ভারতে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ১৬ নকশাল নিহত
Published: 21st, January 2025 GMT
ভারতের ওড়িশা ও ছত্তিসগড় সীমান্তে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ১৬ নকশাল সদস্য নিহত হয়েছেন। সোমবার (২১ জানুয়ারি) রাতে দেশটির নোয়াপাড়া জেলা ও ছত্তিসগড়ের গাড়িয়াবন্ধ জেলার সীমান্ত এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ওড়িশা ও ছত্তিসগড় রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি এই অভিযানে সহায়তা করে কেন্দ্রীয় বাহিনী সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ)।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন জয়ারাম রেড্ডি ওরফে চালাপাঠি নামে সিনিয়র নকশাল কমান্ডার, যার মাথার দাম ধার্য করা হয়েছিল ১ কোটি রুপি। সোমবার রাতে সীমান্ত এলাকায় ঘন জঙ্গলে মাওবাদীদের উপস্থিতির খবর পেয়েই সেখানে অভিযানে নামে দেশটির যৌথ বাহিনী। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ।
ওড়িশা পুলিশ সূত্রে খবর, হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। মঙ্গলবার পুলিশ জানিয়েছে, মাওবাদীদের খোঁজে এখনো অভিযান চলছে।
নকশালবাদ দমনের লক্ষ্যে ভারতের পদক্ষেপ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, নকশালদের ওপর আরেকটা আঘাত। নকশালমুক্ত ভারত গড়ার লক্ষ্যে নিরাপত্তাবাহিনীর এই সফলতা।
সিআরপিএফ, ওড়িশা এবং ছত্তিসগড় পুলিশের প্রশংসা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এও লেখেন, নকশালমুক্ত ভারতের জন্য আমাদের সংকল্প এবং আমাদের নিরাপত্তাবাহিনীর যৌথ প্রচেষ্টায় নকশালবাদ আজ শেষ নিঃশ্বাস নিচ্ছে।
ঢাকা/সুচরিতা/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ নকশ ল
এছাড়াও পড়ুন:
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি: পেঁপে ছাড়া ৫০ টাকার নিচে নেই কোনো সবজি
সরবরাহ কমের অজুহাতে বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। অধিকাংশ সবজি কিনতে গুণতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা। সেই সঙ্গে দাম বেড়েছে মাছেরও। এতে অস্বস্তিতে পড়ছেন ক্রেতারা।
কয়েকজন ক্রেতা জানান, শীত মৌসুমের সবজি নিয়ে যে স্বস্তি ছিল, তা এখন আর নেই। বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম ৬০ টাকার ওপরে। কোনো কোনটির দাম একশো পেরিয়েছে।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি পটল, ঢ্যাঁড়স, ঝিঙা, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এর চেয়ে কমে শুধু পেঁপে পাওয়া যাচ্ছে, তাও ৫০ টাকা কেজিতে। এছাড়া, করলা, বেগুন, বরবটি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।
সবচেয়ে বেশি দাম দেখা গেছে কাঁকরোলের। গ্রীষ্মকালীন এই সবজিটি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। সজনে ডাঁটা ১২০ থেকে ১৪০ টাকা।
তবে ব্রয়লার মুরগি, ডিম ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় মুদি পণ্যের দাম আগের মতোই আছে। পেঁয়াজের দামও কয়েক সপ্তাহ বেড়ে এখন ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় আটকে আছে।
এদিকে, মাছের বাজারেও বাড়তি দাম দেখা গেছে। মা ইলিশ সংরক্ষণে নদীতে মাছ ধরা বন্ধ ও চাষের মাছের সরবরাহ কম থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। এর মধ্যে, সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ইলিশ ও চিংড়ির দাম।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ প্রতি পিস ২ থেকে ৩ হাজার টাকা দাম হাঁকা হচ্ছে। অন্যদিকে, প্রতিকেজি চাষের চিংড়ি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, নদীর চিংড়ি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা জানান, স্বাভাবিক সময়ে এসব মাছের দাম কেজিতে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত কম থাকে। এছাড়া কই, শিং, শোল, ট্যাংরা, চাষের রুই, তেলাপিয়া,পাঙাশ ও পুঁটি মাছও আগের চেয়ে কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে।
ঢাকা/সুকান্ত/রাজীব