বাংলাদেশে সহিংসতা প্রতিরোধে ৬০ কোটি ৫০ লাখ টাকা দেবে ইইউ
Published: 21st, January 2025 GMT
বাংলাদেশে গণপরিসর, কর্মক্ষেত্র এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে চুক্তি সই করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। মঙ্গলবার ইইউর ঢাকা কার্যালয়ে এ চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী ইউএন উইমেনকে ৬০ কোটি ৫০ লাখ টাকা (৪ দশমিক ৮ মিলিয়ন ইউরো) দেবে ইইউ।
প্রকল্পের আওতায় নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধের মাধ্যমে ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশে সহিংসতামুক্ত একটি সমাজ গড়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কাজ করবে ইউএন উইমেন। একই সঙ্গে সুশীল সমাজ ও নারী অধিকার সংগঠনের নেতৃত্বকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব নিশ্চিত করবে তারা।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে ইইউর রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধি দলের প্রধান মাইকেল মিলার বলেন, উদ্যোগটি লিঙ্গ সমতা উন্নয়ন ও নারীদের প্রতি সহিংসতা দূর করার ক্ষেত্রে প্রতিটি সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য ইইউর প্রতিশ্রুতির উৎকৃষ্ট উদাহরণ। এটি এমন নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করবে, যেখানে নারী ও মেয়েরা হয়রানি বা বৈষম্যের ভয় ছাড়াই উন্নতি করতে পারবেন।
সমর্থন ও কৌশলগত অংশীদারিত্বের জন্য ইইউকে ধন্যবাদ জানিয়ে ইউএন উইমেনের প্রতিনিধি মিস গীতাঞ্জলি সিং বলেন, নারী ও মেয়েদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, বৈষম্যমূলক নিয়মকানুন মোকাবিলা এবং সুশীল সমাজে বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশে লিঙ্গ সমতাকে বাস্তবে পরিণত করায় এ সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শিক্ষক ও সাংবাদিক জগদীশ চন্দ্র ঘোষের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
ফরিদপুরের প্রবীণ শিক্ষক ও সাংবাদিক জগদীশ চন্দ্র ঘোষ ওরফে তারাপদ- এর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী বুধবার পালিত হয়েছে। দিনটি স্মরণে তাঁর ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলীর বাসভবনে গীতাপাঠসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ ছাড়া দুপুরে স্থানীয় রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম ও ফরিদপুরে শ্রীঅঙ্গনে বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ২০২১ সালের ২ এপ্রিল ৯৩ বছর বয়সে তিনি মারা যান।
১৯২৮ সালের ৬ আগস্ট মানিকগঞ্জের কাঞ্চনপুর গ্রামে জন্ম হয় জগদীশ চন্দ্র ঘোষের। ১৯৭১ সালের ২ মে পাকিস্তানি বাহিনীর হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় তাঁর পরিবার। ওই দিন তাঁর বাবা যোগেশ চন্দ্র ঘোষ, ভাই গৌরগোপাল ঘোষ ও কাকাতো ভাই বাবলু ঘোষ গণহত্যার শিকার হন।
জগদীশ চন্দ্র ঘোষ শিক্ষকতার পাশাপাশি সাংবাদিকতা করতেন। দীর্ঘ ৪০ বছর তিনি বাংলাদেশ অবজারভার পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া নাটকসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন তিনি।