ফ্লোরিডার সিনেটর মার্কো রুবিও যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। সিনেট তার মনোনয়ন নিশ্চিত করবে। এর ফলে তিনিই হবেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার প্রথম সদস্য, যিনি কংগ্রেসের অনুমোদন পেতে যাচ্ছেন।

সিনেটের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটিতে তার কয়েক বছরের কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সংঘাতের বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে কথা বলেছেন তিনি।

তিনিই এখন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরে মোট প্রায় ৭০ হাজার কর্মী কাজ করে থাকে।

রুবিওকে পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ে খুবই কট্টর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশেষত ইরান ও চীনের বিষয়ে।

শপথ গ্রহণের পর মার্কো রুবিও বলেছেন, নতুন প্রশাসনের সবকিছু নির্ভর করবে তিনটি প্রশ্নের ওপর- ‘এটা কী আমাদের শক্তিশালী করবে? এটি কী আমাদের নিরাপদ করবে এবং এটা কী আমাদের আরও উন্নতি দিবে’?

‘যদি তা না হয়, তাহলে আমরা সেটি করবো না,’ তিনি বলেছেন।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন নতুন যুগের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, যা বিশ্বকে আরও নিরাপদ করে তুলবে।

‘ট্রাম্প এটি পরিষ্কার করেছেন যে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির প্রাথমিক ভূমিকা হবে শান্তি,’ বলেন তিনি।

সূত্র: বিবিসি

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পরর ষ ট রমন ত র র পরর ষ ট র

এছাড়াও পড়ুন:

দেড় ঘণ্টায় শেষ সুলভ মূল্যের ডিম-দুধ, পাননি অনেকেই

নির্ধারিত এলাকায় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের গাড়ি পৌঁছায় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। এরপর শুরু হয় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও গরুর মাংস বিক্রি। দুপুর ১২টার কিছুক্ষণ পরেই দেখা গেল গাড়িতে ডিম ও দুধ নেই। কেবল ১৬ কেজি গরুর মাংস অবশিষ্ট রয়েছে। অর্থাৎ মাত্র দেড় ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে সুলভ মূল্যে বিক্রির জন্য আনা দুধ ও ডিম।

আজ সোমবার চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলী ওয়্যারলেস এলাকায় দেখা গেছে এমন চিত্র। এদিন নগরের ওয়্যারলেস ও টেক্সটাইল এলাকায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর। এই কর্মসূচির আওতায় পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও ডিম প্রতি ডজন ১১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ প্রতিটি গাড়িতে ২০০ লিটার দুধ, ১ হাজার ৫০০ পিস ডিম ও ৭৫ কেজি করে মাংস ছিল। সে হিসেবে মাত্র দেড় ঘণ্টায় ২০০ লিটার দুধ ও ১২৫ ডজন ডিম বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। তবে দুপুর ১২টার দিকে তেমন ভিড় দেখা যায়নি সেখানে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, তাঁরা অনেকে আগে এসেও পণ্য পাননি।

এদিন অন্তত ১০ ক্রেতা দুধ-ডিম না পেয়ে ফেরত গেছেন। ডিম কিনতে আসা ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, ‘আমি দুপুর ১২টার দিকে এসে ডিম পাই নাই। বাসা থেকে আসতে আসতেই দেখি সব শেষ। তাঁরা নাকি দেড় হাজার ডিম আনছে। তাহলে আমরা পাই নাই কেন?’

গাড়ি থেকে এসব পণ্য কেনার জন্য প্রথমে টাকা দিয়ে স্লিপ নিতে হয়। কর্মকর্তারা জানান, একজন সর্বোচ্চ এক ডজন ডিম, এক বা দুই লিটার দুধ ও এক কেজি মাংস কিনতে পারেন। কেউ চাইলে শুধু ডিম, দুধ অথবা মাংস কিনতে পারবেন। তবে মাংসের চাহিদা তুলনামূলক কম।

দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া নিয়ে কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকায় ফ্রিজার ট্রাক রয়েছে। ফলে তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য পণ্য নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু চট্টগ্রামে সে সুযোগ নেই। তাই পরিমাণ কম। আবার দ্রুত ক্রেতাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

জানতে চাইলে দায়িত্বে থাকা বোয়ালখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রুমন তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা এসেছেন, তাঁদের সবাইকে পণ্য দেওয়া হয়েছে। মাংসের চাহিদা কম থাকায় কিছু মাংস থেকে গেছে। ডিমের চাহিদা বেশি ছিল। দেড় থেকে দুই ঘণ্টায় শেষ হয়ে গেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ