মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশ নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সুইজার‌ল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সম্মেলনের ফাঁকে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ আমন্ত্রণ জানান মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের চেয়ারম্যান ক্রিস্টোফ হিসজেন।

আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি জার্মানির মিউনিখে ‘বায়রিশার হফ’ হোটেলে এ নিরাপত্তা সম্মেলন শুরু হবে। যা চলবে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

দাভোসে বৈঠকে মুহাম্মদ ইউনূস ও ক্রিস্টোফ হিসজেন জুলাই-অগাস্ট গণঅভ্যুত্থান নিয়ে আলোচনা করেন। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ঢাকার সম্পর্ক, রোহিঙ্গা সংকট ও অনলাইনে বাংলাদেশ সম্পর্কিত নানা অপপ্রচার নিয়েও কথা হয় তাদের মধ্যে।
ক্রিস্টোফ হিসজেন বলেন, “ফেইসবুকের মতো অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বাংলাদেশ সম্পর্কে অনেক মিথ্যা ছড়ানো হয়।”

তার পরামর্শ, বাংলাদেশ চাইলে ইউরোপের দেশগুলোর মত একটা আইন করতে পারে, যেখানে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোয় ‘ফ্যাক্ট চেক’ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী ও এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।

ডব্লিউইএফ সম্মেলনে যোগ দিতে গত সোমবার রাত ১টায় ঢাকা ছাড়েন প্রধান উপদেষ্টা। সুইজারল্যান্ডে পৌঁছান মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টা ২৫ মিনিটে।

সম্মেলনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস বৈঠক করেছেন। এছাড়া, বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ ও থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার বৈঠক হওয়ারও কথা রয়েছে।

সম্মেলনে বাংলাদেশ বিষয়ক একটি সংলাপে যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা। সেখানে ব্যবসায়ী নেতাদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীরা উপস্থিত থাকবেন। আগামী ২৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

তথ্যসূত্র: বাসস

ঢাকা/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শিক্ষক ও সাংবাদিক জগদীশ চন্দ্র ঘোষের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

ফরিদপুরের প্রবীণ শিক্ষক ও সাংবাদিক জগদীশ চন্দ্র ঘোষ ওরফে তারাপদ- এর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী বুধবার পালিত হয়েছে। দিনটি স্মরণে তাঁর ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলীর বাসভবনে গীতাপাঠসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

এ ছাড়া দুপুরে স্থানীয় রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম ও ফরিদপুরে শ্রীঅঙ্গনে বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ২০২১ সালের ২ এপ্রিল ৯৩ বছর বয়সে তিনি মারা যান।

১৯২৮ সালের ৬ আগস্ট মানিকগঞ্জের কাঞ্চনপুর গ্রামে জন্ম হয় জগদীশ চন্দ্র ঘোষের। ১৯৭১ সালের ২ মে পাকিস্তানি বাহিনীর হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় তাঁর পরিবার। ওই দিন তাঁর বাবা যোগেশ চন্দ্র ঘোষ, ভাই গৌরগোপাল ঘোষ ও কাকাতো ভাই বাবলু ঘোষ গণহত্যার শিকার হন।

জগদীশ চন্দ্র ঘোষ শিক্ষকতার পাশাপাশি সাংবাদিকতা করতেন। দীর্ঘ ৪০ বছর তিনি বাংলাদেশ অবজারভার পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া নাটকসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন তিনি। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ