পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা বাড়লেও কমেনি শীতের দাপট
Published: 22nd, January 2025 GMT
উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও শীতের দাপট কমেনি। রাতভর কুয়াশা ঝরছে বৃষ্টির মত। সকালের দিকেও কুয়াশাচ্ছাদিত পথঘাট। ঘন কুয়াশার সঙ্গে কনকনে শীতে কাবু পুরো জনপদ। তীব্র শীতে স্থবিরতা নেমে এসেছে পঞ্চগড়ের জনজীবনে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
এর আগে, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় রেকর্ড হয়েছিলো ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ২৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে সকাল ৯টার পরও এ জেলায় সূর্যের দেখা নেই। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ৯৯ শতাংশ এবং গতিবেগ ঘণ্টায় ৮-৯ কিলোমিটার।
গত তিনদিন ধরে এ জেলায় অনুভূত হচ্ছে তুলনামূলক তীব্র শীত। হিমেল বাতাসের মধ্যেই মাঠে-ঘাটে কাজ করছেন শ্রমজীবীরা। হাড়কাঁপানো শীতে জবুথবু অবস্থা জনজীবনেও। কনকনে শীত আর হিমেল বাতাস সহজেই কাবু করছে এখানকার জনজীবন। দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের। সময়মত কাজে যেতে পারছেন না তারা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও বিকেলের পর থেকে আবারো বাড়ছে শীতের দাপট। বিপাকে যানবাহন চালকরাও। তাদেরকে হেডলাইট জ্বালিয়ে সাবধানে চলাচল করতে হচ্ছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, “আকাশের উপরিভাগে মেঘ এবং ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের তাপ ভূপৃষ্ঠে আসছে না। ফলে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে।”
ঢাকা/নাঈম/ইমন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পঞ্চগড়ে ফের মৃদু শৈত্যপ্রবাহ
দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড় আবারো মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে। একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ১০০ শতাংশ।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, ৮ দশমিক ১ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা বিরাজ করলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। সে হিসেবে এ এলাকার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
এর আগে, মঙ্গলবার একই সময়ে এখানে তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ২৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে, কনকনে শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন। রাত বাড়তে থাকলে বাড়ে শীতের দাপট। সকাল অবধি ঘর কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকে পথঘাট। বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও বিকেলের পর থেকে ফের বাড়ছে শীত।
কনকনে শীতে দুর্ভোগে রয়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষেরা। সময়মত কাজে যেতে পারছেন না শ্রমজীবীরা। বিপাকে যানবাহন চালকরাও। তাদেরকে সকালের দিকেও হেডলাইট জ্বালিয়ে সাবধানে চলাচল করতে হচ্ছে। শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, “উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ার কারণে তীব্র ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে পঞ্চগড়ে । ফলে আবারো মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে এ জেলায়। সামনের দিকে এ তাপমাত্রা এমন থাকতে পারে আরো কয়েকদিন।”
ঢাকা/নাঈম/ইমন