Samakal:
2025-04-10@03:59:25 GMT

ডিজিটাল পরিষেবা বাড়ল

Published: 21st, January 2025 GMT

ডিজিটাল পরিষেবা বাড়ল

স্মার্টফোনকে অনাকাঙ্ক্ষিত ক্ষতি থেকে বিশেষ সুরক্ষা দিতে ওয়াদার সঙ্গে অংশীজন হয়েছে প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অনার বাংলাদেশ। ব্র্যান্ডটি নিজস্ব গ্রাহককে সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিতে কাজ করবে।
ব্র্যান্ডের ক্রেতারা এখন ডিভাইসে দুই বছরের বাড়তি বিক্রয়োত্তর পরিষেবা ও দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতির কারণে স্ক্রিন প্রটেকশন সুবিধা পাবেন।
গ্রাহকের ভরসার প্রতীক হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে ব্র্যান্ডটি প্রতিশ্রুতি নিয়ে কাজ করছে। ব্র্যান্ডটির প্রতি ক্রেতার আস্থা আরও সুদৃঢ় হবে বলে উদ্যোক্তারা জানান।
অনার বাংলাদেশের হেড অব বিজনেস আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, গ্রাহকের স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরও সমৃদ্ধ করতে কাজ করছি। বিশেষ অফারের মাধ্যমে গ্রাহক অভিজ্ঞতা নিশ্চিতে নতুন মানদণ্ড স্থাপনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ওয়াদার সঙ্গে এমন অংশীজন হওয়ায় বিশ্বমানের ডিভাইস সুরক্ষা ও সহায়তা নিশ্চিতের সঙ্গে ব্র্যান্ডটি আরও নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠবে। ওয়াদার চিফ মার্কেটিং অফিসার শেখ খালিদুজ্জামান বলেন, ডিজিটাল অঙ্গনে নতুন অংশীজনের মাধ্যমে গ্রাহককে মানসম্মত পরিষেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে, যা 
অভিন্ন লক্ষ্য পূরণে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে।
শর্ত হচ্ছে, প্রকৃতভাবে কেনা সব স্মার্টফোনের জন্য বাড়তি বিক্রয়োত্তর সেবা ও স্ক্রিন প্রটেকশন সুবিধা প্রযোজ্য হবে। ফলে ক্রেতার জন্য বিক্রয়োত্তর পরিষেবা দীর্ঘ মেয়াদে নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে উদ্যোক্তারা জানান। অংশীজন চুক্তিতে অনার বাংলাদেশের এজিএম আবু দুজানা (সুজন), সিনিয়র মার্কেটিং ম্যানেজার মো.

ফারুক রহমান এবং ওয়াদার বিজনেস ডেভেলপমেন্ট লিড মির্জা রাশেদ নেওয়াজ উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পর ষ ব অ শ জন

এছাড়াও পড়ুন:

সময়সূচি থেকে পিছিয়ে যাওয়া যাবে না

সরকারি চাকরিতে পরীক্ষার জট খুলতে বাংলাদেশ কর্ম কমিশনকে (পিএসসি) হিমশিম খেতে হচ্ছে। বর্তমানে পিএসসির ঘাড়ে চারটি বিসিএস পরীক্ষার জট পড়েছে। এর মধ্যে ৪৪, ৪৫ ও ৪৬তম বিসিএসের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল আওয়ামী লীগ শাসনামলে। আর বর্তমান পিএসসি কর্তৃপক্ষ ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। এই পরীক্ষা নিয়েও নতুন জটিলতা শুরু হয়েছে। আবেদনকারীদের একাংশ পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন।

প্রথম আলোর খবর থেকে জানা যায়, ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় গত নভেম্বরে। এর প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আগামী ২৭ জুন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু ইতিমধ্যে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে পিএসসির সামনে বিক্ষোভ করেছেন। তাঁদের কয়েকজন প্রতিনিধি কমিশনের পদাধিকারীদের সঙ্গে আলোচনাও করেছেন।

পরীক্ষা পেছানো ও বাতিলের দাবিতে আন্দোলন সাম্প্রতিক একধরনের ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে, যার শুরু হয়েছিল গত বছর এইচএসসির অসমাপ্ত পরীক্ষা বাতিলের মধ্য দিয়ে।

পিএসসি আগামী দিনে প্রতিবছর একটি বিসিএস পরীক্ষা শেষ করার পরিকল্পনা নিয়েছে। কিন্তু আগের তিনটি পরীক্ষা বকেয়া রেখে সেটি করা সম্ভব হবে না। আগের জট খুলেই নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। একটি বিসিএস পরীক্ষার কয়েকটি ধাপ। প্রথমে ১০০ নম্বরে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়, যেখানে তিন থেকে চার লাখ আবেদনকারী অংশ নিয়ে থাকেন। এর মধ্য থেকে ১০ থেকে ১২ হাজার লিখিত পরীক্ষার জন্য উত্তীর্ণ হন এবং মৌখিক পরীক্ষার পর শূন্য পদের বিপরীতে নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত তালিকা করা হয়। এই দীর্ঘ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে যে লোকবল প্রয়োজন, পিএসসির তা নেই। তাদের নির্ভর করতে হয় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর।

পিএসসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিটি বিসিএস এক বছরের মধ্যে শেষ করার কথা বলেছেন। এ ছাড়া বিসিএস পরীক্ষার পাঠ্যসূচিতে পরিবর্তন আনাসহ পিএসসি নিয়ে পাঁচ বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন সরকারের কাছে যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে, তাতে দেড় বছরের মধ্যে বিসিএস পরীক্ষা শেষ করে নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে বিসিএস পরীক্ষা শেষ করতে হবে এক বছরের মধ্যে। বাকি প্রায় ছয় মাসে চূড়ান্ত ফল প্রকাশ ও নিয়োগ শেষ করতে হবে। এ জন্য প্রিলিমিনারি, লিখিত, মৌখিক ও মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা বছরের কোন সময়ে হবে, তারও একটি বার্ষিক পঞ্জিকা বা ক্যালেন্ডার নির্ধারণের কথা বলেছে কমিশন।

যেকোনো পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সমস্যা হলো তিন বিসিএসের জট। পিএসসি এই জট যত দ্রুত খুলতে পারবে, তত নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সহজ হবে। এই প্রেক্ষাপটে পিএসসির উচিত হবে ৪৪ বিসিএসের বাকি প্রক্রিয়া অবিলম্বে শেষ করো। এরপর পর্যায়ক্রমে তাদের ৪৫ ও ৪৬তম বিসিএসের পরীক্ষা শেষ করতে হবে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ৪৭ বিসিএসের কার্যক্রমও শুরু করতে হবে। মুষ্টিমেয় প্রার্থীর আবদারের মুখে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা পেছানো ঠিক হবে বলে আমরা মনে করি না। যেকোনো একটি পরীক্ষা পেছানোর প্রভাব পরবর্তী প্রতিটি পরীক্ষায় পড়বে। যেখানে সরকারি চাকরিতে বহু পদ খালি আছে, সেখানে পরীক্ষা পেছানোর অর্থ হবে চাকরিপ্রার্থীদের অনিশ্চয়তা আরও বাড়িয়ে দেওয়া। অতএব, পরীক্ষার সময়সূচির বিষয়ে তারা অনড় থাকবে আশা করি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ