কিশোরগঞ্জে ছুরিকাঘাতে বিএনপি নেতার মৃত্যু
Published: 21st, January 2025 GMT
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় দুই ভাইয়ের ঝগড়া থামাতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি প্রার্থী আলম মিয়া (৬৫) নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার জাংগালিয়া ইউনিয়নের চরটেকী গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। পাকুন্দিয়া থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত আলম মিয়া একই এলাকার মৃত নাজিম উদ্দিনের ছেলে। তিনি জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি প্রার্থী ছিলেন।
আরো পড়ুন:
কুমারখালীতে ভ্যানচালক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৪
জুলাই বিপ্লবে শহীদের পরিবার ও আহতদের সহায়তা প্রদান
ওসি সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “আলম মিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। আজ দুপুরের দিকে আলম মিয়া নিজ জমিতে কাজ করছিলেন। এ সময় তার পাশের বাড়ির গোলাম হোসেনের দুই ছেলে সোহরাব উদ্দিন এবং নিজাম উদ্দিনের মধ্যে গাছ কাটা নিয়ে ঝগড়া হয়। আলম দুই ভাইয়ের ঝগড়া থামাতে যান। এসময় ছোট ভাই সোহরাব উদ্দিনের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন তিনি। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আলম মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।”
তিনি আরো বলেন, “মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করার পর এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/রুমন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ আলম ম য় ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনে জেলেনস্কির বিকল্প নেতা খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্র!
ইউক্রেনে শান্তিচুক্তির জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পদত্যাগ করা লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎস। তিনি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের একজন নেতা প্রয়োজন, তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে কাজ করতে পারবেন এবং এই যুদ্ধ থামাতে পারবেন।’ খবর- সিএনএন
গণমাধ্যমের সামনেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডার পর এ কথা বললেন তিনি। বাগবিতণ্ডার এ ঘটনাটি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে বিশ্বজুড়ে। ওই ঘটনার পর ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যে ঐতিহাসিক চুক্তি হওয়ার কথা ছিল, সেটিও বাতিল হয়ে যায়। আর এর পরই ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কোন পথে, তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।
এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। শুক্রবারের ওই ঘটনায় সাবেক ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গড়া ওয়াশিংটন-কিয়েভ সম্পর্ক ভেঙে পড়েছে। এই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ন্যাটোর ইউরোপীয় সদস্যদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
যদিও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আবারও এক টেবিলে বসার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেছেন, ইউক্রেন ও রাশিয়া-দুই পক্ষই আলোচনায় না বসলে যুদ্ধ থামবে না। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার ট্রাম্প-জেলেনস্কি বিতণ্ডার পর থেকে ইউক্রেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আর কথা হয়নি। যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে আলোচনার টেবিলে আনতে হবে। তবে তাদের প্রতি বৈরী মনোভাব রাখলে, মস্কোকে আলোচনায় যুক্ত করা সম্ভব হবে না। কোনো চুক্তি করার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই মনোভাবই দেখিয়ে আসছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সবকিছু আবার শুরু হতে পারে। আশা করি, তিনি (জেলেনস্কি) এটা বুঝতে পারবেন যে আমরা আসলে আরও হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর আগে, তাঁর দেশকে সাহায্যের চেষ্টা করছি।’