আলোচনায় ইসলামের পক্ষে ‘ভোটকেন্দ্রে এক বাক্স’
Published: 21st, January 2025 GMT
দেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে আলোচনায় রয়েছে ধর্মভিত্তিক দলগুলো। নির্বাচন ঘিরে প্রত্যেক দলই বিভিন্নভাবে নিজেদের ‘ভোটের শক্তি’ জানান দিচ্ছে। আলোচনায় এবার নতুন যুক্ত হলো জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর ‘জোটবদ্ধ’ হওয়ার ইঙ্গিত। দল দুটির পক্ষ থেকে ‘ভোটকেন্দ্রে এক বাক্স’ রাখার বার্তাও দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই মাদরাসা পরিদর্শন করেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.
দুই আমির প্রতিশ্রুতি দিয়ে জানিয়েছেন, ইসলামী দলগুলো নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নিজেদের এক করে জনগণের পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে। এ সময় চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ‘‘নির্বাচনে ইসলামের পক্ষে একটি বাক্স কেন্দ্রে পাঠানোর প্রচেষ্টা আগেও ছিল, এখনও তা অব্যাহত আছে। তবে এই প্রচেষ্টা সফল হবে যদি আমরা সময়মতো পদক্ষেপ নিতে পারি।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন এই দুই দল চায় এবং এটি দেশের জন্য উপকারী হবে।’’
এ সময় জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘‘আমরা ইসলামী দলগুলোর মধ্যে ঐক্য চাই এবং এটি আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। আমাদের ঐক্যবদ্ধ শক্তি দিয়ে আর কোনো প্রহসনের নির্বাচন হতে দেব না। নির্বাচনী সংস্কার শেষ হলে এবং যথাযথ সময়ের মধ্যে নির্বাচন দেওয়া হলে আমরা অবশ্যই অংশগ্রহণ করব।’’
তিনি বলেন, ‘‘দেশের ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে শতকরা ৯১ জন মুসলমান। আমাদের উচিত ইসলামের বিধান মেনে একটি সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। যেখানে আল্লাহর বিধান থাকবে, সেখানে দুর্নীতি ও অশাসন আসবে না।’’
এ সময় জামায়াত আমীর ডা. শফিকুর রহমান আরো বলেন, ‘‘আমাদের স্বাধীনতার ৫৪ বছর পূর্ণ হলেও আমরা স্বাধীন দেশের মর্যাদা পাইনি। এর মূল কারণ দুর্নীতি ও দুঃশাসন। যেখানে আল্লাহর বিধান থাকবে না, সেখানে দুর্নীতি এবং অশাসন আসবেই। যদি আমরা সমাজে আল্লাহর বিধান মানতাম, তাহলে দেশ এভাবে হত না।”
তিনি পুরোপুরি আল্লাহর বিধান মেনে চলতে চান এবং দেশের জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন।
ঢাকা/এনএইচ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসল ম র এ সময় দলগ ল
এছাড়াও পড়ুন:
শেষ ভাষণে ফিলিস্তিনিদের নিয়ে যা বলেছিলেন পোপ ফ্রান্সিস
পোপ ফ্রান্সিস মারা যাওয়ার আগে সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার বারান্দায় তাঁর শেষ বার্তায় গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন। ইস্টার সানডের ওই বার্তা উচ্চ স্বরে পড়েছিলেন তাঁর সহযোগী।
পোপ ফ্রান্সিস গতকাল সোমবার সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে ভ্যাটিকানে নিজ বাসভবন কাসা সান্তা মার্তায় মারা গেছেন।
৮৮ বছর বয়সী পোপ চিকিৎসকদের নির্দেশে তার কাজের চাপ সীমিত রেখে ইস্টারের জন্য ভ্যাটিকানের প্রার্থনায় সভাপতিত্ব করেননি। তবে অনুষ্ঠানের শেষে ‘উরবি অ্যাট অরবি’ নামে পরিচিত বার্ষিক আশীর্বাদ এবং বার্তার জন্য উপস্থিত হন।
নিউমোনিয়ার জন্য পাঁচ সপ্তাহ হাসপাতালে থাকার আগে পোপ ফ্রান্সিস গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের সমালোচনা জোরদার করে তুলছিলেন। গত জানুয়ারি মাসে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় মানবিক পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর এবং লজ্জাজনক।
ইস্টারের বার্তায় পোপ বলেন, গাজার পরিস্থিতি নাটকীয় ও শোচনীয়। একই সঙ্গে তিনি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের কাছে থাকা ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান।
পোপ তাঁর বার্তায় বলেন, ‘আমি সমস্ত ইসরায়েলি জনগণ এবং ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্দশার প্রতি আমার একাত্মতা প্রকাশ করছি। আমি যুদ্ধরত পক্ষগুলোর কাছে আবেদন করছি, যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করুন, জিম্মিদের মুক্তি দিন এবং শান্তির ভবিষ্যতের আকাঙ্ক্ষা পোষণকারী ক্ষুধার্ত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসুন।’
গত সপ্তাহে হামাস আরেকটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েলি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। এর পরিবর্তে জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধ শেষ করার জন্য একটি চুক্তি দাবি করেছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু শনিবার বলেছেন, তিনি হামাসের ওপর চাপ বাড়ানোর জন্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়। এতে এক হাজার ২০০ জন নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। এরপর থেকে ইসরায়েল গাজায় হামলা চালিয়ে আসছে। এতে ৫১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে যার অধিকাংশ নারী ও শিশু।