দেশের মানুষ আ.লীগের বিচার দেখতে চায়: জামায়াতের আমির
Published: 21st, January 2025 GMT
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, “আওয়ামী লীগ মিথ্যা মামলায় সাজানো স্বাক্ষী দিয়ে প্রহসনমূলক বিচারের মাধ্যমে আলেম-ওলামাদের ফাঁসি দিয়েছে। আওয়ামী লীগ প্রকাশ্য দিবালোকে মানুষ হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগ ছিল ক্ষমতার রাক্ষস, তারা গণহত্যাকারী। তাই এদেশের মানুষ আওয়ামী লীগ ও তাদের নেতাকর্মীদের বিচার দেখতে চায়।”
বুধবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে বরিশাল জেলা ও মহানগর জামায়াতে ইসলামের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। বরিশাল মহানগর জামায়াতের আমির মো.
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “চাঁদাবাজ, লুটপাটকারী ও দখলদারদের বাংলাদেশের মানুষ আর মেনে নেবে না। দেশ থেকে ফ্যাসিবাদ বিদায় হয়েছে। বাংলাদেশে কোনো ফ্যাসিবাদী মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না।”
আরো পড়ুন:
চারিদিকে ষড়যন্ত্রের আগুন জ্বলছে: গোলাম পরওয়ার
নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে জামায়াত: গোলাম পরওয়ার
তিনি আরো বলেন, “তৈরি থাকুন, এখনো যুদ্ধ শেষ হয়নি। যুদ্ধ কেবল শুরু হয়েছে মাত্র। আগাছা-পরগাছা সাফ না হওয়া পর্যন্ত এ যুদ্ধ চলতে থাকবে। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বৈষম্যহীন সাম্যের বাংলাদেশ, সন্ত্রাস চাঁদাবাজ মুক্ত মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।”
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার দেশ থেকে জামায়াতে ইসলাকে নির্মূলের নামে অন্যায়ভাবে প্রহসনমূলক বিচারের মাধ্যমে অনেক নেতাকর্মীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তাদের শত চেষ্ঠা সত্ত্বেও দেশ থেকে জামায়াতে ইসলাম নির্মূল হয়নি।”
সম্মেলনে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য ও বরিশাল জেলা আমির অধ্যাপক মো. আব্দুল জব্বার, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য খলিলুর রহমান মাদানী বক্তব্য দেন।
ঢাকা/পলাশ/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সদস য আওয় ম ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’