Samakal:
2025-03-03@14:25:12 GMT

শিশুর প্রথম সলিড খাবার

Published: 21st, January 2025 GMT

শিশুর প্রথম সলিড খাবার

শিশু ছয় মাস পর্যন্ত কেবল মায়ের বুকের দুধ পান করে। ছয় মাস পর শিশু যখন বুকের দুধের পাশাপাশি বাড়তি খাবার খেতে শুরু করে তাকে উইনিং ফুড বলা হয়। এই উইনিং ফুড দিয়ে সলিড খাবার দেওয়া শুরু করা হয়। এ সলিড খাবার অবশ্যই ঘরের তৈরি খাবার দিয়ে শুরু করতে হবে। বাইরের প্রক্রিয়াজাত খাবার দিয়ে শুরু করা যাবে না। এ জন্য মা, বাবা কিংবা অভিভাবকদের সলিড খাবার শুরু করার আগে সঠিক ধারণা থাকতে হবে। 
শিশু প্রথম সলিড খাবারের মাধ্যমে নতুন স্বাদ ও গন্ধের পরিচয় পেতে শুরু করবে। এ জন্য এই সময় সব নতুন খাবার এক দিনে দেওয়া শুরু করবেন না। ধীরে ধীরে একেকটা করে খাবারে অভ্যস্ত করাতে হবে। 
শিশুকে সলিড খাবার দেওয়ার সময় অ্যালার্জি হতে পারে। এ জন্য খাবার গ্রহণের পর অ্যালার্জি হচ্ছে কিনা– অভিভাবকদের চিহ্নিত করতে হবে। যেসব লক্ষণ দেখলে অ্যালার্জি বলে চিহ্নিত করবেন সেগুলো হলো– পেট ব্যথা ও পেট মোচড়, বারবার বমি, গায়ে র‌্যাশ ওঠা কিংবা লালচে ভাব দেখা দেওয়া, নাক দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদি। 
কোনো খাবার দেওয়ার পর এ রকম লক্ষণ দেখা দিলে খাবারটি সাময়িক বন্ধ রাখুন। তারপর কিছুদিন পর সেটি আবার খাওয়াতে চেষ্টা করুন। যদি দ্বিতীয়বার শিশুর অ্যালার্জি হয়, তবে নিশ্চিত হোন সে খাবারে তার অ্যালার্জি আছে।
আমাদের দেশে অনেকেই শিশুর প্রথম সলিড খাবার হিসেবে খিচুড়ি দিয়ে থাকেন, যা ঠিক নয়। শুরুতে খিচুড়ি বা প্রোটিনের মতো ভারী খাবার দিলে শিশুর পাকস্থলীর ওপর চাপ পড়ে। এ ছাড়া প্রথম খাবার হতে হবে একটি করে উপাদান। নতুন খাবার দেওয়ার আগে ৩ থেকে ৫ দিন বিরতি দিন।
শিশুকে দিনে ২ থেকে ৩ কাপ পরিমাণ নরম খাবার দিয়ে শুরু করুন। শুরুতে সবজি হালকা চাপিয়ে নরম করে অথবা সেদ্ধ করে ম্যাশ করে দেওয়া উচিত। এ ছাড়া পিউরি করে ফল দিতে পারেন। পাকা ফল চটকে ১ থেকে ২ চা চামচ দিতে হবে। আস্তে আস্তে চাল, ডাল ও দুটি সবজি মিশ্রিত করে খাওয়াতে হবে।
শিশুর সলিড ফুডের কিছু নমুনা 
চটকানো পাকা কলা, মিষ্টি আলুর পিউরি, ডালের পানি দিয়ে চটকানো নরম ভাত বা মাড়, পাকা ফলের রস, জাউ ভাত, সেদ্ধ নরম সবজি ইত্যাদি। ধীরে ধীরে চাল-ডালের খিচুড়ি দিতে হবে। শিশুর রান্না করা খাবারে অবশ্যই ২ থেকে ৩ চা চামচ তেল দিতে হবে। এর বেশি নয়। 
কতটুকু দেবেন 
প্রথম দিন ১ চা চামচ, দ্বিতীয় দিন ২ চা চামচ, তৃতীয় দিন ৩ চা চামচ, প্রতিদিন ১ পোয়া বাটির হাফ বাটি দিনে ২ বার বাড়তি খাবার দিতে হবে। ১ থেকে ২ বার পুষ্টিকর নাশতা দিতে হবে। সারাদিন শিশু ৩ ঘণ্টা পরপর খাবে; যার মধ্যে দুটি বাড়তি খাবার ও দুটি পুষ্টিকর নাশতা থাকবে। শিশুর খাবার  হজম ও পুষ্টি শোষণ নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত পানি পান করাতে হবে।
শিশুর সলিড খাবার দেওয়ার সময় লক্ষণীয় বিষয় 
lশিশুর প্রথম সলিড খাবার শুরু করার সময় জাউভাত বা খাবারের সঙ্গে কিছু সবজি যেমন কাঁচা পেঁপে, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, বরবটি, গাজর ইত্যাদি মিক্সড করে খাওয়াতে হবে।
lদুই বছরের আগে সরাসরি গরুর দুধ না খাওয়ানো ভালো।
lসব খাবার শিশুর পছন্দ নাও হতে পারে। এ জন্য শিশুকে জোর করে খাওয়াবেন না।
lশিশু খেতে না চাইলে ধীরে ধীরে তার খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়াবেন।
lব্লেন্ড করে বা লিকুইড করে শিশুকে খাবার দেবেন না। এতে সে চিবিয়ে খেতে শিখবে না।
lশিশুকে সবসময় ঘরের তৈরি খাবার খাওয়ান এবং নিজ হাতে খেতে শেখান।
lশিশুকে খাওয়ানোর সময় অন্যমনস্ক হয়ে যেমন টিভি দেখতে দেখতে, খেলতে খেলতে, এদিক-ওদিক করে খাওয়াবেন না। v

লেখক: পুষ্টিবিদ, রাইয়ান হেলথ কেয়ার হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার, দিনাজপুর।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এ জন য র সময়

এছাড়াও পড়ুন:

টেকনাফে মুরগির টাকা নিয়ে বিরোধ, হামলায় ক্রেতা নিহত

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার মুরগি বিক্রির বকেয়া টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় এক ক্রেতা নিহত হয়েছেন।

সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মনিরঘোনা মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।

নিহত দিলদার মিয়া (৪৮) টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মনিরঘোনা এলাকার আব্দুস সোবহানের ছেলে। তিনি মনিরঘোনা স্টেশনে মুরগির ব্যবসা করতেন।

আরো পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে আঞ্চলিক দলের মধ্যে গোলাগুলি, গৃহবধূ নিহত

গাইবান্ধায় ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত নারীর পরিচয় মিলেছে 

নিহতের স্বজন ও স্থানীয়দের বরাতে ওসি গিয়াস উদ্দিন জানান, কিছুদিন আগে একই এলাকার আবুল হাশেমের ছেলে আব্দুল হাকিম দিলদার মিয়ার দোকান থেকে বাকিতে মুরগি কেনেন। দিলদার মিয়া পাওনা টাকা আদায়ের জন্য কয়েকবার তাগাদা দিলেও আব্দুল হাকিম টাকা পরিশোধ করেননি।

সোমবার দুপুরে মনিরঘোনা মসজিদের সামনে আবারো পাওনা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দিলদার মিয়া ও আব্দুল হাকিমের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আব্দুল হাকিম ও তার সঙ্গে থাকা লোকজন মিলে দিলদার মিয়াকে মারধর শুরু করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উখিয়ার পালংখালী স্টেশনের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন আরো জানান, ঘটনার পর থেকে আব্দুল হাকিমসহ অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/তারেকুর/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ