দেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মনির খানের বাবা মাহবুব আলী খান মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) ৪টা ২০ মিনিটে ঝিনাইদহে নিজ বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১০০ বছর।
মনির খানের টিমের পক্ষ থেকে গায়কের ফেসবুক ভেরিফাইড পেজে তার বাবার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করা হয়েছে।
সেখানে জানানো হয়, কণ্ঠশিল্পী মনির খান এর পিতা মাহবুব আলী খান আজ বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে বার্ধক্য জনিত কারণে নিজ বাসভবন ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার মদনপুর গ্রামে ইন্তেকাল করেছেন। আগামীকাল বুধবার সকাল ১১টায় নিজ গ্রামে তার জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
গত কয়েক দশক ধরে সংগীতচর্চা করে যাচ্ছেন মনির খান। অ্যালবামের পাশাপাশি চলচ্চিত্রে গান গেয়েও শ্রোতাদের মন জয় করেছেন তিনি। সংগীতে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ বেশ কিছু পুরস্কার ও সম্মাননা। এখনো শ্রোতাদের নতুন নতুন গান উপহার দিয়ে যাচ্ছেন এই শিল্পী।
১৯৯৬ সালে একক অ্যালবাম ‘তোমার কোন দোষ নেই’ দিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন মনির খান। এরপর ৪২টিরও বেশি একক অ্যালবাম বেরিয়েছে এই শিল্পীর।
তার দ্বৈত ও মিশ্র অ্যালবামের সংখ্যাও অনেক। ‘প্রেমের তাজমহল’, ‘লাল দরিয়া’ ও ‘দুই নয়নের আলো’সহ অনেক সিনেমায় গান করেছেন মনির খান।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সাতকানিয়ায় ‘ডাকাত সন্দেহে’ গণপিটুনিতে নিহত ২, গুলিবিদ্ধ ৪ বাসিন্দা
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ‘ডাকাত সন্দেহে’ গণপিটুনিতে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এর আগে ওই যুবকদের গুলিতে স্থানীয় চার বাসিন্দা আহত হন। সোমবার রাতে সাতকানিয়ার এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকদের পরিচয় তাৎক্ষণিক নিশ্চিত করতে পারেননি পুলিশ। গুলিবিদ্দ স্থানীয় চার বাসিন্দা হলেন ওবায়দুল হক (২২), মামুনুর রশিদ (৪৫), নাসির উদ্দিন (৩৮) ও আব্বাস উদ্দিন (৩৮)। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, আটটি গুলির খোসা এবং একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার রাত সাড়ে নয়টা থেকে দশটার মধ্যে চারটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে একদল যুবক ছনখোলা পশ্চিমপাড়া এলাকায় গিয়ে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করতে থাকেন। এ সময় স্থানীয় মসজিদে ডাকাত পড়েছে এমন প্রচারের পর লোকজন জড়ো হয়ে অটোরিকশায় করে আসা দুই যুবককে আটক করে পিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই যুবক নিহত হন।
এক যুবকের লাশের পাশ থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুই যুবককে আটকের আগে গুলির ঘটনায় আহত চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল ইসলাম, সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দলসহ সাতকানিয়া থানা পুলিশের সদস্যরা।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ডাকাত সন্দেহে মসজিদের মাইকে প্রচারের পর স্থানীয় বাসিন্দাদের পিটুনিতে দুই যুবক নিহত হয়েছেন। এখনো ওই দুই যুবকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।