আমিষ জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। আমিষের উৎস হিসেব দুধ, ডিম, মাছ, মাংস, হাড়ের মজ্জা, বাদাম, সামুদ্রিক মাছ খুব ভালো।’’

লাবীবা তাসনীম আরও বলেন, ‘‘ত্বক নরম ও কোমল রাখতে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। ত্বক, চুল এবং নখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বায়োটিন সমৃদ্ধ সূর্যমুখী বীজ, রোস্টেড কাঠবাদাম, গরুর কলিজা, মিষ্টি আলু, টুনা মাছ, ডিম, সালমন মাছ, টিনজাত মাশরুম গ্রহণ করা যেতে পারে। ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করার জন্য বেরি, গ্রিন টি, রঙিন ফলমূল শাকসবজি ইত্যাদি গ্রহণ করা যেতে পারে।’’

আরো পড়ুন:

সামনেই বিয়ে? ত্বকের যত্নে যা যা করতে পারেন

পনেরো দিন মেকআপ ব্যবহার না করলে ত্বকে যা ঘটে

এ ছাড়াও রূপচর্চার রুটিনে রাখা প্রয়োজন ইয়োগা, ফেসিয়াল এবং ব্যায়াম। তাহলে ত্বকে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। ত্বক সহজে তারুণ্য হারাবে না।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু

বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।

শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।

তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।

শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।

তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ