জামায়াত নেতার ছেলের বিস্ফোরণ আইনে দায়ের করা মামলায় গোবিন্দগঞ্জের দুই সাংবাদিককে কারাগারে পাঠিয়েছেন গাইবান্ধা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।

মঙ্গলবার হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিনে থাকা ওই দুই সাংবাদিক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেন গাইবান্ধা জেলা বার সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ফারুক আহম্মেদ প্রিন্স। 
 
সাংবাদিক দুজন হলেন- দৈনিক সকালের বাণী পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি রায়হান মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল ও দৈনিক আলো প্রতিদিন পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি ও গোবিন্দগঞ্জ চৌকি আদালতের শিক্ষানবীশ আইনজীবী নূর মোহাম্মদ রায়হান ফরহাদ লিখন।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ঘটনায় ১১ বছর পর ২০২৪ সালের ১৪ নভেম্বর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুন্নবী প্রধানের ছেলে তাহারাত তানভীর প্রধান বাদী হয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানায় হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে দুই সাংবাদিকসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

নাচোলে খাসজমি নিয়ে সংঘর্ষে আহত ব্যক্তির মৃত্যু

চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায় খাসজমি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত তরিকুল ইসলাম বকুল (৫০) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। 

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ভোরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। নাচোল থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম এতথ্য নিশ্চিত করেছেন । 

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে আহত হন গোমস্তাপুর উপজেলার হোগলা এলাকার মৃত তামিজ উদ্দিনের ছেলে তরিকুল ইসলাম বকুল।

আরো পড়ুন:

সাতক্ষীরায় বিএনপির দু’ গ্রুপে সংঘর্ষ, ১৪৪ ধারা জারি

প্রমীলা ফুটবল টুর্নামেন্ট নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৭

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নাচোল উপজেলার হাজারদীঘী বিলের প্রায় ৬০ বিঘা খাস জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগ করছেন একই উপজেলার চন্দ্রনা গ্রামের লোকজন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে খাসজমি দখল নিতে আসে গোমস্তাপুর উপজেলার নয়াদিয়াড়ি এলাকার ২৫-৩০ জন ব্যক্তি। এ সময় উভয় পক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘাতে জড়ায়। এ ঘটনায় চারজন আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের হাসপাতালে ভর্তি করে। তাদের মধ্যে তিনজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এই তিনজনের মধ্যে ছিলেন তরিকুল ইসলাম বকুলও।

নাচোল থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, “জমি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তরিকুল ইসলাম বকুল গুরুতর আহত হন। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ দেননি নিহতের স্বজনরা। অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে  ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/মেহেদী/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ