কণ্ঠশিল্পী মনির খানের বাবা আর নেই
Published: 21st, January 2025 GMT
দেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনির খানের বাবা মাহবুব আলী খান মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার আজমপুর ইউনিয়নের মদনপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি। তার বয়স হয়েছিল ১০৩ বছর।
মনির খানের ভাগ্নে মঞ্জুর হাসান টুটুল মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
জাহাজে সাত খুন
মাগুরায় নিহত ২ জনের পরিবারে শোক
মা হারালেন ক্রীড়া সাংবাদিক পল্টু
মঞ্জুর হাসান টুটুল বলেন, “বার্ধক্যজনিত কারণে নানা (মাহবুব আলী খান) নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেছেন। এক মেয়ে ও চার ছেলের জনক ছিলেন তিনি। বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। সবাই আমার নানার জন্য দোয়া করবেন।”
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার আজমপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য তরিকুল ইসলাম বলেন, “মাহবুব আলী খানের জানাজা বুধবার সকাল ১১টায় নিজ গ্রাম মদনপুরে অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে তাকে দাফন করা হবে।”
মনির খান গত কয়েক দশক ধরে সংগীতচর্চা করে যাচ্ছেন। একক অ্যালবামের পাশাপাশি চলচ্চিত্রে গান গেয়েও শ্রোতাদের মন জয় করেছেন তিনি। সংগীতে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অনেক সম্মাননা। এখনো শ্রোতাদের নতুন নতুন গান উপহার দিয়ে যাচ্ছেন এই কণ্ঠশিল্পী।
ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নারীর ফাঁদে ঢাকার গ্রাফিক্স ডিজাইনার বন্দরে অপহরণ, গ্রেপ্তার ৬
বন্দরে নারী দিয়ে ফাঁদ পেতে এক গ্রাফিক্স ডিজাইনারকে অপহরণের পর মুক্তিপন আদায়ের ঘটনায় সংঘবদ্ধ চক্রের ৬ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত অপহরণকারিরা হলো, বন্দর থানার নবীগঞ্জ নোয়াদ্দা এলাকার বোরহান মিয়ার ছেলে শাকিল (২৮) একই থানার দাঁশেরগাও আমিরাবাদ এলাকার সালাউদ্দিন মিয়ার সালাউদ্দিন মিয়ার ছেলে শাকিল (১৯) নোয়াদ্দা এলাকার মোঃ হোসেন মিয়ার ছেলে রাহাত (২৪) কাইতাখালি এলাকার আব্দুল লতিফ মিয়ার ছেলে শিল্প (২৪) একরামপুর ইস্পাহানী এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ হোসেন (২৭) ও একরামপুর পৌরসভা এলাকার সোহেল পাটুয়ারী ছেলে মোঃ শরিফ (২৭)।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে বন্দর উপজেলার সাবদী এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে আনিকা ওরফে রিংকি (২৫) নামে এক নারীর মাধ্যমে ফাঁদ পেতে বন্দর উপজেলার মদনপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে ওই গ্রাফিক্স ডিজাইনাকে অপহরণ করা হয়।
এ ঘটনায় অপহৃত গ্রাফিক্স ডিজাইনার বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত ৬ অপহরণকারীসহ ২১ জনের নাম উল্লেখ করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করে।
পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত ৬ অপহরনকারিকে মঙ্গলবার দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। অপহৃত গ্রাফিক্স ডিজাইনার আল আমিন (৩০) রাজধানীর মিরপুর থানার শাহ আলীবাগ এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে।
তথ্যসূত্রে জানাগেছে, বন্দরের স্বল্পেরচক এলাকার শাকিল আহম্মেদের স্ত্রী আনিকা ওরফে রিংকির সঙ্গে গ্রাফিক্স ডিজাইনার আল আমিনের সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে মাধ্যমে পরিচয় হয় এবং ম্যাসেঞ্জারে কথা হতো। এর ধারাবাহিকতায় গত সোমবার রাতে রিংকি ম্যাসেঞ্জারে আল আমিনকে বন্দর থানাধীন মদনপুর বাস স্ট্যান্ডে আসতে বলে।
পরে তাকে অপহরণ করে কাইতাখালি বাস স্ট্যান্ডের পাশে পাকুরের পাড়ে নিয়ে কাঠের ডাসা দিয়ে পিটিয়ে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহরণকারিরা অপহৃত আল আমিনকে বেদম ভাবে পিটিয়ে তার কাছ থেকে মোবাইল ও ম্যানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়।
পরে অপহরনকারীরা অপহৃত পিতার কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে মুক্তিপন হিসেবে ৪৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে অপহরনকারীরা অপহৃত গ্রাফিক্স ডিজাইনার আল আমিনকে কাইতাখালি এলাকা থেকে সাবদী এলাকায় তুলে নিয়ে যায়।
এক পর্যায়ে অপহৃত আল আমিন টহলরত পুলিশের গাড়ী দেখে থামানোর সংকেত দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। ওই সময় অপহরণকারীরা কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২১ জনের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে।