ফরিদপুরের মধুখালীতে মাদক ও জুয়ার আসরে অভিযানের সময় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সদস্যের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ডিবির তিন সদস্য আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের ডুমাইন বাজারে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় আহতদের মধ্যে এসআই জব্বার হোসেন ও দেওয়ান মুহাম্মদ সবুর এবং এএসআই শফিকুল ইসলামকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া চার-পাঁচজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালের চিকিৎসক মো.

তৌসিফ সরকার জানান, আহতদের মধ্যে জব্বারের মাথায় তিনটি আঘাত রয়েছে। বাকি দুজনকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। তবে কারও গুরুতর আঘাত নেই। সবাই আশঙ্কামুক্ত।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) শৈলেন চাকমা জানান, রাতে ডুমাইন বাজারে মাদক ও জুয়ার আসরের খবর পেয়ে অভিযানে যায় ডিবির ৭ থেকে ৮ সদস্যের একটি দল। এ সময় দুজনকে মাদকসহ আটক করা হয়। জুয়ার আসর থেকে টাকাসহ অন্যান্য সরঞ্জামও জব্দ করা হয়। হঠাৎ মাদক কারবারি ও জুয়াড়িসহ স্থানীয়রা অতর্কিত হামলা চালায়। এতে গুরুত্বর আহত হন তিনজন। অন্যরাও কম-বেশি আহত হয়েছেন। 

তিনি বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হবে। আটক দুজনকে নিয়ে আসা হয়েছে। 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

কোটি টাকা সহায়তা দাবি শহীদ পরিবারের

বিভিন্ন দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবার। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় শুরু হওয়া কর্মসূচি চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে গণঅভ্যুত্থানে আহত আমিনুল ইসলাম ইমন বলেন, ‘আমরা এখানে যারা উপস্থিত হয়েছি, প্রত্যেকের পায়ে চিকিৎসার জন্য বেড়ি পরানো, হাতে ক্ষত। আমরা যুদ্ধ করেছি। সম্মুখসারিতে ছিলাম বলেই আমাদের গুলি লেগেছে, আহত হয়েছি। আমাদের ভাইয়েরা শহীদ হয়েছেন। আমরা এই সরকারেরই একটা অংশ। কিন্তু আমাদের পরিবার চলতে পারছে না। আমরা যারা আন্দোলন করেছি, আমাদেরই শিশু না খেয়ে থাকে, স্কুল-কলেজে যেতে পারে না। 

তাই শহীদ পরিবারগুলোকে এককালীন ১ কোটি ও আহতদের ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’
অবস্থান কর্মসূচি থেকে আরও কিছু দাবি জানানো হয়। সেগুলো হলো– আন্দোলনে আহত ও শহীদদের বিষয়ে সরকারের যে কোনো আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে সংশ্লিষ্ট পরিবারের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের জাদুঘর নির্মাণ, শহীদদের স্মরণে দিবস ঘোষণা, আহতদের আজীবন সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা, গণঅভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত এবং আহত ও শহীদ পরিবারের আজীবন নিরাপত্তা দিতে আইন প্রণয়ন করা, আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি বা আজীবন পুনর্বাসন, শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা ও চাকরি করতে সক্ষমদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা কার্যক্রম চলছে। এরই মধ্যে ২ হাজার ২০০ পরিবার সহায়তা পেয়েছে। ‘শহীদ পরিবারের পাশে বাংলাদেশ’ কর্মসূচির আওতায় এ সহায়তা দিচ্ছে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন।
এদিকে গতকাল বিকেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, জুলাই আন্দোলনে চোখে ও মেরুদণ্ডে গুলিবিদ্ধ দু’জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন– ইমরান হোসাইন ও মহিউদ্দীন রাব্বি। সকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইটে সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল আই সেন্টার 
এবং ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের উদ্দেশে তারা রওনা দেন। এ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে 
মোট ২২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানো হলো।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চাঁদপুরে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে গোলাগুলি, নিহত ২
  • ভারতে কুম্ভ মেলায় পদপিষ্ট হয়ে নিহত ১৫ 
  • কোটি টাকা সহায়তা দাবি শহীদ পরিবারের