বন্দরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের উদ্যেগে কুইজ  প্রতিযোগীতা ও পুরষ্কার বিতরন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।  মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারী)  বিকাল ৩টায় বন্দর উপজেলার  মদনপুর শাইরা গার্ডেনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।  

বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে  প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম। 

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন,  উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল কাইয়ুম খান, বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) তরিকুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী  ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয়  সমন্বয়ক সদস্য সচিব আরিফ সোহেল,  নির্বাহী সদস্য মেহেরাব সিফাত, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক শ্যামলী সুলতানা জেদনী, নির্বাহী সদস্য ইব্রাহীম নিরব, আব্দুল্লাহ সালেহীন অয়ন, বন্দর উপজেলা পরিষদ সদ্য সাবেক  চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন মাকসুদ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মদনপুর ছাত্র-জনতা আন্দোলনকারী প্রধান উপদেষ্টা মো.

মিনহাজ ভূঁইয়া। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে  উপস্থিত ছিলেন, মদনপুর ইউনিয়ন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন ভূঁইয়া, ছাত্র সমন্বয়ক রাকিব হোসেন, রাশেদ, মেহেদী, মুন্না প্রমুখ।অনুষ্ঠান শেষে  বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরন করা হয়। 
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

নারীর ফাঁদে ঢাকার গ্রাফিক্স ডিজাইনার বন্দরে অপহরণ, গ্রেপ্তার ৬  

বন্দরে নারী দিয়ে ফাঁদ পেতে এক গ্রাফিক্স ডিজাইনারকে অপহরণের পর মুক্তিপন আদায়ের  ঘটনায় সংঘবদ্ধ চক্রের ৬ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  

গ্রেপ্তারকৃত অপহরণকারিরা হলো, বন্দর থানার নবীগঞ্জ  নোয়াদ্দা এলাকার বোরহান মিয়ার ছেলে শাকিল (২৮) একই থানার দাঁশেরগাও আমিরাবাদ এলাকার সালাউদ্দিন মিয়ার সালাউদ্দিন মিয়ার ছেলে শাকিল (১৯) নোয়াদ্দা এলাকার মোঃ হোসেন মিয়ার ছেলে রাহাত (২৪) কাইতাখালি এলাকার আব্দুল লতিফ মিয়ার ছেলে শিল্প (২৪) একরামপুর ইস্পাহানী এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ হোসেন (২৭) ও একরামপুর পৌরসভা এলাকার সোহেল পাটুয়ারী ছেলে মোঃ শরিফ (২৭)।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে বন্দর উপজেলার সাবদী এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে আনিকা ওরফে রিংকি (২৫) নামে এক নারীর মাধ্যমে ফাঁদ পেতে বন্দর উপজেলার মদনপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে ওই গ্রাফিক্স ডিজাইনাকে  অপহরণ করা হয়।  

এ ঘটনায় অপহৃত গ্রাফিক্স ডিজাইনার বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত ৬ অপহরণকারীসহ  ২১ জনের নাম উল্লেখ করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করে। 

পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত ৬ অপহরনকারিকে মঙ্গলবার দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। অপহৃত গ্রাফিক্স ডিজাইনার আল আমিন (৩০)  রাজধানীর মিরপুর থানার শাহ আলীবাগ এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে।

তথ্যসূত্রে জানাগেছে,  বন্দরের স্বল্পেরচক এলাকার শাকিল আহম্মেদের স্ত্রী আনিকা ওরফে রিংকির সঙ্গে গ্রাফিক্স ডিজাইনার আল আমিনের সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে মাধ্যমে পরিচয় হয় এবং ম্যাসেঞ্জারে কথা হতো। এর ধারাবাহিকতায় গত সোমবার রাতে রিংকি ম্যাসেঞ্জারে আল  আমিনকে  বন্দর থানাধীন মদনপুর বাস স্ট্যান্ডে আসতে বলে।  

পরে তাকে অপহরণ করে কাইতাখালি  বাস স্ট্যান্ডের পাশে পাকুরের পাড়ে নিয়ে  কাঠের ডাসা দিয়ে পিটিয়ে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অপহরণকারিরা অপহৃত আল আমিনকে বেদম ভাবে পিটিয়ে তার কাছ থেকে মোবাইল ও ম্যানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়।  

পরে অপহরনকারীরা অপহৃত পিতার কাছ থেকে  বিকাশের মাধ্যমে মুক্তিপন হিসেবে ৪৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে অপহরনকারীরা অপহৃত গ্রাফিক্স ডিজাইনার আল আমিনকে কাইতাখালি এলাকা থেকে  সাবদী এলাকায় তুলে নিয়ে যায়। 

এক পর্যায়ে অপহৃত আল আমিন   টহলরত পুলিশের গাড়ী দেখে থামানোর সংকেত দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। ওই সময় অপহরণকারীরা  কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২১ জনের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নারীর ফাঁদে ঢাকার গ্রাফিক্স ডিজাইনার বন্দরে অপহরণ, গ্রেপ্তার ৬