ফরিদপুরে অভিযানে হামলার শিকার ডিবি
Published: 22nd, January 2025 GMT
ফরিদপুরের মধুখালীতে মাদক ও জুয়ার আসরে অভিযানের সময় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সদস্যের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ডিবির তিন সদস্য আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের ডুমাইন বাজারে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় আহতদের মধ্যে এসআই জব্বার হোসেন ও দেওয়ান মুহাম্মদ সবুর এবং এএসআই শফিকুল ইসলামকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া চার-পাঁচজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালের চিকিৎসক মো.
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) শৈলেন চাকমা জানান, রাতে ডুমাইন বাজারে মাদক ও জুয়ার আসরের খবর পেয়ে অভিযানে যায় ডিবির ৭ থেকে ৮ সদস্যের একটি দল। এ সময় দুজনকে মাদকসহ আটক করা হয়। জুয়ার আসর থেকে টাকাসহ অন্যান্য সরঞ্জামও জব্দ করা হয়। হঠাৎ মাদক কারবারি ও জুয়াড়িসহ স্থানীয়রা অতর্কিত হামলা চালায়। এতে গুরুত্বর আহত হন তিনজন। অন্যরাও কম-বেশি আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হবে। আটক দুজনকে নিয়ে আসা হয়েছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পুলিশের সোর্স ভেবে ইউপি সদস্য ও তার স্ত্রীকে কুপিয়ে আহত
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে পুলিশের সোর্স মনে করে নাজিম খান ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মাইদুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী জবা বেগমকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে তার প্রতিবেশী মাদক ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন। পরে আহতদের উদ্ধার করে রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার (২ মার্চ) বিকেলে ইউপি সদস্য মাইদুল ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (১ মার্চ) গভীর রাতে যৌথ বাহিনী নাজিমখান ইউনিয়নের রামকৃষ্ণ গ্রামের মন্ডল পাড়া এলাকায় বেশ কয়েকজন মাদক কারবারীদের বাড়িতে অভিযান চালায়। এর মধ্যে ইয়াবা ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিনের বাড়িতেও অভিযান করে। যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে নিজাম সটকে পড়ে। এসময় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৯২১ গ্রাম গাঁজা এবং ১৫ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।
আকটকৃতরা হলেন- বাছড়া মন্ডলপাড়া এলাকার আতাউর রহমানের ছেলে গণি মিয়া (৩৪) ও গকুলা গ্রামের মৃত আফসার আলী ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩২)।
পরদিন রবিবার বিকালে ওই ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মাইদুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী জবা বেগমকে পুলিশের সোর্স ভেবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে অতর্কিতভাবে কুপিয়ে জখম করে। তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে গেলে ইয়াবা ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
মাদক ব্যবসায়ী নিজামের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা রয়েছে। তার ভাই একজন পুলিশ কর্মকর্তা হওয়ায় সেই প্রভাব দেখিয়ে এলাকায় মাদকের সয়লাব ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে রাজারহাট থানা পুলিশের (ওসি-তদন্ত) তছলিম উদ্দিন বলেন, “কুপিয়ে আহত করার ঘটনা শুনেছি। তবে এই ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
ঢাকা/বাদশাহ্/এস