মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ
Published: 22nd, January 2025 GMT
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশ নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ আমন্ত্রণ জানান মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের চেয়ারম্যান ক্রিস্টোফ হিসজেন।
আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি জার্মানির মিউনিখে ‘বায়রিশার হফ’ হোটেলে এ নিরাপত্তা সম্মেলন শুরু হবে। যা চলবে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
দাভোসে বৈঠকে মুহাম্মদ ইউনূস ও ক্রিস্টোফ হিসজেন জুলাই-অগাস্ট গণঅভ্যুত্থান নিয়ে আলোচনা করেন। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ঢাকার সম্পর্ক, রোহিঙ্গা সংকট ও অনলাইনে বাংলাদেশ সম্পর্কিত নানা অপপ্রচার নিয়েও কথা হয় তাদের মধ্যে।
ক্রিস্টোফ হিসজেন বলেন, “ফেইসবুকের মতো অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বাংলাদেশ সম্পর্কে অনেক মিথ্যা ছড়ানো হয়।”
তার পরামর্শ, বাংলাদেশ চাইলে ইউরোপের দেশগুলোর মত একটা আইন করতে পারে, যেখানে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোয় ‘ফ্যাক্ট চেক’ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী ও এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।
ডব্লিউইএফ সম্মেলনে যোগ দিতে গত সোমবার রাত ১টায় ঢাকা ছাড়েন প্রধান উপদেষ্টা। সুইজারল্যান্ডে পৌঁছান মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টা ২৫ মিনিটে।
সম্মেলনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস বৈঠক করেছেন। এছাড়া, বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ ও থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার বৈঠক হওয়ারও কথা রয়েছে।
সম্মেলনে বাংলাদেশ বিষয়ক একটি সংলাপে যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে ব্যবসায়ী নেতাদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীরা উপস্থিত থাকবেন। আগামী ২৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
তথ্যসূত্র: বাসস
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দুর্ঘটনায় আহত অভিনেত্রী খুশি, চোখের ওপর পড়েছে ১০ সেলাই
দুর্ঘটনার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। বুধবার সকালে রমনা পার্ক থেকে বাড়ি ফেরার সময় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় তিনি আহত হন। অভিনেত্রীর ছেলে সৌম্য জ্যোতি সমকালকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বুধবার সকালে আম্মু রমনা পার্কে হাটতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাসায় ফেরার সময় গলির মধ্যে একটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে আম্মু ছিটকে পড়ে যায় এবং তার ঠিক চোখের ওপর জখম হয়। পরে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সিটি স্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন তিনি আপাতত ভালো আছেন।’
এদিকে কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান শাহনাজ খুশি। সেখানে তিনি বলেন, ‘বেশি না, মাত্র ১০টা সেলাই পড়েছে। এ আর এমন কি বলেন? চোখটা অন্ধ হয় নাই, হয় নাই ব্রেইন হ্যামারেজের মত শেষ অবস্থা! সেটাই তো অনেক বেশি পাওয়া! এ তেমন কিছু না, চোখের উপরের সেনসেটিভ জায়গায় মাত্র ১০ টা সেলাই লেগেছে! আমি যে প্রাণে বেঁচে আছি এ জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা কাছে শুকরিয়া আদায় করছি!’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘কিচ্ছু চাই না আমি, শুধু যে মায়েরা/বাবারা ছোট্ট বাচ্চাটার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন অথবা নানান প্রয়োজনে রাস্তায় যান, তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়ত ভেঙেচুরে বেঁচে গেছি। কোন বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না! ব্যাটারি চালিত অসভ্য/বর্বর যানবাহনটি এবং তার অসভ্য চালক থেকে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। যদিও আমি গলির ভেতরের রাস্তায়, প্রাতঃ ভ্রমণ শেষে অতি সর্তকতার সাথেই একেবারে কিনার দিয়ে হেঁটে ফিরছিলাম! ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গেছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারো জীবনের ক্ষতির তোয়াক্কা করে না! আপনার এবং আপনার সন্তানের দায়িত্ব একান্তই আপনার। আজ চারদিন পরও মাথার অর্ধেকে কোন বোধশক্তি নাই!
সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরবো কিনা, সেটা যদিও ফিরি রক্তাক্ত সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেককাল ভুলবো না! কাতর অবস্থায় বিছানায় পরে থেকে বারবার একটা প্রশ্ন মনে আসছে, এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেন-বাস, রিকশা কিংবা প্রাইভেট গাড়িতে দিনেরাতে ছিনতাই। কার কাছে চাইব আমাদের সন্তানদের নিরাপদ পথচলা।’