আ.লীগ কোনো রাজনৈতিক দল নয়, গণহত্যার সিন্ডিকেট: জামায়াত আমির
Published: 21st, January 2025 GMT
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে, তারা কোনো রাজনৈতিক দল নয়, গণহত্যার সিন্ডিকেট। আগে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচার হোক, ক্ষতিগ্রস্তরা উপযুক্ত বিচারটা পাক, তার পর তারাই সিদ্ধান্ত দেবেন আওয়ামী লীগ এ দেশে রাজনীতি করার অধিকার রাখে কিনা?
মঙ্গলবার বরিশাল নগরীতে জামায়াতের কর্মী সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। নগরের বান্দ রোড ঈদগাহ মাঠে এ সভা হয়।
ডা.
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের পতনে সফলতার দাবিদার দেশের ১৮ কোটি মানুষ। তবে নেতৃত্বের দাবিদার ছাত্র-তরুণরা। একটি দল তা মানতে চায় না। চাঁদাবাজ, দলবাজ, লুণ্ঠনকারীদের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে জামায়াত আমির বলেন, ‘তোমাদের আর বাংলাদেশ কবুল করবে না। এ দেশে আর ফ্যাসিবাদ ফিরে আসবে না।’
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ফয়সাল আহমেদ শান্তর বাবা জাকির হোসেন সমাবেশে বলেন, আমাদের সন্তানরা যে ইচ্ছা নিয়ে শহীদ হয়েছে, সেই ইচ্ছা পূরণ করতে হবে। তাদের অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করার আহ্বান জানান তিনি।
বরিশাল মহানগর জামায়াতের সভাপতি অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন বাবরের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম, মাওলানা আবদুল হালিম, অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ডা. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, বরিশাল জেলা আমির মোহাম্মদ আব্দুল জব্বারসহ বিভিন্ন জেলা ও ইউনিট শাখার নেতারা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ জ ম য় ত ইসল ম বর শ ল আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
আ. লীগের হরতাল-অবরোধ ঘিরে কঠোর হবে সরকার: প্রেস সচিব
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগ যদি গণহত্যা, হত্যাকাণ্ড ও দুর্নীতির জন্য ক্ষমা না চায়, যতক্ষণ না তাদের দোষী নেতাকর্মীদের বিচারের মুখোমুখি না হয় এবং যতদিন পর্যন্ত দলটির বর্তমান নেতৃত্ব ফ্যাসিবাদী আদর্শ থেকে বের হয়ে না আসে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া সম্ভব না।
তিনি প্রশ্ন রাখেন, মিত্রবাহিনী কি নাৎসিদের প্রতিবাদ করতে দিয়েছিল?
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকে হরতাল, অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণার পরদিন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে এ কথা জানান প্রেস সচিব।
পোস্টে তিনি লিখেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অন্তর্বর্তী সরকার কোনো ন্যায়সঙ্গত প্রতিবাদ বন্ধ করেনি। গত সাড়ে পাঁচ মাসে শুধুমাত্র ঢাকাতেই অন্তত ১৩৬টি প্রতিবাদ হয়েছে। এর কিছু প্রতিবাদ ব্যাপক যানজটের কারণ হয়েছে। তবুও, অন্তর্বর্তী সরকার কখনো প্রতিবাদে কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করেনি।
জুলাই অগাস্টের হত্যাকাণ্ডের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, জুলাই ও আগস্ট মাসের ভিডিও ফুটেজ স্পষ্টভাবে দেখায় যে, আওয়ামী লীগের কর্মীরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের হত্যাকাণ্ডে জড়িত। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগই জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত গণহত্যা, হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার জন্য দায়ী। তিনি প্রশ্ন রাখেন ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ দলকে কি প্রতিবাদের সুযোগ দেওয়া উচিত?
প্রেস সচিব লিখেন, বিশ্বের কোনো দেশই খুনি ও দুর্নীতিবাজদের পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসার সুযোগ দেয় না। অন্তর্বর্তী সরকারও দেশের জনগণের ইচ্ছার প্রতিনিধিত্ব করে এবং হত্যাকারীদের নেতৃত্বে যে কোনো প্রতিবাদকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে। আমরা দেশকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে পারি না। আওয়ামী লীগ ও তাদের ব্যানারে অন্য কেউ অবৈধ প্রতিবাদ করতে চাইলে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সূত্র: বিসিসি