বগুড়ার শাজাহানপুরে ইসলামী জালসায় আলু ঘাটি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘ‌টে‌ছে। এ ঘটনায় থানায় পাল্টাপা‌ল্টি অভিযোগ দি‌য়ে‌ছে পক্ষ দুটি। গতকাল সোমবার ও মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) অভিযোগ দুটি দায়ের হয়।

জানা যায়, গত ১৭ জানুয়া‌রি উপজেলার খোট্টাপাড়া ইউনিয়নের ঘাষিড়া দাখিল মাদরাসা মাঠে ইসলামী জলসায় এলাকার লোকজনকে খাওয়ানোর জন্য আলু ঘাটির ব্যবস্থা করা হয়। রাত ৩টার দিকে জোকা গ্রামের আব্দুল খালেকের তিন ছেলে আরিফুল ইসলাম, তাজুল ইসলাম ও আব্দুল মমিন ফুত্তু আলু ঘাটির পরিমাণে একটি বেশি অংশ নেওয়ার জন্য জোর জবরদস্তি করেন। এনিয়ে একই এলাকার আতিকুর রহমান বাবু, তরিকুল ইসলাম খোকনসহ স্থানীয় ব্যক্তিরা তাতে বাধা দেন।

একপর্যায়ে আব্দুল খালেকের ছেলেরা তাদের লোকজন নিয়ে আতিকুর রহমান বাবু, তরিকুল ইসলাম খোকনসহ কয়েকজনকে  মারধর করেন। এই ঘটনার জেরে গতকাল সোমবার (২০ জানুয়ারি) স্থানীয় নারী-পুরুষরা তাজুল ও আব্দুল মমিন ফুত্তুর ওপর হামলা করে। এসময় তাজুল ইসলাম দৌঁড়ে পালিয়ে গেলেও আব্দুল মমিন ফুত্তুকে স্থানীয়রা মারধর করেন। মারধরে আব্দুল মমিন ফুত্তু আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। 

আরো পড়ুন:

গাছের মালিককে পেটাল রস চোররা

বিজিবিকে মেরে মহিষ ছিনিয়ে নিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা 

এ ঘটনায় মঙ্গলবার আতিকুর রহমান বাবু নামে নামে এক ব্যক্তি থানায় অভিযোগ করেন। এর আগে গতকাল সোমবার আরিফুল ইসলাম নামে অপর এক ব্যক্তি থানায় অভিযোগ দেন।

শাজাহানপুর থানার ওসি ওয়াদুদ আলম ব‌লেন, “দুই পক্ষই অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/বগুড়া/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

পুলিশ দেখে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু

চট্টগ্রাম নগরে অভিযানে আসা পুলিশ দেখে এক আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্বজনেরা। নিহতের নাম লাল মিয়া (৬০)। তিনি নগরের খুলশী থানা ডেবারপাড় সি ইউনিট আওয়ামী লীগের সহকারী আপ্যায়ন সম্পাদক ছিলেন। আজ রোববার বিকেলে নগরের খুলশীর কুসুমবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।

উত্তর লালখান বাজার দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও খুলশী থানা বিএনপির সদস্য ফারুক শিকদার প্রথম আলোকে বলেন, আজ বিকেলে মোটরসাইকেলে খুলশী থানার এসআই রবিউল আলম লাল মিয়ার মুদিদোকানের সামনে নামেন। তখন তাঁরা লাল মিয়াকে ১০ মিনিট সময় দিয়ে দোকান থেকে বের হতে বলেন। একপর্যায়ে দোকানের ভেতর পড়ে যান লাল মিয়া। তখন দোকানে লাল মিয়ার ছেলে রাকিবুল হাসানও ছিলেন। পরে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। লাল মিয়া দোকানের ভেতর পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এসআই রবিউল মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে চলে যান।

ফারুক শিকদার আরও বলেন, এসআই রবিউল প্রায় এলাকার নিরীহ লোকজনকে হয়রানি করে আসছেন। লাল মিয়ার মৃত্যুর বিষয়ে মামলা কিংবা কোনো অভিযোগ করা হবে কি না প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, লাল মিয়ার পরিবার এলাকার সাধারণ একটি পরিবার। তারা মামলা করবে কি না, সেটা এখনো জানা যায়নি।

জানতে চাইলে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান আজ সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, এসআই রবিউল অস্ত্র মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা এক আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গিয়েছিলেন। লাল মিয়ার দোকানের পাশেই ওই আসামির বাসা। এ কারণে আসামি সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। কোনো ভয়ভীতি দেখাননি। এলাকার লোকজনকে হয়রানি সম্পর্কে ওসি বলেন, আসামি ছাড়া নিরীহ কাউকে আটক করেন না এসআই রবিউল। আটক আসামিকে ছাড়াতে না পারায় ক্ষুব্ধ লোকজন অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এসআই রবিউলের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, সেটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন বলে জানান ওসি মজিবুর রহমান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাংলাদেশিসহ ১০ বিদেশিকে কুখ্যাত গুয়ানতানামো বন্দিশিবিরে পাঠানোর পরিকল্পনা
  • বাংলাদেশিসহ ১০ বিদেশিকে গুয়ানতানামো বে বন্দিশিবিরে পাঠানোর পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের
  • পুলিশ দেখে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
  • শরীয়তপুরে সকালেও ডাকাত সন্দেহে আরেকজনকে পিটুনি