আমরা চাইনা নারায়ণগঞ্জে কোন গডফাদারদের সৃষ্টি হউক : টিপু
Published: 21st, January 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন বিএনপিতে, চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও মাদক ব্যবসায়ীদের স্থান নেই। আর আমরাও আমাদের দলে কোন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও মাদক ব্যবসায়ীদেরকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।
আর যদি এই এলাকায় কেউ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নামে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী , মাদক বেচাকেনা করে তাহলে আপনারা তাদেরকে ধরে বেঁধে পুলিশকে খবর দিবেন প্রয়োজনে আমাদেরকে খবর দিও আমরা এসে পুলিশের কাছে সোপর্দ করবো। যারা এই সকল কর্মকান্ড করবেন আমাদের দলে তাদেরকে স্থান দেওয়া হবে না।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন বন্দর থানা ২৫নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১দফা বাস্তবায়নে জনসম্পৃক্ততা ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেল চারটায় বন্দরের উত্তর লক্ষণখোলায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জে গডফাদার শামীম ওসমান, সেলিম ওসমান, আজমেরী ওসমান ও অয়ন ওসমান সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে মানুষের জীবনকে অতিষ্ট করে রেখেছিল। আমরা চাইনা বিএনপি ক্ষমতায় আসলে নারায়ণগঞ্জে কোন গডফাদারদের সৃষ্টি হোক।
আমরা চাইনা বিগত দিনে ওই বিএনপির নামধারীরা যারা বিএনপি'র নাম ভাঙ্গে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সাথে আঁতাত করে বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে নির্যাতন করেছে। আমরা চাইনা তারা বন্দরে বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে কোন কার্যকলাপ করুক।
কারণ তারা দল করে না তারা সুবিধাবাদী। তারা দল থেকে পদত্যাগ করেছে তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা যদি এখন বিএনপির নাম ভাঙ্গে কোন কিছু করতে চায় তাহলে আপনারা তাদেরকে বেঁধে রাখবেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুযোগ্য পুত্র তারেক রহমান দেশকে নতুন করে সংস্কারের জন্য ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের ঘোষণা করেছেন।
আগামী নির্বাচনে আপনারা বিএনপিকে ক্ষমতায় এনে ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে এদেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর সুযোগ করে দিবেন। যখনই ক্ষমতায় এসেছিল দেশকে সমৃদ্ধশীল করেছিল এবং দেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর চেষ্টা করেছে। আগামী দিনও যেন আমরা আপনাদের মুখে হাসি ফুটাতে পারি তার জন্য আমরা আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি এবং আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও ২৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফারুক হোসেনের সভাপতিত্বে এবং মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান চুন্নু সাঈদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড.
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডাঃ মজিবর রহমান, মাকিত মোস্তাকিম শিপলু, ২৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি বাবুল হোসেন, সহ- সভাপতি মো.দাদন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আঃ সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান টুলু, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক আঃ রাহিম, প্রচার সম্পাদক মো. মিলন, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান মাসুদ, বন্দর থানা যুবদল নেতা আব্দুর রহমান, সজিব আহমেদ, মাহবুব আলমসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র স র রহম ন ওসম ন আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
শহীদ সুমাইয়ার পরিবারকে তারেক রহমানের ঈদ উপহার দিলো মামুন মাহমুদ
মাত্র আড়াই মাসের ফুটফুটে কন্যা শিশুকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জে মায়ের বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলেন ২০ বছর বয়সী পোশাককর্মী সুমাইয়া। কিন্তু হেলিকপ্টার থেকে ছোঁড়া গুলিতে শহীদ হন তিনি।
এরপর থেকেই মা হারা হয়ে যায় শিশু সুবাইয়া। এখন তার পরিবার বলতে একমাত্র নানিই। তিনি এই সুবাইয়ার দেখাশোনা করছেন। মায়ের রেখে যাওয়া আড়াই মাসের সেই সুবাইয়ার বয়স এখন ১০ মাস।
আসছে ঈদুল ফিতরকে ঘিরে মানুষের মধ্যে আনন্দ-উৎসাহ থাকলেও শহীদ সুমাইয়ার পরিবারের মাঝে তার ছিটেফোঁটাও নেই। পরিবারটির মুখে হাসি ফোঁটাতে ঈদ উপহার পাঠিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
গত বুধবার রাতে মিজমিজির পাইনাদী নতুন মহল্লায় তারেক রহমানের ঈদ উপহার নিয়ে হাজির হন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। এসময় কান্নায় চোখ ভিজে যায় সুমাইয়ার মা আসমা বেগমের।
মেয়ের শোকে প্রতিদিন কান্নায় তার চোখ ভিজে আসে উল্লেখ করে আসমা বেগম বলেন, আমার মেয়েটি কোনোদিন চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলেনি। খুবই নম্র স্বভাবের ছিল। উচ্চস্বরে কখনো আমার সঙ্গে কথা বলেনি। সেই মেয়েটি আমার চোখের সামনে চলে গেলো।
আমি মা হয়ে কিছুই করতে পারিনি। তার রেখে যাওয়া মাত্র আড়াই মাসের বাচ্চাই এখন আমার স্মৃতি। আমার মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত নাতনিকে আগলে রাখা দায়িত্ব।
তিনি আরও বলেন, আড়াই মাসের সুবাইয়া এখন ১০ মাসের। সে শুধু তার মাকে খুঁজে। নাতনিটা মানুষের মুখের দিকে শুধু তাকিয়ে থাকে। আমি সরকারের কাছে দাবি জানাই আমার নাতনির দায়িত্ব যেন নেয়।
তিনি আরও বলেন, এবারের ঈদে খুশির আমেজ আমাদের পরিবারে নেই। শুধু আছে কান্না। নাতনির শরীরে আমার মেয়ে সুমাইয়ার গন্ধ খুঁজে পাই।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, শহীদ সুমাইয়ার হত্যার যেমন বিচার চাই, তেমনি তার পরিবারের যে দাবি, এটাও আমরা চাই।
আড়াই মাসের শিশুকে রেখে সুমাইয়া মারা গেছেন এটা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানেন। তিনিই আমাদের মাধ্যমে শিশুটির জন্য ঈদ উপহার পাঠিয়েছেন।
এ শিশুটি যেন নিরাপদে থাকতে পারে এবং বড় হতে পারে, বিএনপি সব সময় পাশে থাকবে। বিএনপি যদি রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে, সে ক্ষেত্রে এ শিশুর অভিভাবকত্ব রাষ্ট্র ও বিএনপি গ্রহণ করবে।