ফরিদপুরে সাংবাদিক শফিকুল ইসলামের (২৯) বাসার জানালার গ্রিল কেটে চুরি করা হয়েছে। এ সময় চোরেরা বাসা থেকে ৮ ভরি স্বর্ণ চুরি করে নিয়ে গেছে। 

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ওই সাংবাদিকের পরিবার ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী এলাকার ঝিলভিউ অ্যাপার্টমেন্টের ৭ তলার বাসায় এসে দেখেন গ্রিল কেটে চুরি করা হয়েছে। রোববার ও সোমবার শ্বশুর বাড়ি জেলার সালথার তেলি সালথা বেড়াতে যান শফিকুল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তারা বাসায় ফেলেন।

শফিকুল ইসলাম জানান, তার বাসার স্টিলের আলমারি ভেঙে ৮ ভরি স্বর্ণ নিয়ে গেছে। বাসার সবকিছু ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখে গেছে।

আরো পড়ুন:

ইয়ুথ জার্নালিস্ট কমিউনিটির সভাপতি কামরুল, সম্পাদক সজিব

ঠাকুরগাঁওয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলায় ৩ সাংবাদিক খালাস

শফিকুল ইসলাম দৈনিক যুগান্তরের ফরিদপুরের সালথা উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। তিনি সালথা প্রেস ক্লাবের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক।

ফরিদপুরের কোতয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো.

মোরশেদ জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

ঢাকা/তামিম/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু

বাংলাদেশ প্রথম নির্বাচিত নারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট চন্দনা গ্রামের বাসিন্দা শামসুন্নাহার চৌধুরী মারা গেছেন।

শুক্রবার আছর নামাজের পর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, সন্তানসহ আত্মীয়স্বজন ছাড়াও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। সিঙ্গাপুর, ভারতসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহেরের স্ত্রী তিনি।

তিনি চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ও দেওরগাছ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৩ বার চেয়ারম্যান নির্বাহিত হন। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালে প্রথম মিরাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সারা দেশে তখন তিনিই ছিলেন প্রথম নারী ইউপি চেয়ারম্যান। সেই থেকে রাজনীতিতে জড়ান। ১৯৯৩ সালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।

শামছুন্নাহার চৌধুরী ৩ বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নানা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। পেয়েছেন অতিশ দীপঙ্কর জয়িতাসহ নানা পুরস্কার। হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান। কাজ করেছেন নারী উন্নয়নে।

তার মৃত্যুতে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ