ফরিদপুরে হামলায় ৩ ডিবি পুলিশ আহত
Published: 22nd, January 2025 GMT
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার ডুমাইন বাজার এলাকায় মাদক ও জুয়ার আসরে অভিযান চলাকালে হামলার শিকার হয়েছেন ফরিদপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সদস্যরা। এ ঘটনায় আহত ডিবি পুলিশের তিন সদস্যকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (২১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাটি ঘটে বলে জানান ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা।
হাসপাতালে ভর্তিকৃতরা হলেন- এসআই আব্দুল জব্বার, এসআই দেওয়ান শফিকুল এবং এএসআই শফিকুল ইসলাম।
আরো পড়ুন:
ফরিদপুরে হাসপাতালে হেনস্তায় রোগীর মৃত্যু, স্বজনদেরও মারধর
খুলনায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলে, অতঃপর
পুলিশ জানায়, সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে জুয়া ও মাদকের আসরে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশের একটি দল। এসময় তাদের ওপর হামলা চালায় জুয়ারি ও মাদক সেবকরা। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হন।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তৌসিফ সরকার প্রিয় বলেন, “আহতদের শরীরের বিভিন্ন অংশ ইনজুরি রয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে।”
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা বলেন, “হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা চলছে। যারা হামলা করেছে তাদের প্রত্যেকের নামে মামলা হবে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/তামিম/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুরে পুলিশের হাত থেকে আটক ব্যক্তি ছিনতাই
ফরিদপুরের সদরপুর থানা পুলিশের হাত থেকে এক আটক ব্যক্তি ছিনতাই হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আটক ওই ব্যক্তিকে ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে আটরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিল মোড় এলাকা থেকে ফারুক হোসেন বাকু নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। তিনি আটরশি এলাকার সাড়ে সাতরশি গ্রামের মৃত মানিক মল্লিকের ছেলে।
এ বিষয়ে সদরপুর থানা পুলিশের ভাষ্য, আটরশি উরস শরীফকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি আটরশি এলাকায় ফারুক হোসেন বাকু পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গা থানার দুর্বৃত্তকারী লোকজন নিয়ে প্রতিনিয়ত মহরা দেয় নিজের শক্তি জানান দেওয়ার জন্য। পরে পুলিশ এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে বাকুকে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে।
বাকুকে আটকের পর থেকে মুক্ত করতে সদরপুর উপজেলা স্থানীয় বিএনপির’র একটি অংশ থানায় ছুটে আসেন।
এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাকতালীয় ভাবে আটক বাকু অসুস্থতার কথা জানালে স্থানীয় বিএনপির ওই অংশ তাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। ওই সময় থানার এসআই হাদীউজ্জামান ও সঙ্গীয় কনস্টেবল দিয়ে বাকুকে চিকিৎসার জন্য সদরপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাইদুল হাসান শাওন তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেন।
এসআই হাদীউজ্জামান বলেন, ওই সময় আমি ও একজন কনস্টেবল ছিলাম। বাকুর প্রায় ২০ জন লোক ছিল। হাসপাতাল থেকে বের হলেই বাকুর লোকজন পুলিশের হাত থেকে তাকে ছিনিয়ে একটি প্রাইভেট কারে উঠিয়ে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সদরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোতালেব হোসেন জানান, পুলিশের নিকট থেকে আটকৃত ফারুক হোসেন বাকুকে যারা ছিনিয়ে নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। এবং তাকে আটক করতে থানা পুলিশের অভিযান চলছে।