অস্ত্রাঘাতে আহত হওয়ার ছয়দিনের মাথায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খান। এনডিটিভি প্রতিবেদনে লিখেছে, লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সাইফ এখন ভালো আছেন, তবে কিছুদিন তাকে পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। পাশাপাশি অস্ত্রোপচার হওয়ায় সংক্রমণ এড়াতে দর্শনার্থী এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। 

পরনে সাদা শার্ট, জিন্‌স। বাঁ হাতের কব্জিতে বাধা ব্যান্ডেজ। ছোট করে ছাটা চুল, পরিষ্কার কামানো দাড়ি- এমন লুকেই বাড়িতে গেলেন অভিনেতা। হাসপাতাল ছেড়ে কাছেই বান্দ্রার বাড়িতে যাওয়ার সময় সাইফের সঙ্গে ছিলেন তার মা বর্ষীয়ান অভিনেতা শর্মিলা ঠাকুর।

অভিনেতা যখন হাসপাতাল ছাড়ছিলেন, তখন তাকে এক ঝলক দেখতে লীলাবতী ঘিরে জড়ো হন বহু মানুষ। এ সময়  হাসি মুখে হাত সবার উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন বলিউড নবাব। সাইফের হাসপাতাল থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে এবং বান্দ্রার বহুতল ভবনটি ঘিরেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।

গত বৃহস্পতিবার ভোরে সইফ আলি খান নাকি সিংহ বিক্রমে ঢুকেছিলেন হাসপাতালে। তখন রক্তাক্ত তিনি। পিঠে বিঁধেছিল ছুরির আড়াই ইঞ্চি ফলা। চিকিৎসায় এখন তিনি পুরোপুরিই সুস্থ। তবে কতদিন তাকে বিশ্রামে থাকতে হবে সে বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। 


 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বরিশালে মেয়র হতে চান জাপা প্রার্থীও, করলেন মামলা

২০২৩ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ‘বিজয়’ চেয়ে আদালতে মামলা করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস। বুধবার তিনি বরিশাল নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন।

এর আগে ১৭ এপ্রিল একই দাবি জানিয়ে মামলা করেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। তিনি দলটির জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির। তার পক্ষে ভোট দেখানো হয় ৩৩ হাজার ৮২৮টি। তার মামলা গ্রহণ করবে কিনা সে সিদ্ধান্ত আগামীকাল বৃহস্পতিবার আদালত জানাবে।

অন্যদিকে তাপসের আইনজীবী আব্দুল জলিল জানান, তাদের মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত আদালত পরবর্তী তারিখে জানাবে। তবে বিকাল পর্যন্ত পরবর্তী তারিখ ধার্য হয়নি।

ইকবাল হোসেন তাপস জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা। তিনি সিটি নির্বাচনে ৬ হাজার ৬২৫ ভোট পেয়েছিলেন বলে জানানো হয়। ওই নির্বাচনে ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট দেখিয়ে বিজয়ী ঘোষণা করা আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহকে। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাত ভাই।

তাপস মামলায় অভিযোগ করেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তিনি বিজয়ী হতেন। ভোটের আগে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে দলের কর্মীদের শহরে এনে জড়ো করেছিলেন। তারা ভোটের দিন সব কেন্দ্র দখলে নেয়। ইভিএমে নৌকা প্রতীকে চাপ দিতে ভোটারদের বাধ্য করেন। তিনি (তাপস) সকাল সাড়ে ১০টায় কাউনিয়া শের-ই-বাংলা বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে ইভিএম কক্ষে এক বহিরাগতকে হাতেনাতে ধরলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

এদিকে মুফতি ফয়জুলকে মেয়র ঘোষণার দাবিতে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা সাধারণ নাগরিক ব্যানারে গত শুক্রবার থেকে নগরীতে ধারাবাহিক বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে। আজ বিকালে সদর রোড অশ্বিনী কুমার হলের সামনে থেকে পদযাত্রা কর্মসূচিও পালন করেছে তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ