সিদ্ধিরগঞ্জে এনআইডি তথ্য সংগ্রহকারী শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ
Published: 21st, January 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য সংগ্রহকারী আমিনুল হাসান (৩৮) নামে একজন শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। তথ্য ভুল সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মাসুম (৩৫) নামে এক ব্যক্তি তাকে মারধর করেন।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল বার্মাস্ট্যান্ড এলাকায় সফুরা খাতুন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিলনায়তন কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী আমিনুল হাসান।
অভিযোগকারী আমিনুল হাসান সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল বাগপাড়া এলাকার মো.
অভিযুক্ত মো. মাসুম গোদনাইল বার্মাস্ট্যান্ড পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের ডিপো সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, জাতীয় পরিচয়পত্রের কাজ নিয়ে আমিনুল হাসানের সঙ্গে মো. মাসুম বিরোধে জড়ায়। মাসুম মঙ্গলবার দুপুরে সফুরা খাতুন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রথমে আমিনুল হাসানকে গালিগালাজ পরে এলোপাথারী মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করেন।
এসময় বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা এগিয়ে এসে প্রতিবাদ ও তাকে রক্ষা করেন। তখন অভিযুক্ত মাসুম সুযোগ মতে পেলে তাকে খুন করার হুমকি দিয়ে চলে যান।
মারধরের কারণ জানতে অভিযুক্ত মাসুমের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনুর আলম বলেন, বিগত ২০২০ সালে এনআইডি কার্ডের তথ্য ভূল নিয়ে ওই শিক্ষকের সঙ্গে মাসুমের বিরোধ ছিল। তার জের ধরে মাসুম স্কুলের ভিতরে গিয়ে ওই শিক্ষকের সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায় হাতাহাতি হয়।
এ ঘটনায় শিক্ষক আমিনুল হাসান থানায় এসে লিখিত অভিযোগ করেছে। তদন্ত করে দোষীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ ম রধর
এছাড়াও পড়ুন:
এনআইডি সংশোধনে ক্ষমতা পেলেন ইসির জেলা কর্মকর্তারা
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনের অধিকতর জটিল আবেদন নিষ্পত্তি করার ক্ষমতা পেলেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা। আগে এই ক্ষমতার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও এনআইডি মহাপরিচালকের ছিল।
মঙ্গলবার ইসির একাধিক সূত্রগুলো বিষয়টি জানিয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, ঝুলে থাকা চার লাখ এনআইডি সংশোধন সংক্রান্ত আবেদন ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। তবে কার্যক্রমের অগ্রগতি কম। তাই অধিকতর জটিল আবেদন মাঠ পর্যায়ে নিষ্পত্তির জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের সতর্কতার সঙ্গে 'গ' ক্যাটাগরির আবেদন নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছিল ইসি। এক্ষেত্রে কেবল যে আবেদনগুলো তারা নিষ্পত্তি করতে পারবেন না বলে প্রতীয়মান হবে সেগুলো এনআইডি মহাপরিচালককে ফরওয়ার্ড করতে বলা হয়েছিল।
নির্বাচন কমিশন জটিলতা ধরণ অনুযায়ী 'ক' থেকে 'ঘ' ক্যাটাগরি পর্যন্ত আবেদন ভাগ করে নিয়ে নিষ্পত্তি করে থাকে। এক্ষেত্রে আগামী জুন মাসের মধ্যে সকল ঝুলে থাকা আবেদন নিষ্পত্তির লক্ষ্য নিয়ে এগুচ্ছে সংস্থাটি।