নাটোরের লালপুর উপজেলায় দিনে-দুপুরে পিকআপ থামিয়ে ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে দুই মাছ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে এক লাখ টাকা ছিনতাই করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে লালপুর-বনপাড়া সড়কের উপজেলার ওয়ালিয়া বাজারের অদূরে ছিনতাই সংঘটিত হয়।

ছিনতাইয়ের শিকার সিংড়া উপজেলার পেট্টবাংলা গ্রামের শমসের ছেলে জামসেদ প্রামাণিক (৪৫) ও রাজশাহীর বিনোদপুরের জামাত আলীর ছেলে শামসুদ্দিন (৩৮)।

জামশেদ প্রামাণিক জানান, কুষ্টিয়া, ঈশ্বরদী ও লালপুরে মাছ বিক্রি করে পিকআপ যোগে গোপালপুর হয়ে বনপাড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় পথে ওয়ালিয়া বাজারের কাছাকাছি পৌঁছালে মোটরসাইকেল যোগে দুই অজ্ঞাত ব্যক্তি তাদের পথরোধ করে পিকআপের চাবি ছিনিয়ে নেয়। এরপর চাকু দিয়ে জিম্মি করে ভয় দেখিয়ে তাদের কাছে মাছ বিক্রির এক লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

আরো পড়ুন:

ব্যাংক কর্মচারীকে হাতকড়া পরিয়ে ১৬ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ

যশোরে আড়াই লাখ টাকা ছিনতাই, ৩ জনকে গণধোলাই

ওয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুমন চন্দ্র দাস জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/আরিফুল/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু

বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।

শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।

তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।

শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।

তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ