নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়
Published: 21st, January 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন নারায়ণগঞ্জের নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় যানজট, অটোরিক্সার দৌড়াত্ম, হকার, রেলওয়ে, স্বাস্থ্য, পরিবেশ দূষণসহ বিভিন্ন সমস্যা ও তার সমাধানে বিশদ আলোচনা হয়।
নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি আরিফ আলম দিপুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জীবনের সঞ্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো.
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রেস ক্লাবের কার্যকরী পরিষদের সহ-সভাপতি বিল্লাল হোসেন রবিন, যুগ্ম সম্পাদক আহসান সাদিক শাওন, কোষাধ্যক্ষ আনিসুর রহমান জুয়েল, কার্যকরী সদস্য আবু সাউদ মাসুদ, মাহফুজুর রহমান, আব্দুস সালাম, আফজাল হোসেন পন্টি, প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. রুমন রেজা, খন্দকার শাহ আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোস্তফা করিম, নাফিজ আশরাফ, প্রেসক্লাব সদস্য নাহিদ আজাদ, এম আর কামাল, রফিকুল ইসলাম রফিক, মজিবুল হক পলাশ, আমির হোসাইন স্মিথ, প্রণব কৃষ্ণ রায়, আনোয়ার হাসান, শওকত আলী সৈকত, জামাল উদ্দিন বারী, রাকিব উল হাসান, দিলীপ কুমার মন্ডল, মো. সাইফুল ইসলাম সায়েম, এমরান আলী সজিব, সাবিত আল হাসান প্রমুখ।
নবাগত জেলা প্রশাসক জেলার সার্বিক সমস্যার বিষয় তুলে ধরতে এবং সেগুলো সমাধানের জন্য সাংবাদিকদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন। পরে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে বিদায়ী এই জেলা প্রশাসককে শুভেচ্ছা স্মারক ও উপহার প্রদান করা হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ প র স ক ল ব ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
শরীয়তপুরে ডাকাতির ঘটনায় আরো এক জনকে গণপিটুনির পর পুলিশে সোপর্দ
শরীয়তপুরের কীর্তিনাশা নদীতে ডাকাতির চেষ্টার ঘটনায় আরো এক ডাকাতকে গণপিটুনি শেষে পুলিশে সোপর্দ করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এসময় একটি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ হয়।
শনিবার (১ মার্চ) সকালে সদর উপজেলার তুলাসার ইউনিয়নের আড়িগাঁও এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, “ডাকাতির ঘটনায় মোট আটজনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে দুইজন মারা গেছেন।”
আরো পড়ুন:
শরীয়তপুরে গণপিটুনিতে ২ ডাকাতের মৃত্যু, গুলিবিদ্ধ ৪
টঙ্গীতে ছিনতাইকারী সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
আরো পড়ুন: শরীয়তপুরে গণপিটুনিতে ২ ডাকাতের মৃত্যু, গুলিবিদ্ধ ৪
এদিকে, ডাকাতির ঘটনায় এখন পর্যন্ত আটজনকে আটক করা হয়েছে। তারা আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের সদস্য এবং তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আটককৃতদের মধ্যে চারজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- মুন্সীগঞ্জের মহেষপুর এলাকার সানাউল্লাহ গাজীর ছেলে রাকিব গাজী (৩৮), একই জেলার কালিরচর এলাকার বাচ্চুর ছেলে রিপন (৪০), শরীয়তপুরের জাজিরার কুণ্ডেরচর এলাকার মোহাম্মদ দেওয়ানের ছেলে আনোয়ার দেওয়ান (৫০) ও মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কুতুবপুর এলাকার হারুন তালুকদারের ছেলে সজিব তালুকদার (৩০)। এদের মধ্যে রিপন ও সজিব তালুকদার গণপিটুনির শিকার হয়ে মারা গেছেন।
স্থানীয়, পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার রাতে মাদারীপুরের রাজারচর এলাকায় বাল্কহেডে ডাকাতির চেষ্টা করে ডাকাতরা। পরে তাদের ট্রলার নিয়ে ধাওয়া দেয় স্থানীয়রা। এসময় ডাকাতরা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে পালিয়ে শরীয়তপুরের তেঁতুলিয়া এলাকায় যায়। সেখানে তাদের গতিপথ বাল্কহেড দিয়ে রোধ করেন স্থানীয়রা। এসময় ডাকাতরা পুনরায় হাতবোমা ও এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে আহত হন কয়েকজন। পরে ডাকাতরা স্পিডবোট ফেলে পালানোর সময় সাতজনকে আটকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা। পরে তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। আজ শনিবার সকালে আরো এক ডাকাতকে গণপিটুনি শেষে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। বর্তমানে তিনি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ওই ঘটনায় ডাকাতদের ছোড়া গুলিতে চারজন আহত হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে দুইজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, “ডাকাতির ঘটনায় একটি কাটা রাইফেল ও শর্টগানসহ দুটি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।”
ঢাকা/সাইফুল/মাসুদ