Samakal:
2025-03-03@20:15:50 GMT

সম্পর্কের একঘেয়েমি দূর করুন

Published: 21st, January 2025 GMT

সম্পর্কের একঘেয়েমি দূর করুন

যে কোনো সম্পর্ক শুরুতে আনন্দময় ও রোমাঞ্চকর মনে হলেও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একঘেয়েমি আসতে পারে। এটিই স্বাভাবিক, কারণ সম্পর্কের ভিন্ন দিকগুলো নিয়ে কাজ না করলে তা ধীরে ধীরে একঘেয়েমির দিকে গড়ায়। তবে সম্পর্ককে সুন্দর রাখা সম্ভব, যদি কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া যায়। 
খোলামেলা আলোচনা 
যে কোনো সম্পর্কের ভিত্তি হলো সৎ থাকা এবং খোলামেলা আলাপ-আলোচনা। একে অপরের অনুভূতি, চাওয়া এবং সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করুন। আপনার অনুভূতিগুলো প্রকাশ করুন এবং সঙ্গীর কথাগুলো গুরুত্ব দিয়ে শুনুন। অনেক সময় ভুল বোঝাবুঝি থেকেই সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। এ কারণে সব সময় কথা বলার মাধ্যমে বিষয়গুলো পরিষ্কার রাখুন।
ছোট ছোট অভ্যাস গড়ে উঠুক 
ছোট ছোট ভালো অভ্যাস সম্পর্ককে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। প্রতিদিন সঙ্গীকে ছোটখাটো কাজে সাহায্য করা, ভালো ভালো কথা বলা এগুলো সম্পর্কের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এগুলো সম্পর্ককে মজবুত করতে বড় ভূমিকা রাখে।
একসঙ্গে সময় কাটান
রোজকার ব্যস্ততার ফাঁকে একসঙ্গে সময় কাটানো খুব জরুরি। একসঙ্গে বই পড়া, সিনেমা দেখা বা নতুন কোনো কাজ চেষ্টা করা– এসব করতে পারেন। সম্পর্ক একঘেয়ে হয়ে গেলে নতুন অভিজ্ঞতা তৈরি করার চেষ্টা করুন। নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া বা একসঙ্গে কোনো কাজ করা সম্পর্কের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা এনে দিতে পারে।
সেপারেশন টাইম
না, এখানে একদম আলাদা হয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়নি। যদি খুব বেশি একঘেয়েমি লাগে তাহলে দু’জন কিছু সময়ের জন্য আলাদা থাকুন। এ সময়টাতে দু’জনের কাটানো মুহূর্তগুলো মনে করার চেষ্টা করুন। একে অপরকে অনুভব করার চেষ্টা করতে পারেন, ঠিক তখনই একে অপরের অনুপস্থিতিটা বুঝতে পারবেন। এর ফলে একঘেয়েমি দূর হয়ে নতুন করে একে অপরের প্রতি ভালো লাগা সৃষ্টি হবে।
ডাবল-ডেট পরিকল্পনা 
দু’জন মিলে প্রায়ই তো আপনাদের ঘুরতে যাওয়া হয়। তবে মাঝেমধ্যে উভয়ের বন্ধুদের সঙ্গে মিলে একসঙ্গে ডাবল ডেটের পরিকল্পনা করতেই পারেন। এতে করে বন্ধুদের মধ্যে গড়ে ওঠা আড্ডায় একে অপরকে নিয়ে নানা প্রশ্ন এবং বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করে দু’জন দু’জনের বন্ডিংকে আরও পাকাপোক্ত করে একঘেয়েমি নিমেষই দূর করতে পারবেন।
সারপ্রাইজ দিন
একঘেয়েমি দূর করতে সঙ্গীকে মাঝেমধ্যে সারপ্রাইজ দিন। এটি হতে পারে তাঁর প্রিয় খাবার তৈরি করা, হঠাৎ করে কোনো উপহার দেওয়া বা ছোট কোনো নোটে ভালোবাসার কথা লেখা। এ ধরনের ছোট ছোট সারপ্রাইজ সঙ্গীকে আনন্দিত করে এবং সম্পর্কের মধ্যে নতুনত্ব যোগ করে।
নিজেকে সময় দিন
কখনও কখনও সম্পর্কের মধ্যে একঘেয়েমি আসার কারণ হতে পারে নিজের প্রতি কম সময় দেওয়া। নিজের যত্ন নেওয়া, ব্যক্তিগত শখ বা ইচ্ছে নিয়ে কাজ করা এবং মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া সম্পর্কের মধ্যে নতুন শক্তি এনে দেয়। আপনি যদি নিজের সঙ্গে খুশি থাকেন, তবে সম্পর্কেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
পরস্পরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন
কৃতজ্ঞতা সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে। প্রতিদিন সঙ্গীর ভালো দিকগুলো খুঁজে বের করুন এবং তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকুন। সঙ্গীকে তাঁর ছোট ছোট প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানান। এ ধরনের কৃতজ্ঞতা সম্পর্কের মধ্যে ইতিবাচকতা এবং আন্তরিকতা বজায় রাখে।
সমস্যা এড়িয়ে যাবেন না
অনেক সময় সম্পর্কের সমস্যাগুলো এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়, যা পরে বড় আকার ধারণ করতে পারে। সমস্যা দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে সেটি সমাধানের চেষ্টা করুন। ঠান্ডা মাথায় আলোচনা করুন এবং সমাধান খুঁজে বের করুন।
পরস্পরের ব্যক্তিত্বকে সম্মান করুন
সম্পর্কের মধ্যে একঘেয়েমি এড়ানোর জন্য সঙ্গীর ব্যক্তিত্ব এবং পছন্দ-অপছন্দকে সম্মান করা খুব জরুরি। পরস্পরের দৃষ্টিভঙ্গি ও চিন্তাধারাকে গুরুত্ব দিন এবং তাঁকে নিজের মতো করে গ্রহণ করুন। একসঙ্গে হাসিখুশি সময় কাটানোর চেষ্টা করুন। হাসিখুশি মুহূর্ত একঘেয়েমি দূর করে সম্পর্ককে সুন্দর রাখে।
সম্পর্কের প্রতি সচেতন থাকুন
সম্পর্কে বিনিয়োগ করতে হবে সময়, মনোযোগ এবং ভালোবাসা। সম্পর্ক নিয়ে উদাসীন হলে একঘেয়েমি আসতেই পারে। তাই প্রতিদিন চেষ্টা করুন সম্পর্ককে ভালো রাখার।
ছবি: আর্কাইভ
সূত্র: উইকি হাউ, বেটার আপ 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: একসঙ গ দ র কর সময় ক সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

এক বোনের বুয়েটে আরেকজনের মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ, প্রথমবার আলাদা হচ্ছেন তাঁরা

যারীন তাসনীম ও যাহরা তাসনীম যমজ বোন। মায়ের পেট থেকে স্কুল-কলেজের বেঞ্চে একসঙ্গে ছিলেন। এক টেবিলে পড়াশোনা, এক বিছানায় ঘুমানো—এভাবেই কেটেছে ১৭টি বছর। একজনের স্বপ্ন চিকিৎসক হওয়া, অন্যজনের প্রকৌশলী। সম্প্রতি যারীন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) এবং যাহরা টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। স্বপ্ন পূরণে এখন থেকে তাঁদের আলাদা থাকতে হবে।

যারীন ও যাহরা টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার শিক্ষক দম্পতি আবু জুয়েল ও চায়না আক্তারের যমজ মেয়ে। শিক্ষাজীবনে পিএসসি থেকে শুরু করে সব পরীক্ষায় তাঁরা জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। যারীন-যাহরার বাবা আবু জুয়েল উপজেলার সূর্য তরুণ শিক্ষাঙ্গন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক আর মা চায়না আক্তার উপজেলার শান্তিকুঞ্জ একাডেমির সহকারী প্রধান শিক্ষক। তাঁদের বাড়ি উপজেলার কচুয়া গ্রামে।

যারীন তাসনীম এবার বুয়েটে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। এর আগে এইচএসসি পরীক্ষায় রাজধানীর হলিক্রস কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে মায়ের পেটে ছিলাম। এক দোলনায় শুয়েছি। বড় হয়ে একই বিছানায় ঘুমিয়েছি। স্কুল-কলেজে একই বেঞ্চে বসে পড়াশোনা করেছি। শুধু কলেজ ছাড়া ওয়ান থেকে টেন পর্যন্ত এক সেট বইয়ে দুজন পড়েছি। আমাদের কখনো মুঠোফোন দেওয়া হয়নি। তবে কলেজে দুজনে মিলে একটি বাটন ফোন চালিয়েছি। ১৭ বছর একসঙ্গে থেকেছি। স্বপ্নপূরণে ও ভবিষ্যৎ জীবন গড়তে এখন থেকে আমাদের আলাদা থাকতে হবে।’

মায়ের পেট থেকে স্কুল-কলেজের বেঞ্চে একসঙ্গে ছিলেন যমজ দুই বোন। স্বপ্ন পূরণে এখন থেকে তাঁদের আলাদা থাকতে হবে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফের একসঙ্গে তারা
  • ফের একসঙ্গে ‘তোরা দেখ রে চাহিয়া’ বিজ্ঞাপনের সেই তিনজন
  • চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদার খালাসের রায় বহাল
  • একসঙ্গে জাহিদ-তমা-সারিকা, অবিচারের সত্য ঘটনা তুলে আনলেন রাফী
  • তুর্কমেনিস্তানে ইফতারির টেবিল সেজে ওঠে বাহারি সব খাবার দিয়ে
  • বেনুভিটা মানমন্দির থেকে ‘প্ল্যানেটারি প্যারেড’ দর্শন
  • ‘বইয়ের ভেতর দিয়ে আলাদা জগতের দেখা’
  • মেহেরপুরে হেডলাইটের আলো দেখে ৩টি হাতবোমা ফেলে পালাল ‘ডাকাত দল’, পরে উদ্ধার
  • জেন-জিদের হাত ধরে কর্মজগতে যে পরিবর্তন আসছে, আপনি কতটা মানিয়ে নিতে পারছেন
  • এক বোনের বুয়েটে আরেকজনের মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ, প্রথমবার আলাদা হচ্ছেন তাঁরা