সন্ত্রাসের জনপদ থেকে নারায়ণগঞ্জকে রক্ষা করতে হবে : সাখাওয়াত
Published: 21st, January 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, বাংলাদেশে কোন জঙ্গিবাদ নেই। এই জঙ্গিবাদের তকমা শেখ হাসিনা ও তার দোসরা এদেশে তৈরি করেছিল। আপনারা কিন্তু দেখেছিলেন নারায়ণগঞ্জে গডফাদারের শাসন কায়েম হয়েছিল। ওই শামিম ওসমান, সেলিম ওসমান এই প্রাচ্যের ডান্ডি নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে পরিচিত করেছিল।
সেই সন্ত্রাসের জনপদ থেকে এ নারায়ণগঞ্জকে রক্ষা করতে হবে। নারায়ণগঞ্জ আপনার আমার সবার। নারায়ণগঞ্জে কোন সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও লুটপাতকারীদের স্থান হবে না। গত ১৫ বছরে আমরা এই নারায়ণগঞ্জে কি দেখেছি।নারায়ণগঞ্জের হত্যা, গুম খুন আর অপহরণ নিত্যদিনের অবস্থা পরিণত হয়েছিল।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন বন্দর থানা ২৫নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১দফা বাস্তবায়নে জনসম্পৃক্ততা ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেল চারটায় বন্দরের উত্তর লক্ষণখোলায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন নারায়ণগঞ্জে সাত খুন হয়েছিল। বন্দরের শেষ মাথায় শান্তি চরে শীতলক্ষায় লাশ ইট দিয়ে বেঁটে পানিতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কি অন্যায় করেছিল আইনজীবী চন্দন সরকার কি অন্যায় করেছিল নজরুলসহ আরো যারা ছিল তাদেরকেও এভাবে হত্যা করা হলো। আপনারা দেখেছেন ওই নিরীহ মেধাবী ছাত্র ত্বকীকে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জে পাঁচ খুন থেকে চার ও তিন খুন সহকারে অসংখ্য খুন হয়েছে। সে সময় যেখানে তাকিয়ে ছিল ও আওয়ামী লীগর হত্যা রাজনীতি ছিল। এ সকল কর্মকান্ডের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জকে কলঙ্কিত করা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, সেই সময়ে কিন্তু নারায়ণগঞ্জে প্রশাসনের কোন ভাল লোক আসতে চেতো না। কারণ নারায়ণগঞ্জ হলো সন্ত্রাসের জনপদ সেখানে গেলে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবো না। আজকে বাংলাদেশের যেখানেই যাবেন দেখবেন যে কত সুন্দর সুন্দর রাস্তা। অথচ নারায়ণগঞ্জে কিন্তু সেরকমভাবে কোন উন্নয়ন হয় নাই।
নারায়ণগঞ্জ হয়েছে সন্ত্রাসের উন্নয়ন। নারায়ণগঞ্জ হয়েছে ওসমান পরিবারের উন্নয়ন। তারা জনগণকে জিম্মি করে লুটপাট করে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। এই টাকা হল জনগণের টাকা এই টাকা অবশ্যই ফিরিয়ে আনতে হবে। এবং যারা এই দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে তাদেরকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থাও করতে হবে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও ২৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফারুক হোসেনের সভাপতিত্বে এবং মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান চুন্নু সাঈদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডাঃ মজিবর রহমান, মাকিত মোস্তাকিম শিপলু, ২৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবুল হোসেন, সহ- সভাপতি মো.দাদন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আঃ সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান টুলু, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক আঃ রাহিম, প্রচার সম্পাদক মো. মিলন, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান মাসুদ, বন্দর থানা যুবদল নেতা আব্দুর রহমান, সজিব আহমেদ, মাহবুব আলমসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ন ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র স র রহম ন কর ছ ল হয় ছ ল আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
ফারুক-মেহেদী নেতৃত্বে মোটর সাইকেল গ্যারেজ মালিক ও স্পেয়ার পার্টস দোকান মালিক সমিতি
নারায়ণগঞ্জ জেলা মোটর সাইকেল গ্যারেজ মালিক ও স্পেয়ার পার্টস দোকান মালিক সমিতির (২০২৫-২০২৭) নির্বাচনে সভাপতি হিসাবে শেখ মো. ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান নির্বাচিত হয়েছেন।
বুধবার (২৯ জানুয়ারী) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মাসদাইর এলাকাস্থ অক্টো অফিস বাংলা ভবন কমিউনিটি সেন্টারে এ নির্বাচনের ভোট গ্রহন হয়েছে।
নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ইব্রাহীম শেখ, সহকারী নির্বাচন কমিশনার আইয়ূব, আলমগীর কবির রনি, মেহেদী হাসান, শামসুল হক সহ আরো উপস্থিত ছিলেন ১১নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর জমশের আলী ঝন্টু, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি এনামুল হক সিদ্দিক।
১১টি পদের মধ্যে শুধুমাত্র ৫টি পদে ভোটের যুদ্ধে লড়াই করেছেন প্রার্থীরা। এবারের নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছেন মোট ১১জন প্রার্থী। সমিতির মোট ভোটার সংখ্যা ছিলেন ১৪০ জন।
এ সময়ে সভাপতি প্রার্থী শেখ মোঃ ফারুক ৮০ ভোট তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবু জাফর মো. আসলাম পেয়েছেন ৪৩ ভোট, সহ-সভাপতি পদে মোঃ রতন খান ভোট পেয়েছেন ৬৪ ভোট তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রতন মুন্সি পেয়েছেন ৫৪ ভোট, সাধারণ সম্পাদক পদে মেহেদী হাসান পেয়েছেন ৯৫ ভোট তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মনির হোসেন পেয়েছেন ৩০ ভোট, সহ সাধারণ সম্পাদক পদে মোহন শেখ পেয়েছেন ৬৯ ভোট তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তনয় ঘোষ পেয়েছেন ৫১ ভোট, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মোঃ সাদেক পেয়েছেন ৬৯ ভোট তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোঃ সম্রাট ৫০ভোট ও শাহীন শেখ পেয়েছেন ১টি ভোট।