বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের কমিটিতে কার্যনির্বাহী সদস্যপদে নির্বাচিত হয়েছিলেন ঢাকাই সিনেমার নায়িকা শাহনূর। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কার্যকরী পরিষদের টানা তিনটি মিটিংয়ে উপস্থিত না থাকার অভিযোগে তার পদটি শূন্য করেছে কমিটি।

শাহনূরের স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছেন চিত্রনায়িকা রুমানা ইসলাম মুক্তিকে। গত ১৯ জানুয়ারি, শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের মিটিং শেষে মুক্তিকে শপথ পাঠ করান সভাপতি মিশা সওদাগর। শিল্পী সমিতির এমন সিদ্ধান্তে বিস্মিত হয়েছেন শাহনূর।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) শাহনূর তার ফেসবুকে দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। এতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ী এই অভিনেত্রী। শাহনূর বলেন, “সবার অবগতির জন্য জানাতে চাই, শিল্পী সমিতির কার্যকরী সদস্য ছিলাম আমি শাহনূর। আমি ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইটস নিউ ইয়র্কের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হওয়ায়, তারা আমাকে আমেরিকার নিউ ইয়র্কে আমন্ত্রণ করে নিয়ে এসেছে। এজন্য গত তিন মাস আমি কোনো মিটিংয়ে উপস্থিত থাকতে পারিনি।”

আরো পড়ুন:

হামলাকারীকে নিয়ে সাইফের বাড়িতে পুলিশ

আমি সুগার মাম্মি হতে চাই: সুবাহ

এর আগে শিল্পী সমিতির সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র ডি এ তায়েব জানান, বেশ কয়েক মাস ধরে সমিতির সঙ্গে যোগাযোগ নেই শাহনূরের। নিয়ম অনুযায়ী, শাহনূরকে কারণ দর্শানের চিঠিও দেওয়া হয়। কিন্তু একটি চিঠিরও উত্তর দেননি তিনি। তার অনুপস্থিতিতে পদটি শূন্য। সেখানে চিত্রনায়িকা মুক্তি কো-অপ্ট করার সিদ্ধান্ত নেয় বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদ।

তবে শাহনূর তার বক্তব্যে ভিন্ন তথ্য দিয়েছেন। এ নায়িকার দাবি, “আমেরিকা আসার আগে, আমি আমার সম্মানিত সভাপতি মিশা সওদাগর ভাইয়ের পারমিশন নিয়ে এসেছি। এছাড়া জয় চৌধুরী, নানা শাহ ভাই, সনি রহমানসহ অনেকের সাথে আমার সবসময় কথা হচ্ছে। তাহলে কেন বলা হচ্ছে যে, আমি কারো সাথে কোনো যোগাযোগ করিনি?”

পূর্বের মিটিংয়ে কার্যকরী পরিষদের অনেক সদস্যই অনুপস্থিত ছিলেন। তা স্মরণ করে শাহনূর বলেন, “আমি শুধু একাই মিটিংয়ে যাইনি এমন না, আপনারা একটু লক্ষ্য করলে দেখবেন যে গত মিটিংয়েও মাত্র ৯ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। শিল্পী সমিতির কোনো মিটিংয়ে ২১ জন সদস্য উপস্থিত হতে পারেন না, নানা কারণে। শিল্পী সমিতির অনেকের সাথে আমার অনেকবারই যোগাযোগ হয়েছে। তা ছাড়া, আমার সম্মানিত প্রিয় শিল্পীরা, তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে আমাকে কার্যকরী সদস্য বানিয়েছেন। শিল্পী সমিতির সব মিটিংয়ে আমি সবসময় থাকার চেষ্টা করেছি। আমার পরিবর্তে যদি কাউকে দায়িত্ব দিতে হয় তাতে আমার কোনো আপত্তি ছিল না, তা সত্ত্বেও আমাকে নিয়ে এত নিউজ করার কোনো প্রয়োজন ছিল না।”

শাহনূরের মন্তব্য ছাড়া খবর প্রকাশ করায় কষ্ট পেয়েছেন এই চিত্রনায়িকা। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে শাহনূর বলেন, “আমার সব প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা আপনারা সবাই আমার সাথে ফেসবুকে যুক্ত আছেন, আপনারা নিউজ করার আগে একটাবার উচিত ছিল আমাকে কল করে বিষয়টা জিজ্ঞেস করা। সেটা কিন্তু আপনারা কেউ করেননি। একই নিউজ সবাই করে যাচ্ছেন। এতে আমি ভীষণ কষ্ট পেয়েছি। যাক, সবাই ভালো থাকবেন, আমার প্রিয় শিল্পীদের প্রতি অনেক অনেক ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা রইল।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র ক র যকর উপস থ ত আপন র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শনে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক

চীনের অর্থায়নে এক হাজার শয্যার আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের লক্ষ্যে সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করেছেন রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হারুন অর রশিদ। মঙ্গলবার তিনি নীলফামারী সদর উপজেলার টেক্সটাইল মিলসংলগ্ন জায়গাটিকে ‘প্রথম পছন্দ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক সাইদুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. আব্দুর রাজ্জাক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভাগীয় কো-অর্ডিনেটর ডা. জুবায়ের আল মামুন ও জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর সরকার উপস্থিত ছিলেন। 

এদিকে হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্তের খবরের পর মানুষের মাঝে আনন্দের বন্যা নেমে এসেছে। উচ্ছ্বসিত এ জেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে মিছিলও হয়েছে।

ডা. হারুন অর রশিদ বলেন, উপদেষ্টা মহোদয় রংপুর বিভাগের আশপাশে ১০ থেকে ১২ একরের মধ্যে একটি জায়গা নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এখানে ২০ থেকে ২৫ একর জমি পাওয়া যাবে। ফলে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য এটি আরও উপযোগী হয়ে উঠেছে। জেলা প্রশাসক এ জায়গাটির বিষয়ে প্রস্তাব দেন। সার্বিক দিক বিবেচনায় এটি উপযোগী স্থান। এই জায়গা নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ দ্বিমত পোষণ করেননি।

ডা. হারুন অর রশিদ আরও বলেন, নিরাপত্তার দিক থেকে উত্তরবঙ্গের মানুষ অত্যন্ত সহনশীল ও শান্তিপ্রিয়। পাশেই সৈয়দপুর বিমানবন্দর এবং সড়ক পথে অন্যান্য জেলার সঙ্গে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা এই স্থানটিকে হাসপাতাল নির্মাণের জন্য আরও উপযুক্ত করে তুলেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ