সাংবাদিকদের সঙ্গে রাবিপ্রবি উপাচার্যে মতবিনিময়
Published: 21st, January 2025 GMT
রাঙামাটি জেলার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সাংবাদিকদের সম্পৃক্ত করতে এবং রাবিপ্রবির প্রশাসনিক দৃষ্টিভঙ্গি জানাতে এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় উপাচার্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০ বছররের শিক্ষকতা ও গবেষণা করার শিক্ষা ও অভিজ্ঞতার সবটুকু রাবিপ্রবির জন্য কাজে লাগানোর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়কে সারা দেশের মানুষের কাছে শিক্ষা, গবেষণা ও সম্প্রীতির বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে তুলে ধরার অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেন তিনি।
উপস্থিত সাংবাদিকগণ পাহাড় প্রকৃতির সৌন্দর্য বজায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণ, শিক্ষক সঙ্কট নিরসন, লোকবল নিয়োগ ও শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থানীয়দের অগ্রাধিকার, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে র্যাগিং না হওয়া প্রভৃতি বিষয়ে প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
সভায় রাঙামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হক, রিপোর্টার ইউনিটির সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমা ও রাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি সদস্যরাসহ অন্তত ৫০ জন সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ধীমান শর্মা, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সূচনা আখতার, প্রক্টর ও ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাদ্দাম হোসেন, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান মোহনা বিশ্বাস, ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড.
ঢাকা/বিজয়/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’