কুমিল্লা থেকে ঢাকায় সপ্তাহে একদিন নিজস্ব বাস সার্ভিস চালুর দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত স্মারকলিপিতে প্রায় ১৫০ জন শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর সম্বলিত স্মারকলিপি উপাচার্য বরাবর প্রদান করেন তারা।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ঢাকা দেশের রাজধানী হওয়ায় বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনার, বিতর্ক প্রতিযোগিতা এমনকি গবেষণা উপস্থাপনার মতো কাজে প্রতিনিয়ত যেতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব কোনো বাস না থাকা এবং শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকায় এসব কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বাস চালু হলে শিক্ষার্থীরা সহজেই এসব কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবে।

সপ্তাহে অন্তত একদিন তারা এ সার্ভিস চালুর দাবি জানিয়েছেন। সপ্তাহের এ দিনটি শুক্রবার অথবা শনিবার হতে পারে বলেও স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেছেন তারা।

এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ফরহাদ হোসেন কাউসার বলেন, “ঢাকায় বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা যেমন- বিতর্ক, রচনা, কুইজ এবং গবেষণা উপস্থাপনায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেদের দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করতে পারে।”

তিনি বলেন, “বিভিন্ন সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও শিক্ষা বিষয়ক সেশনে অংশগ্রহণ শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জন এবং ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি আমাদের যারা সিনিয়র আছেন, প্রায় প্রতি সপ্তাহেই তাদের একটা চাকরির পরীক্ষা থাকে ঢাকায়। কুবি থেকে রাজধানীর খুব বেশি দূরে না। প্রশাসনের ইচ্ছা থাকলেই ঢাকাগামী বাস দেওয়া সহজ একটা বিষয়। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ও এই নজির আছে।”

দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.

মো. হায়দার আলী বলেন, “আমরা অনুমোদনের জন্য চেষ্টা করছি। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও এ উদাহরণ আছে, আমরা সেটি দেখাতে পারব। সরকার যদি অনুমোদন দেয় তাহলেই হয়ে যাবে।”

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ম রকল প

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!

ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন

গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। 

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ