Samakal:
2025-01-31@11:54:19 GMT

শিশুর প্রথম সলিড খাবার

Published: 21st, January 2025 GMT

শিশুর প্রথম সলিড খাবার

শিশু ছয় মাস পর্যন্ত কেবল মায়ের বুকের দুধ পান করে। ছয় মাস পর শিশু যখন বুকের দুধের পাশাপাশি বাড়তি খাবার খেতে শুরু করে তাকে উইনিং ফুড বলা হয়। এই উইনিং ফুড দিয়ে সলিড খাবার দেওয়া শুরু করা হয়। এ সলিড খাবার অবশ্যই ঘরের তৈরি খাবার দিয়ে শুরু করতে হবে। বাইরের প্রক্রিয়াজাত খাবার দিয়ে শুরু করা যাবে না। এ জন্য মা, বাবা কিংবা অভিভাবকদের সলিড খাবার শুরু করার আগে সঠিক ধারণা থাকতে হবে। 
শিশু প্রথম সলিড খাবারের মাধ্যমে নতুন স্বাদ ও গন্ধের পরিচয় পেতে শুরু করবে। এ জন্য এই সময় সব নতুন খাবার এক দিনে দেওয়া শুরু করবেন না। ধীরে ধীরে একেকটা করে খাবারে অভ্যস্ত করাতে হবে। 
শিশুকে সলিড খাবার দেওয়ার সময় অ্যালার্জি হতে পারে। এ জন্য খাবার গ্রহণের পর অ্যালার্জি হচ্ছে কিনা– অভিভাবকদের চিহ্নিত করতে হবে। যেসব লক্ষণ দেখলে অ্যালার্জি বলে চিহ্নিত করবেন সেগুলো হলো– পেট ব্যথা ও পেট মোচড়, বারবার বমি, গায়ে র‌্যাশ ওঠা কিংবা লালচে ভাব দেখা দেওয়া, নাক দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদি। 
কোনো খাবার দেওয়ার পর এ রকম লক্ষণ দেখা দিলে খাবারটি সাময়িক বন্ধ রাখুন। তারপর কিছুদিন পর সেটি আবার খাওয়াতে চেষ্টা করুন। যদি দ্বিতীয়বার শিশুর অ্যালার্জি হয়, তবে নিশ্চিত হোন সে খাবারে তার অ্যালার্জি আছে।
আমাদের দেশে অনেকেই শিশুর প্রথম সলিড খাবার হিসেবে খিচুড়ি দিয়ে থাকেন, যা ঠিক নয়। শুরুতে খিচুড়ি বা প্রোটিনের মতো ভারী খাবার দিলে শিশুর পাকস্থলীর ওপর চাপ পড়ে। এ ছাড়া প্রথম খাবার হতে হবে একটি করে উপাদান। নতুন খাবার দেওয়ার আগে ৩ থেকে ৫ দিন বিরতি দিন।
শিশুকে দিনে ২ থেকে ৩ কাপ পরিমাণ নরম খাবার দিয়ে শুরু করুন। শুরুতে সবজি হালকা চাপিয়ে নরম করে অথবা সেদ্ধ করে ম্যাশ করে দেওয়া উচিত। এ ছাড়া পিউরি করে ফল দিতে পারেন। পাকা ফল চটকে ১ থেকে ২ চা চামচ দিতে হবে। আস্তে আস্তে চাল, ডাল ও দুটি সবজি মিশ্রিত করে খাওয়াতে হবে।
শিশুর সলিড ফুডের কিছু নমুনা 
চটকানো পাকা কলা, মিষ্টি আলুর পিউরি, ডালের পানি দিয়ে চটকানো নরম ভাত বা মাড়, পাকা ফলের রস, জাউ ভাত, সেদ্ধ নরম সবজি ইত্যাদি। ধীরে ধীরে চাল-ডালের খিচুড়ি দিতে হবে। শিশুর রান্না করা খাবারে অবশ্যই ২ থেকে ৩ চা চামচ তেল দিতে হবে। এর বেশি নয়। 
কতটুকু দেবেন 
প্রথম দিন ১ চা চামচ, দ্বিতীয় দিন ২ চা চামচ, তৃতীয় দিন ৩ চা চামচ, প্রতিদিন ১ পোয়া বাটির হাফ বাটি দিনে ২ বার বাড়তি খাবার দিতে হবে। ১ থেকে ২ বার পুষ্টিকর নাশতা দিতে হবে। সারাদিন শিশু ৩ ঘণ্টা পরপর খাবে; যার মধ্যে দুটি বাড়তি খাবার ও দুটি পুষ্টিকর নাশতা থাকবে। শিশুর খাবার  হজম ও পুষ্টি শোষণ নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত পানি পান করাতে হবে।
শিশুর সলিড খাবার দেওয়ার সময় লক্ষণীয় বিষয় 
lশিশুর প্রথম সলিড খাবার শুরু করার সময় জাউভাত বা খাবারের সঙ্গে কিছু সবজি যেমন কাঁচা পেঁপে, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, বরবটি, গাজর ইত্যাদি মিক্সড করে খাওয়াতে হবে।
lদুই বছরের আগে সরাসরি গরুর দুধ না খাওয়ানো ভালো।
lসব খাবার শিশুর পছন্দ নাও হতে পারে। এ জন্য শিশুকে জোর করে খাওয়াবেন না।
lশিশু খেতে না চাইলে ধীরে ধীরে তার খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়াবেন।
lব্লেন্ড করে বা লিকুইড করে শিশুকে খাবার দেবেন না। এতে সে চিবিয়ে খেতে শিখবে না।
lশিশুকে সবসময় ঘরের তৈরি খাবার খাওয়ান এবং নিজ হাতে খেতে শেখান।
lশিশুকে খাওয়ানোর সময় অন্যমনস্ক হয়ে যেমন টিভি দেখতে দেখতে, খেলতে খেলতে, এদিক-ওদিক করে খাওয়াবেন না। v

লেখক: পুষ্টিবিদ, রাইয়ান হেলথ কেয়ার হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার, দিনাজপুর।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এ জন য র সময়

এছাড়াও পড়ুন:

দেবীগঞ্জে দেয়ালে দেয়ালে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান

পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে লেখা হয়েছে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল থেকে পৌরসভার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে এই লেখা সাধারণ মানুষের নজরে আসে। তবে, কারা এই স্লোগান লিখেছেন, তা কেউ দেখেননি।

পৌরসভার শহীদ আব্দুল মান্নান সড়ক সংলগ্ন উপজেলা পরিষদ চত্বর, নৃপেন্দ্র নারায়ণ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের দেয়ালে লাল, কালো ও নীল রঙের কালি দিয়ে ‘জয় বাংলা’, ‘জয় শেখ হাসিনা’ এবং ‘শেখ হাসিনা তুমি আস্থা’- এমন স্লোগান লেখা হয়েছে।

এদিকে, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের অফিসিয়াল পেজ থেকে আজ দুপুর ১টায় দেবীগঞ্জের বিভিন্ন দেয়ালে লেখা স্লোগানের ছবি ও ভিডিও শেয়ার করা হয়। এ বিষয়ে জানতে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

দেবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান সুমন বলেন, ‘নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রশাসনকে জানানো হলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। রাতের আঁধারে দেয়ালে দেয়ালে ‘জয় বাংলা’ লিখছে তারা। উপজেলা ছাত্রদলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা সজাগ রয়েছে।"

প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পঞ্চগড় জেলা সমন্বয়ক ফজলে রাব্বী বলেন, ‍“গত ৫ আগস্টের পর শুধু দেবীগঞ্জ নয়, পুরো পঞ্চগড়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। দেবীগঞ্জ, বোদা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দেয়ালে এসব দেওয়াল লিখন লক্ষ্য করা গেলেও প্রশাসনের তেমন কোনো তৎপরতা নেই। এসব লেখা ’২৪ বিপ্লবের চেতনাকে ম্লান করার চেষ্টা করছে। যা রুখতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। প্রশাসনের প্রতি আহ্বান- তাদের (ছাত্রলীগ নেতাকর্মী) দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক। তাদের অপতৎপরতা রুখে দিতে পঞ্চগড় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।”

দেবীগঞ্জ থানার ওসি সোয়েল রানা মোবাইলে বলেন, “বিষয়টি আমাদের নজরে আসছে। এখনি কোনো মন্তব্য করতে পারছি না। বিষয়টি দেখছি আমরা।”

ঢাকা/নাঈম/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ