স্মার্টফোনকে অনাকাঙ্ক্ষিত ক্ষতি থেকে বিশেষ সুরক্ষা দিতে ওয়াদার সঙ্গে অংশীজন হয়েছে প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অনার বাংলাদেশ। ব্র্যান্ডটি নিজস্ব গ্রাহককে সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিতে কাজ করবে।
ব্র্যান্ডের ক্রেতারা এখন ডিভাইসে দুই বছরের বাড়তি বিক্রয়োত্তর পরিষেবা ও দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতির কারণে স্ক্রিন প্রটেকশন সুবিধা পাবেন।
গ্রাহকের ভরসার প্রতীক হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে ব্র্যান্ডটি প্রতিশ্রুতি নিয়ে কাজ করছে। ব্র্যান্ডটির প্রতি ক্রেতার আস্থা আরও সুদৃঢ় হবে বলে উদ্যোক্তারা জানান।
অনার বাংলাদেশের হেড অব বিজনেস আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, গ্রাহকের স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরও সমৃদ্ধ করতে কাজ করছি। বিশেষ অফারের মাধ্যমে গ্রাহক অভিজ্ঞতা নিশ্চিতে নতুন মানদণ্ড স্থাপনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ওয়াদার সঙ্গে এমন অংশীজন হওয়ায় বিশ্বমানের ডিভাইস সুরক্ষা ও সহায়তা নিশ্চিতের সঙ্গে ব্র্যান্ডটি আরও নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠবে। ওয়াদার চিফ মার্কেটিং অফিসার শেখ খালিদুজ্জামান বলেন, ডিজিটাল অঙ্গনে নতুন অংশীজনের মাধ্যমে গ্রাহককে মানসম্মত পরিষেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে, যা
অভিন্ন লক্ষ্য পূরণে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে।
শর্ত হচ্ছে, প্রকৃতভাবে কেনা সব স্মার্টফোনের জন্য বাড়তি বিক্রয়োত্তর সেবা ও স্ক্রিন প্রটেকশন সুবিধা প্রযোজ্য হবে। ফলে ক্রেতার জন্য বিক্রয়োত্তর পরিষেবা দীর্ঘ মেয়াদে নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে উদ্যোক্তারা জানান। অংশীজন চুক্তিতে অনার বাংলাদেশের এজিএম আবু দুজানা (সুজন), সিনিয়র মার্কেটিং ম্যানেজার মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মার্কিন পণ্যের শুল্কে ছাড় দিচ্ছে চীন, গোপনে তালিকা করছে
বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাব কমানোর চেষ্টা করছে চীন। মার্কিন পণ্যে যে ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে তারা, সেই শুল্ক থেকে কিছু কিছু মার্কিন পণ্যে ছাড় দিচ্ছে তারা। ইতিমধ্যে তার একটি তালিকাও করা হয়েছে। এমনকি কোম্পানিগুলোকে সে বিষয়ে তারা অবগতও করেছে। বিষয়টির সঙ্গে সম্পৃক্ত দুটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
ইতিমধ্যে চীন কিছু পণ্যে শুল্কছাড় দিয়েছে, যেমন নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ, মাইক্রোচিপস, বিমানের ইঞ্জিন। সেই সঙ্গে কোম্পানিগুলোর কাছে তারা জানতে চেয়েছে, কোন কোন পণ্যে ছাড় দেওয়া প্রয়োজন। যদিও বিষয়টি নিয়ে আগে সংবাদ প্রতিবেদন করা হয়নি।
অনেকটা সন্তর্পণে এ কাজ করছে চীন। এতে সুবিধা হলো, তারা একদিকে জনসমক্ষে যুদ্ধংদেহী অবস্থান বজায় রাখছে, অন্যদিকে সবার অজান্তে ছাড় দিচ্ছে।
তবে এ তালিকায় ঠিক কী পরিমাণ পণ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তা পরিষ্কার নয় বা এখন পর্যন্ত তা জানা যায়নি। কর্তৃপক্ষও বিষয়টি জনসমক্ষে প্রকাশ করেনি। সেই সূত্র দুটিও নিজেদের পরিচয় প্রকাশ করতে চাননি। কারণ, এ তথ্য এখনো সরকারিভাবে জানানো হয়নি।
চীন সরকার গোপনে কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানিয়ে দিচ্ছে, কোন কোন পণ্যে এই ছাড় দেওয়া হয়েছে। মার্কিন এক ওষুধ কোম্পানির একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এই কোম্পানি চীনের বাজারে ওষুধ বিক্রি করে।
চীনের সাংহাই প্রদেশের সরকার সেই কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে গত সোমবার। সূত্র জানিয়েছে, সেদিনই তারা ছাড়ের তালিকা সম্পর্কে তাদের অবগত করে। ওষুধ তৈরিতে তাদের মার্কিন প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করতে হয়। সে জন্য তারা আগে থেকেই ছাড়ের বিষয়ে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করছিল।
সেই সূত্র আরও জানায়, ওষুধ তৈরিতে এখনো তাদের মার্কিন প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করতে হয়। আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, আরও বিভিন্ন কোম্পানিকে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের আমদানি করা পণ্যে শুল্কছাড়ের প্রয়োজন আছে কি না।
তবে এই ছাড়ের তালিকা ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। এর আগে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা ইথেনে ছাড় দিয়েছে। ইথেনের একমাত্র সরবরাহকারী যুক্তরাষ্ট্র। যে কারণে ইথেন প্রক্রিয়াজতাকারী কোম্পানিগুলো ছাড় চেয়েছে।
মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, শিগগিরই চীনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি হবে। তবে এই চুক্তিতে ন্যায্যতা থাকবে।
আরও দুটি সূত্র জানিয়েছে, এই বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাব পরিমাপ করতে চীন বিভিন্ন কোম্পানির ওপর জরিপ করছে। দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় কর্তৃপক্ষ এক বিদেশি ব্যবসায়িক লবিকে বলেছে, শুল্কের কারণে বড় ধরনের কী সমস্যা হতে পারে, তা যেন সরকারকে জানানো হয়।