ফ্লোরিডার সিনেটর মার্কো রুবিও যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন। সিনেট তার মনোনয়ন নিশ্চিত করবে। এর ফলে তিনিই হবেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার প্রথম সদস্য, যিনি কংগ্রেসের অনুমোদন পেতে যাচ্ছেন।

সিনেটের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটিতে তার কয়েক বছরের কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সংঘাতের বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে কথা বলেছেন তিনি।

তিনিই এখন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কূটনীতিক। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরে মোট প্রায় ৭০ হাজার কর্মী কাজ করে থাকে।

রুবিওকে পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ে খুবই কট্টর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশেষত ইরান ও চীনের বিষয়ে।

শপথ গ্রহণের পর মার্কো রুবিও বলেছেন, নতুন প্রশাসনের সবকিছু নির্ভর করবে তিনটি প্রশ্নের ওপর- ‘এটা কী আমাদের শক্তিশালী করবে? এটি কী আমাদের নিরাপদ করবে এবং এটা কী আমাদের আরও উন্নতি দিবে’?

‘যদি তা না হয়, তাহলে আমরা সেটি করবো না,’ তিনি বলেছেন।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখন নতুন যুগের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, যা বিশ্বকে আরও নিরাপদ করে তুলবে।

‘ট্রাম্প এটি পরিষ্কার করেছেন যে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির প্রাথমিক ভূমিকা হবে শান্তি,’ বলেন তিনি।

সূত্র: বিবিসি

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পরর ষ ট রমন ত র র পরর ষ ট র

এছাড়াও পড়ুন:

সামারিক শক্তিতে মিয়ানমারের চেয়ে ২ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

চলতি বছর সামরিক শক্তির দিক থেকে মিয়ানমারের চেয়ে দুই ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। চলতি সপ্তাহে সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার প্রকাশিত সূচকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই র‌্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সামরিক বাজেট। সেনাবাহিনীর আকার, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর শক্তিকেও বিবেচনা করা হয়েছে সমীক্ষায়।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ারের সূচক অনুযায়ী, বিশ্বে সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এরপরে পরে রয়েছে রাশিয়া, চীন, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পরমাণু শক্তিধর হলেও পাকিস্তানের অবস্থান ১২ নম্বরে। তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও আর্জেন্টিনা। আর বাংলাদেশের প্রতিবেশী মিয়ানমার রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৬১ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে মোট সেনা সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭ হাজার ৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫ হাজার ১০০ সেনা। 

অন্যদিকে, মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৭৫ লাখ। এর মধ্যে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হওয়ার যোগ্য। মিয়ানমারের সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার। মিয়ানমারের রিজার্ভ সৈন্য রয়েছে ২০ হাজার। দেশটির বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৫ হাজার সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ১৬ হাজার সেনা। 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ