গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একটি পোশাক তৈরির কারখানার শ্রমিকরা রাতের ডিউটি বাতিল ও ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে।
উপজেলার নিশ্চিন্তপুর দোকানপাড় এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে লিবাস টেক্সটাইল নামের পোশাক তৈরির কারখানার কয়েকশ শ্রমিক এ কর্মসূচি পালন করে। এ সময় মহাসড়কের উভয় পাশে প্রায় ছয় কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তির শিকার হন শত শত যানবাহনের যাত্রী।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানান, নিশ্চিন্তপুর এলাকার লিবাস টেক্সটাইল কারখানার জহির উদ্দিন নামের এক শ্রমিক গত সোমবার রাত ১২টার দিকে ডিউটি শেষে কর্মস্থল থেকে সফিপুরের বাসায় ফিরছিলেন। তিনি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সফিপুর ফ্লাইওভারের পূর্বপাশে পৌঁছালে একদল ছিনতাইকারী তাঁর পথরোধ করে। ছিনতাইকারীরা জহিরের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। মঙ্গলবার সকালে কারখানার শ্রমিকের মধ্যে খবরটি ছড়িয়ে পড়ে। এতে শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে বেলা ৩টার দিকে মহাসড়ক অবরোধ করে রাতের ডিউটি বাতিলের দাবিসহ ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। এ খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে বিকেল ৫টার দিকে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। 
শিল্প পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু তালেব জানান, পুলিশ কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সুরাহা করবে বলে তিনি শ্রমিকদের কথা দিয়েছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অবর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে সরকার একা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না: তথ্য উপদেষ্টা 

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া, দেশি-বিদেশি যারা আমাদের সহযোগী ও স্টেকহোল্ডার রয়েছে, তাদের পরামর্শ ছাড়া এ বিষয়ে সরকার একা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। জনগণ বারবার বলছে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে। আমরা মনে করি, সরকার সবার সঙ্গে পরামর্শ-পর্যালোচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেবে।

বুধবার লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের পূর্ব নারায়ণপুর ইসলামিয়া জুনিয়র দাখিল মাদ্রাসা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে বাড়িতে পৌঁছে মা-বাবাসহ স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার পর দাদা-দাদির কবর জিয়ারত করেন।

নির্বাচনের জন্য ডিসেম্বর এবং জুন দুটি টাইমলাইন আছে। এই টাইমলাইনের ভেতরেই  নির্বাচন হয়ে যাবে বলে জানান তথ্য উপদেষ্টা। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬-এর জুনের মধ্যে নির্বাচন দেবেন। এটি হচ্ছে সংস্কার কতটুকু হবে, কীভাবে হবে, তার ওপর নির্ভর করে। এর ভেতরেই নির্বাচন আমরা সীমিত রাখি। এর বেশি উচ্চাশা সরকারের ভেতর থেকেও নেই। আর এটা নিয়ে ধোঁয়াশারও কিছু নেই যে, কবে নির্বাচন হবে। নির্বাচন দিবে কি, দিবে না। অবশ্যই নির্বাচন হবে। রাজনৈতিক দলগুলো প্রস্তুতি নিক।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাহফুজ আলমের বাবা ও ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুর রহমান বাচ্চু মোল্লা, জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) সংগঠক হামজা মাহবুব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লক্ষ্মীপুর জেলা কমিটির আহ্বায়ক আরমান হোসেন, মুখপাত্র বায়েজীদ হোসেন ও মুখ্য সংগঠক সাইফুল ইসলাম মুরাদ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ