জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম সামিটের সাইডলাইনে তাদের মধ্যে বৈঠক হয়।

মঙ্গলবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম সামিটে যোগ দিতে চার দিনের সরকারি সফরে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার বিকেলে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে সুইজারল্যান্ড পৌঁছান ড.

মুহাম্মদ ইউনূস।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান দেশটির জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম জুরিখ।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাত ১টায় অধ্যাপক ইউনূস ও তার সফরসঙ্গীরা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।

এ ছাড়া ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব, বেলজিয়ামের রাজা ফিলিপ এবং থাই প্রধানমন্ত্রী পায়েংটার্ন শিনাওয়াত্রার সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রধান উপদেষ্টা সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের কন্যা শেখা লতিফা বিনতে মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ড, মেটাতে গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের প্রেসিডেন্ট স্যার নিক ক্লেগ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি জেনারেল ড. অ্যাগনেস ক্যালামার্ড এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মহাপরিচালক ড. এনগোজি ওকোনজো-আইওয়ালার সঙ্গেও বৈঠকে মিলিত হবেন।

আগামী ২৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আমার সম্মান নিয়ে কেউ খেলবে, এটা কখনো ছাড় দেই না

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) প্যামেন্ট ইস্যু ছাড়াও আলোচনার কেন্দ্রে আছে ফিক্সিংও। বেশ কিছু ক্রিকেটার সন্দেহের তালিকায় আছেন এমন সংবাদ মাঝপথ থেকে শোনা যাচ্ছে। এর মধ্যে একটি গণমাধ্যম ১০ ক্রিকেটারের নাম প্রকাশ করে একটি প্রতিবেদন করে। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, তাদের ফিক্সিং সন্দেহে জেরা করা হচ্ছে।

তবে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও বিসিবির দূর্নীতি দমন সংস্থা (আকসু) কোনো ক্রিকেটারের তালিকা আনুষ্ঠানিকভাবে কোথাও প্রকাশ করেনি। সন্দেহের তালিকায় থাকা ক্রিকেটারদের মধ্যে একজন মোহাম্মদ মিথুন। যিনি এবার চিটাগং কিংসকে দিচ্ছেন নেতৃত্ব।

এমন সংবাদ দেখার পর মিথুন হতভম্ব হয়ে যান। এরপর শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন মিথুন। তাতে কড়াভাবে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে আইনি পথে হাঁটার আভাসও দিয়েছেন চিটাগংয়ের অধিনায়ক।

আরো পড়ুন:

শরিফুলের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং, ৫ রানে ৪ উইকেট

বিপিএলে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক ইস্যুতে ‘সত্যানুসন্ধান কমিটি’ 

“বাসে ওঠার পরে আমি নিউজটা দেখি, আপনি যদি প্রতিক্রিয়া জানতে চান আমার কিন্তু একবারও মন খারাপ হয়নি বা আমার ভেতরে কোনো শঙ্কা কাজ করেনি। কারণ আমি জানি আমি কী। আমার ভেতরে কী আছে আমার থেকে ভালো কেউ জানে না।”

“বিষয় হচ্ছে আমি জানি আমি কী, আমার পরিবার, বন্ধুরা জানে কিন্তু দুনিয়া জানে না আমি কী। আপনার একটা নিউজের কারণে কিন্তু আমার সম্মানহানি হচ্ছে। আমার যে ১৫ বছরের সম্মান, সেই সম্মানটা নষ্ট হচ্ছে। আপনি যদি একটা ভিউয়ের জন্যে নিউজ করেন, আপনি হয়ত ৫০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন কিন্তু এটা আমার কাছে ৫০ কোটি টাকার থেকেও বেশি। আমার মানহানি মানে...কারণ এই বিষয়টাতে আমি কখনও ছাড় দিই না। আমার সম্মান নিয়ে কেউ খেলবে এটা নিয়ে আমি কোন ছাড় দিই না”

বিপিএলের প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে আইসিসি অ্যান্টি করাপশন ইউনিটের (আকসু) একজন করে প্রতিনিধি আছেন। চিটাগংয়ের সঙ্গে থাকা সেই প্রতিনিধি মিথুনের কাছে এসে তাকে আইনি পথে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

“উনি (আকসু প্রতিনিধি) এসে আমাকে বলেছে ভাইয়া আমি খুব লজ্জিত অনুভব করছি। আপনি এটার বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যান। ওনার যদি আমার প্রতি ওতটুকু বিশ্বাস না থাকত তাহলে উনি এ কথা বলতো না। আমার বিশ্বাস তো আমি জানি কী বিশ্বাস আছে। কিন্তু আমাদের দলের সঙ্গে যে প্রতিনিধি দেওয়া আছে ওনারও আমার প্রতি কতটুকু বিশ্বাস উনি নিজেই বলছে আপনার জন্য...আমি কিন্তু উনার কাছে যাইনি, উনি এসেছে আমার কাছে। আমি যদি অপরাধী হই বা আমার মাঝে যদি এমন কিছু উনি দেখে তাহলে অবশ্যই উনি এসে আমাকে এই কথা বলতো না।”

মিথুনের নেতৃত্বে চিটাগং কিংস নিশ্চিত করেছে প্লে-অফ। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলতে নামবে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে। ব্যাট হাতেও মিথুন সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ৩২.৩৭ গড়ে চিটাগংয়ের সেরা তিন ব্যাটারের মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে আছেন তিনি।

ঢাকা/রিয়াদ/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ