পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি অভিযানে নিহত ১০
Published: 22nd, January 2025 GMT
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে প্রাণঘাতী অভিযান চালিয়েছে। এতে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ ফিলিস্তিনি। ভূখণ্ডটির জেনিন শহরে চালানো অভিযানে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে শতাধিক মরদেহ ফিলিস্তিনের গাজায়। যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকরের পর গত ২ দিনে সেখান থেকে পঁচা-গলা এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনে ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে অন্তত ১০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং আরও অনেক আহত হয়েছেন বলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এছাড়া বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মীরা জানিয়েছেন, গাজায় ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে দুই দিনে ১২০টি পচা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বিশেষ ইউনিট জেনিন শরণার্থী শিবিরের বেশ কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালায় এবং ইসরায়েলি ড্রোন ওই এলাকার দুটি স্থানে হামলা চালায়। ইসরায়েলি পাবলিক ব্রডকাস্টার কান নিশ্চিত করেছে, শরণার্থী শিবিরের অবকাঠামো লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা হয়েছে।
একটি সামরিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জেনিনে চলমান এই অভিযানের কোড-নাম “আয়রন ওয়াল” এবং এটি কয়েক দিন ধরে চলতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়ও জেনিনে এই অপারেশনের কথা নিশ্চিত করেছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’