জাবি প্রেসক্লাবের বর্ষপূর্তি উৎসব পালিত
Published: 21st, January 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রেসক্লাবের ১৩ বছর পূর্তি উৎসব পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) এ উপলক্ষে প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে কেক কাটা ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এর আগে, প্রেসক্লাব কক্ষে সভাপতি ওয়াজহাতুল ইসলামের সভাপতিত্বে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, “সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ। আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম। আমি দেখেছি, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে জাবির সাংবাদিকরা অত্যধিক ক্রিয়াশীল। বিগত আন্দোলনেও তুলনামূলক বেশি ইতিবাচক ভূমিকা আমরা দেখেছি। অনেক সাংবাদিক আহতও হয়েছেন। আমাদের সাংবাদিকতা করতে হবে গঠনমূলক, ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে নয়। প্রশাসন ও সাংবাদিক প্রতিপক্ষ নয়; বরং পরিপূরক।”
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, “আমার কার্যক্রম ও সংগ্রামে সাংবাদিকদের সহযোগিতা পাব, এ বিশ্বাস থাকার কারণেই যেকোন ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সাহস পাই। আমাদের একটাই লক্ষ্য, আমরা চাই জাবির গুণগত পরিবর্তন। এজন্য নির্মোহ সহযোগিতা সাংবাদিকদের কাছে প্রত্যাশা করি।”
তিনি বলেন, “আমরা জানি ‘ফ্রি প্রেস ইজ এ ফাউন্ডেশন অব এ সোসাইটি’। আমাদের ভুল সংশোধন করে দেওয়া বড় বন্ধুত্বের পরিচয় বহন করে। সেজন্য আমাদের যেকোন ভুল হলে সাংবাদিকরা সেগুলো তুলে ধরে আমাদের সহযোগিতা করবেন বলে আশা করছি।”
সাধারণ সম্পাদক তানভীর ইবনে মোবারকের সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো.
আহসান
ঢাকা/আহসান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুনীর চৌধুরী জাতীয় নাট্য উৎসবের মঞ্চে ‘ইংগিত’
মুনীর চৌধুরী জাতীয় নাট্য উৎসবে ৬৩ জেলা হতে নির্বাচিত ১৬ নাটক নিয়ে ঢাকায় জাতীয় নাট্যশালায় উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ বিভাগের আয়োজনে উৎসবের শেষ দিনে (শুক্রবার) মঞ্চায়ন করা হয় নাটক ‘ইংগিত’।
‘ইংগিত’র নাট্য ভাবনা, পরিকল্পনা, আলো ও নির্দেশনায় ছিলেন সুবীর মহাজন। সহকারী নির্দেশনায় আছাদ বিন রহমান ও পরিবেশনায় ছিল বান্দরবান পার্বত্য জেলা শিল্পকলা একাডেমি। বান্দরবানের বসবাসরত বিভিন্ন ভাষার জনগোষ্ঠীর মানুষ এত অংশ নেন।
নাটকের গল্পে দেখা যায়, পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে তরুণদের বড় একটি অংশ হতাশায় নিমজ্জিত। অথচ তারুণ্যই বারবার পথ খুঁজে দিয়েছে। বহুভাষার মানুষের জেলা বান্দরবানের এক তরুণ বর্তমানের নানা পারিপার্শ্বিকতায় ক্লান্ত হয়ে যখন ঘুমের রাজ্যে, ঠিক তখন তার চোখ জুড়ে ফিরে আসে শৈশব-কৈশোর। ক্লান্ত শরীর তাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে বাস্তবে। স্বপ্নের ঘোরে সে ঘুরে বেড়ায় প্রকৃতির রাজ্য বান্দরবানে, যেখানে রয়েছে জীবন ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্যময় বিশাল ভাণ্ডার। ঘুম তাকে ফিরিয়ে দেয় সোনালী সময়। যখন বর্তমানে ফিরে আসে নানা জটিলতায় আবদ্ধ হয়ে পড়ে। সিস্টেম নামে এক জগদ্দল পাথর সরাতে চায় সে। পাহাড় আর সমতলকে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যতার এক সুতায় মেলবন্ধন ঘটাতে যে বদ্ধ পরিকর।
১৫ দিনব্যাপী কর্মশালার মধ্যে দিয়ে নাটকটি নির্মাণ করা হয়েছে।