সাতক্ষীরার তালায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে দুটি ইটভাটায় ৪ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের জেল প্রদান করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের এস.এম.এম.বি ব্রিকস এবং এস.বি ব্রিকস এ অভিযান চালানো হয়। 

অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রণয় বিশ্বাস। এসময় পরিবেশ অধিদপ্তর সাতক্ষীরার সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলামসহ পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রণয় বিশ্বাস জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় ইটভাটাগুলোতে কাঠ পোড়ানোর প্রমাণ পাওয়া যায়। ফলে এস.

এম.এম.বি ব্রিকসে ২ লাখ এবং এস.বি ব্রিকসে আরও ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। 

তিনি জানান, অভিযানের সময় ইটভাটা মালিকরা পলাতক থাকায় এবং জরিমানার টাকা দিতে না পারায় এস.বি ব্রিকসের ম্যানেজার লাবলু সর্দার এবং এস.এম.এম.বি ব্রিকসের ম্যানেজার আল আমিনকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, পরিবেশ সংরক্ষণ ও অবৈধ কার্যক্রম বন্ধে এ ধরনের অভিযান কার্যকর ভূমিকা রাখছে। ভবিষ্যতেও এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ঢাকা/শাহীন/ইমন

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইটভ ট

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ